somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপেক্ষার প্রহর......................................

১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গত কয়েকদিন ধরে তরু সারাক্ষণ মনমরা হয়ে থাকে। সব কিছুতেই তার উদাসীন ভাব। ব্যক্তিগত জীবন, অফিস, বাসা কোনো কাজেই মন বসাতে পারছেন না সে। কেবলই দীনার স্মৃতি সব সময় তাকে তাড়া করে ফেরে। মাঝে মধ্যে মনে হয়, কোনোভাবে স্মৃতিভ্রষ্ট হতে পারলে হয়তো এ দুঃসহ জীবন থেকে মুক্তি পাবে সে।


চাইলেই তো সব কিছু মনের মতো হয় না! নিয়তি সব সময় এর আপন নিয়মেই চলে। এই যেমন শত চেষ্টা সত্ত্বেও দীনার সঙ্গে তার সংসার করার সাধ পূরণ হচ্ছে না। দীনার কথা মনে পড়তেই তরু ফিশ ফিশ করে উচ্চারণ করে, দীনা, তুমি কেমন আছ? আমি যে খুব কান্ত। তুমি কি বলতে পারো, কীভাবে তোমাকে ছাড়া আমি বাচবো?

রাত প্রায় একটা। তবুও কিছুতেই ঘুম আসছে না। তরুর বেডরুমের সঙ্গেই বারান্দা। বারান্দায় দাড়িয়ে সিগারেট জ্বালায় সে। সিগারেটে টান দিয়ে দীনার সঙ্গে প্রথম কথা বলার দিন মনে করতে চেষ্টা করে।

এক্সকিউজ মি? আপনার বাড়ি কি ময়মনসিংহ?

জি!

সদরে?

জি!

নতুন বাজার?

জি!

যদি আমি ভুল না করি তবে আপনার নাম দীনা।

হ্যা। কিন্তু আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না। পাল্টা প্রশ্ন।

স্তম্ভিত হয়ে তরু ভাবে, যাকে সে হৃদয়ের ক্যানভাসে ভালোবাসার সাত রঙে নরম তুলির ছোয়ায় ছবি করে রেখেছে সে এখনো তাকে চিনতে পারেনি। বুঝতে পারে না কিভাবে সহজে নিজেকে তুলে ধরবে দীনার কাছে।

কোনো ধরনের ভনিতা ছাড়াই বলে, আমি তরু, বাড়ি ময়মনসিংহ।

এরপরও যখন চিনতে পারে না তখন আগ-পিছ না ভেবেই সে বলে ফেলে, আমি ২০০৩ সালে গভঃ ল্যাবরেটারী স্কুল থেকে A+ পেয়েছিলাম।

দীনা যাতে সহজেই তাকে চিনতে পারে সে জন্যই তরুর এ রকম বলা। কারণ একই বছর দীনাও পাশের গার্লস স্কুল থেকে পাস করেছিল।
আমি এতো ভালো ছাত্রী নই। দীনার এ রকম উত্তরে তরুর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিল।

একটি স্বায়ত্তশাসিত হসপিটালে দীনার ইন্টারভিউয়ের দিন এভাবেই পরিচয় হয় তাদের যেখানে তরু আগে থেকেই চাকরি করে আসছিল।

মানব সেবার এ পেশায় তরু অনেকটা বাধ্য হয়েই এসেছে। ইচ্ছা ছিল সমাজের উচু স্তরের একজন হবার। কিন্তু সাংসারিক টানাপড়েনে তা আর হয়নি। জন্মলগ্ন থেকে এ রকম কতো ইচ্ছা যে দারিদ্র গ্রাস করেছে এর ইয়ত্তা নেই। নিজেদের সংসারটাকে ঘূর্ণিঝড় কবলিত কোনো নৌযানের মতো মনে হয় তরুর। এই অভাব-অনটন সত্ত্বেও দুই দিনের পরিচয়ে তরু ভালোবাসার আভাস পায় নিজের মনে।

