somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃটেনের প্রাথমিক স্কুল ও মাধ্যমিক স্কুল

১৭ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রাথমিক স্কুল
একজন শিক্ষার্থীর সাধারণত প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ ৪/৫ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। যদিও বৃটেনে বাধ্যতামূলক পূর্ণকালীন শিক্ষা শুরু হয় ৫ বছর থেকে, তবুও অধিকাংশ শিশুই চার বছর শেষ করে তাদের ৫ম জন্মদিনে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু করে। তারা রিসেপশন নামে একটি ক্লাসে তাদের লেখাপড়ার সূচনা করে। একটি শ্রেণীতে একজন শিক্ষকই ছাত্রছাত্রীদের সকল বিষয়ে পাঠদান করেন। পঠিত বিষয়গুলো হলো কলা, বিশ্লেষণী দক্ষতা, নাটক, ইংরেজি ভাষা, ভূগোল, ইতিহাস, অংক, বিজ্ঞান। স্কটল্যান্ডে এগুলোর সাথে অতিরিক্ত স্কটল্যান্ড বিষয়ে পাঠদান করা হয়। এছাড়া শিক্ষকগণ তাদেরকে কিভাবে বাসায় যেতে হয়, স্বাধীন চিন্তাশক্তির বিকাশ, দলবদ্ধভাবে কাজ করা, সামাজিক সচেতনতা ঊন্নয়ন, কিভাবে সমাজে ভাল আচরণ করা যায় ভালভাবে বুঝিয়ে শিক্ষা দেন। ওখানে উপরোক্ত বিষয়গুলোর উপর অনেকগুলো টেস্ট বা মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকে, কিন্তু কোন ধরনের প্রথাগত পরীক্ষা নেয়া হয় না। এসব টেস্ট মূলত সরকারী পরিসংখ্যানের জন্য করা হয়। তবে স্কুলগুলো আলাদা মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখে, যাতে শিক্ষার্থীরা টেস্টে ভাল করতে পারে।

মাধ্যমিক স্কুল
মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য যেসব বিষয় আবশ্যিক, তা হচ্ছে- ইংরেজি, আধুনিক কোন বিদেশি ভাষা (ফ্রেন্স, স্পেনিশ বা জার্মান বেশি জনপ্রিয়), ভূগোল, ইতিহাস, সামাজিক শিক্ষা, ধর্ম, রান্না-বান্না সঙ্গিত এবং শারীরিক শিক্ষা। গ্রামার ও পাবলিক স্কুলে গ্রীক ও ল্যাটিন ভাষা অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে থাকে। বিষয়ভিত্তিক কিছু বিশেষ স্কুল রয়েছে। সেখানে ছাত্ররা তাদের সামর্থের উপর ভিত্তি করে নিজস্ব পছন্দনীয় বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।
শিক্ষার্থীগণ ১৪ বছর থেকে ১৬ বছরের মধ্যে বোর্ড পরীক্ষা GCSE (General Certificate of Secondary Education) দিয়ে থাকে। অন্যদিকে মাধ্যমিক স্কুলের ৪র্থ বর্ষে স্কটল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা স্ট্যান্ডার্ড গ্রেড-এর পরীক্ষা দিয়ে থাকে। এটি জিসিএসই পরীক্ষার সমমানের। যেসব শিক্ষার্থীরা জিসিএসই পরীক্ষা দিতে চায় তারা নূন্যতম ৫টি পরীক্ষা থেকে শুরু করে ১২টি পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পারে। আর স্কটল্যান্ডের স্ট্যান্ডার্ড গ্রেডের শিক্ষার্থীরা ৮টি পরীক্ষা দিয়ে থাকে। তারপর শিক্ষার্থীদের স্কুল ত্যাগ করা কিংবা স্কুলে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার অধিকার দেয়া হয়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×