দীনাকে প্রথম দেখেছিল সে কবে? তরু মনে করতে চেষ্টা করে।

পাশের স্কুলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দীনাকে লেখাপড়ায় প্রথম হওয়ার পুরস্কার নেয়ার সময় দেখতে পায় সে। খুব সুন্দর মেয়েটি। দুধে আলতা গায়ের রঙ। গোলগাল মুখ। লাল টকটকে ঠোট। কলো দুটি চোখ। লম্বা চুল হাটু পর্যন্ত নেমেছে। কথা বলার সময় বয়ে যায় যেন হাসির ঝরনাধারা। সেই কিশোর বয়সে দীনাকে বন্ধু করে পেতে চেয়েছিল তরুর মন। কিন্তু পড়াশোনার চাপ এবং নিজের পারিপার্শ্বিকতার বিবেচনা করে ভবিষ্যতের কাছে সব ছেড়ে দিয়েছিল সে। তবুও মাঝে মধ্যে দেখার জন্য খেলার মাঠে দাড়িয়ে থাকতো। এভাবেই দেখতে দেখতে স্কুল জীবন পার হয়ে যায়। দুজন দুই কলেজে ভর্তি হয়।

আজ তারা একই পেশায় নিয়োজিত দুই সহকর্মী।

দুজনের এই ফিরে দেখায় বেশি উচ্ছ্বসিত তরু। পুরনো কথা মনে করে সে শিহরিত হয়। এখন নিয়মিত দেখা হবে তো? এরপর থেকে প্রতিদিন না হলেও প্রায়ই গল্প হয় দুজনের মধ্যে।

সুযোগ বুঝে তরু বলে, দীনা, আমরা কি একই ঘরের দুজন হতে পারি না?

কাল আমার নাইট ডিউটি। এই বলে দীনা হোস্টেলে ফিরে যায়।

এরপর আরো ঘনিষ্ঠভাবে চলাফেরা করতে থাকে দুজন। এভাবে চলতে চলতে তরু ভাবে, তার প্রস্তাবে দীনার হয়তো কোনো আপত্তি নেই। আরো অন্তরঙ্গ হয়ে মিশতে থাকে তারা।

হঠাৎ করেই সরকারি চাকরির সুবাদে তরুর পোস্টিং হয় কিশোরগঞ্জ। দীনাকে ফেলে কিছুতেই তার দূরে যেতে ইচ্ছা করে না। তবুও যেতে হয় দীনার ইচ্ছার কারণেই। তরু জানতে চায় তাদের ভবিষ্যৎ কি?

উত্তরে দীনা বলে, তোমাকে বিশ্বাস করি, তুমি আমার প্রতি বিশ্বাস রাখো।

এরপর প্রতি শুক্রবার না হলেও মাসে দুই তিন দিন তাদের দেখা হয়। খুব আনন্দেই তাদের আরো দুই বছর কেটে যায়।

ঘর বাধার স্বপ্নে বিভোর তরু এক পর্যায়ে বাবা-মাকে পাঠায় দীনাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে। আর তখনই তরুর ভাগ্য আকাশে মেনে আসে কালো মেঘের ছায়া। দীনার বাবার সোজা কথা। তরুর মতো গরিব ঘরের ছেলের কাছে তারা দীনাকে বিয়ে দেবেন না।

দীনার কাছে তরু তার ভালোবাসার কথা তুলতেই সে বললো, বাবার কথার বাইরে কিছু করতে পারবে না।
তরু তার সর্বশক্তি দিয়ে দীনাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। আশাভঙ্গের এক বুক কষ্ট নিয়ে তরু ফিরে যায় চাকরিতে।

কিছুদিনের মধ্যে সে বদলি হয় ঢাকা মেডিকাল কলেজে। শহরের কোলাহল পূর্ণ পরিবেশে এসেও তরু প্রাণ ফিরে পায় না। তবুও চলতে থাকে জীবন জীবনের নিয়মে।

কি মনে করে একদিন দীনাকে ফোন করে তরু। কেমন আছ, জিজ্ঞাসা করতেই দীনা কেদে ফেলে।

তরু জানতে পারে কয়েকদিন আগে তার মা মারা গেছেন। মহিলার কথা মনে পড়ে তরুর। শেষ যেদিন দীনাদের বাড়িতে গিয়েছিল সেদিন দীনাকে তিনি বলেছিলেন, বাবা, দীনাকে তুমি অভিশাপ দিও না। আল্লাহ যেন তোমার মঙ্গল করে।

পরদিন ছুটি নিয়ে দীনাদের বাড়িতে যায় তরু। অনেকক্ষণ কাটিয়ে রাতে বাড়িতে ফেরার সময় দীনাকে বললো, ভেঙে পড়ো না, সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করো।

তরুর জীবনের এক চরম মুহূর্তে দেবদূতের মতো হাজির হন নয়নভাই। প্রচ- ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এক চমৎকার মানুষ নয়নভাই। ভাবীও খুব মিশুক স্বভাবের হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যে তাদের সঙ্গে তরুর সুসম্পর্ক তৈরি হয়। ঢাকার বাসায় গেলে নয়নভাই ও ভাবী দুজনই দীনাকে ম্যানেজ করার আশ্বাস দেন। তাদের আশ্বাসে তরু নতুন করে জীবনের স্বপ্ন দেখতে পায়।

এভাবে কিছুদিন কাটে। হেমন্ত শেষ হয়ে শীতের আগমন ঘটে। প্রকৃতির ওই পরিবর্তনের হাওয়ার দীনার মনেও পরিবর্তন ঘটে। সে গুলশানের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পায়। নতুন পরিবেশে এসে তরুর সম্পর্কেও সে নতুন করে ভাবতে থাকে।

এরপর ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে তরু যখন শহীদ মিনারের বেদিতে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দিচ্ছিল তখন হঠাৎ করেই তার মোবাইল বেজে ওঠে। কল রিসিভ করতেই সে ওপার থেকে পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনতে পায়। ছোট্ট কথা, কেমন আছ?

সে যেন আকাশের চাদ হাতে পাওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে। এ আনন্দেই কাটে আরো কয়েকদিন।

এরপর একদিন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নয়নভাইয়ের বাসায় তরু যায়। সেখানে সকাল থেকেই তরুর জন্য অপেক্ষা করছিল দীনা। প্রায় দেড় বছর পর দুজন একে অপরকে কাছে পেয়ে সুযোগ খোজে মন খুলে কথা বলার জন্য। প্রতীক্ষার প্রহর যেন সহজে শেষ হয় না। অবশেষে জুমার নামাজ পড়তে নয়নভাই বের হয়ে যান এবং ভাবীও চলে যান গোসল করতে। একটু নীরবতা পেয়েই দুজন জড়িয়ে ধরে একে অপরকে। যেন অতৃপ্ত দুটি আত্মার বহুদিনের কাক্সিক্ষত মিলন। প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার আনন্দে দুজন অশ্রুজলে সিক্ত হয়। দুপুরের খাওয়া শেষে তরুকে বিদায় জানাতে দীনা কমলাপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত আসে। ট্রেন ছাড়তে আরো ত্রিশ মিনিট বাকি। এই একটু অবসরে প্ল্যাটফর্মের ওপর দাড়িয়ে রোমান্টিক আলাপে মেতে ওঠে দুজন। সময় হয় ট্রেন ছাড়ার, দীনার মধ্যে বাড়তে থাকে অস্থিরতা। অবশেষে ট্রেন ছাড়ে।

এরপর থেকে প্রতি রাতেই তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ফোনে কথা বলে। তরু মজা পায় দীনাকে রাগিয়ে দিতে। রাগ হলে দীনা বলবে, ইচ্ছা করে মোবাইলটা ঢিল দিয়ে ভেঙে ফেলি। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তরু তাকে শান্ত করে। তবে শর্ত থাকে তাকে, একটু আদর করতে হবে। প্রতি রাতেই তারা অপেক্ষা করে কখন বাজবে রাত বারোটা, ছুটে চলবে তাদের কথার মেইল।

পহেলা বৈশাখে তারা বোটানিকাল গার্ডেনে বেড়াতে যায়। কোথাও একটু খালি জায়গা না পেয়ে দীনা সবার চোদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে। ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে লেকের পাশে কাঠাল গাছের একটি চওড়া শিকড়ের ওপর বসে দুজন। দীনা লাল পাড়ের শাদা শাড়ি পরে এসেছিল। কপালে লাল টিপ আর ঠোটে লিপস্টিক।

তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে, তরুর এমন কথায় দীনা বলেছিল, আমার দিকে এভাবে তাকিও না, আমার লজ্জা লাগে।

বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই তাকে মাছের চোখের সমান পাথর বসানো নাকফুলের দাবি তোলে দীনা।

তরুর সহজ উত্তর, এতো ছোট্ট দাবি কেন, তুমি না চাইলেও আমার সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে তোমাকে আমার বৌ সাজাবো।

এখন তোমাকে তুমি বলছি। কিন্তু বিয়ের পর গ্রামীণ বধূর মতো আপনি বলে ডাববো। আরো কতো কি বায়না! তরুর সব কিছু করে দেয়ার অঙ্গীকার করে দীনা শুধু রাতে শোয়ার সময় মশারিটা টানাতে হবে।

এ রকম হাজারো স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়। আপন ঠিকানায় ফিরতে সবার মতো তারাও উঠে পড়ে।

দীনাকে নিয়ে একদিন গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে যায় তরু। বেঞ্চে বসে তারা অনেক বিষয়ে খোলামেলা কথা বলে। সংসার কীভাবে চলবে এর একটা ছকও তৈরি করে দুজনে মিলে। পরের মাস অর্থাৎ এক শুক্রবার বিয়ের দিন ঠিক করে তারা।

দীনাকে সাত দিন ছুটি নিতে অনুরোধ করলে সে ভেংচি কাটে। বলে, মজা একটানা বেশি দিন ভালো লাগবে না।

পার্কের কৃত্রিম গুহার ভেতরে ঢুকলে দীনা ভয়ে তরুকে বলে শক্ত করে ধরতে। এরপর দোলনায় বসে দুজন দোল খায়। সেই সঙ্গে দোল খেতে থাকে তরুর ভালোবাসা, স্বপ্ন আর আশা।

হস্টেলে ফেরার পথে রিকশার হুড তুলে দেয় তরু। রাস্তার বাতির আবছা আলোয় দীনাকে ইশারা করে তরু একটু আদর করার জন্য। দীনা যেন এ সময়েরই প্রতীক্ষায় ছিল এতোক্ষণ। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে পাগলের মতো আদর করতে করতে কখন যে রাস্তা শেষ হয়েছে তারা টেরই পায়নি।

রিকশা থেকে দীনা বলে, তুমি তাড়াতাড়ি চলে যাও, লজ্জায় তোমার দিকে তাকাতে পারছি না।
তরুকে ফোনে নয়নভাই বলেন তার বাবাকে দীনাদের বাড়িতে পাঠাতে।

বাবাকে দীনাদের বাড়িতে তরু যেতে বললে বাবা উত্তরে বলেন, আমরা তাদের বাড়িতে অনেকবার গিয়েছি, এবার তারা আসুক।

নীল কষ্ট আবার তরুকে দংশন করে। সে মর্মাহত হয়। ভেবে পায় না এখন সে কি করবে। ভাগ্যে বিধাতার দিকে তার প্রতি অবিচারের অভিযোগ তোলে। স্বপ্নের মিলনের পথ খুজতে তরু দিশেহারা হয়ে পড়ে। তখন তার কাছে প্রচলিত প্রবাদ বার বার সত্যি বলেই মনে হতে থাকে। জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে বিধাতার হাতে। তরুর জীবনে দীনার চেয়ে বড় কোনো সত্য থাকতে পারে না, এই থিওরি মাথায় নিয়ে সে ভাবে, একটা কিছু করতেই হবে। চারদিকে ঘোর অন্ধকারের সঙ্গে সে আলোর পথ খোজে। নয়নভাই আর ভাবীর শরণাপন্ন হয় তরু।

অবশেষে তরুর অনুরোধে নয়নভাই তাদের বাড়িতে যান। সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু তার বাবার একটি কথায় মন খারাপ হয়ে যায় নয়নভাইয়ের। অবশ্য বাড়িতে যাওয়ার আগে নয়নভাইকে তরু বলেছিল আব্বা যাই বলুন, আপনি শুধু বিয়ে ঠিক করে আসবেন, তারপর সব কিছু দেখবো।

ঢাকায় ফিরে তার অনুরোধ উপেক্ষা করে নয়নভাই সেই আপত্তিকর কথাটা দীনাকে বলে দেন।

অভিমানে তরুর সঙ্গে দীনা সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

রাগ, দুঃখ, ক্ষোভে তরু বাবার সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলে না এখনো। যদিও তার দুই চোখ ভরে ওঠে জলে। তার বুকের ভেতর কতো কষ্ট যে সে বয়ে বেড়ায় তা কেউ জানে না। তার জীবনে অনিয়মই হয়ে গেছে এখন নিয়ম। স্লিপিং ট্যাবলেট তার নিত্যসঙ্গী। জীবন যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ তরু মাঝে মধ্যে নিজের শরীরের ওপর অত্যাচার করে। সে ভাবে, হয়তো দীনা লাল বেনারসি জড়িয়ে তার সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার নিজেই না না বলে দীনার সব রাগ, অভিমানকে অস্বীকার করে। তবুও সে প্রতিদিন স্বপ্ন দেখে, একদিন দীনার অভিমান ভাঙবে, তার বিয়ের শানাই বাজবে। অভিমানী দীনাকে ফিরে পাওয়ার আশায় সে প্রতীক্ষায় থাকে।
সত্যি কি তরুর এই অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে???????????????????
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:৪৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×