somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুরঞ্জিতের চলে যাওয়া এবং আমাদের আয়নায় চেহারা ....

১৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও আমলাদের ঘুষ দুর্নীতির জন্য এই দেশের কোন উন্নতি হল না। মন্ত্রী বা রাজনীতিবিদ না হয় পদত্যাগ করে বা তাদের শাসন ক্ষমতা শেষ হয়। কিন্তু যেই আমলা সারা জীবন ধরে ঘুষ খেয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তার কোন বিচার হয় না।

আমলা - রাজনীতিবিদদের ঘুষ দুর্নীতি বন্ধের জন্য ভালো লোকদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা দরকার। কিন্তু সেটা কি আমরা ভোটাররা কখনও করব ? আমরা তো ভালো লোক খুঁজেই পাই না। দোষটা কার ?

আর নিজের ছেলেমেয়েকে ঘুষখোর আমলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দেখলে আমরা সবচেয়ে বেশি তৃপ্তির ঢেকুর তুলি। আর যে ঘুষ খায় না, সেই আমলাকে বোকা বা বলদ বলে সম্বোধন করি। এটা একটা সামাজিক রীতি। দোষটা কার ?

আমাদের নানা সামাজিক সংগঠন, সেটা পঞ্চায়েত কমিটি বা মসজিদ কমিটি যেটাই হোক, ঘুষখোর পয়সাওয়ালা আমলাকে নেতা বানাই। এর মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই ম্যাসেজ দেই যে, ঘুষ খাওয়া খারাপ কিছু না। বরং ঘুষ না খেলে তোমার সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করা সম্ভব হবে না। দোষটা কার ?

আমরা মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় ছেলের উপরি কত সেটাই সবচেয়ে বেশি জানতে চাই। ছেলে সৎ কিনা সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা থাকে না। দোষটা কার ?

আমরা ছেলে মেয়েদের ঘুষখাওয়া চাকুরি ম্যানেজ করে দেওয়ার জন্য মোটা টাকার ঘুষ নিয়ে সরকারী দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করি। যত টাকাই দাবি করা হোক না কেন, ঘুষ খাওয়ার নিশ্চয়তা যেই চাকুরিতে আছে , সেটা পাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে উঠি। দোষটা কার ?

আমরা ভার্সিটি উচ্চ শিক্ষা লাভের সময় থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করি, একটা ঘুষ পাওয়ার মতো সরকারী চাকুরি পাওয়ার জন্য। যে কোন মূল্যে এমন একটা সরকারী চাকুরি পেতে চাই, যেই চাকুরিতে প্রচুর ঘুষ খাওয়ার সুযোগ আছে। আমরা কি দুর্নীতিবাজ নই ? দোষটা কার ?

একজন বীর সৎ আলী আজম বা টাকার ভাগীদার সুযোগ সন্ধানী আলী আজমের বিদ্রোহের কারণে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী সুরঞ্জিতের গদি যাবে। গদি যাওয়া এবং বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু সারা দেশে লক্ষ লক্ষ ঘুষখোর আমলাদের বিচার করবে কে ? ঘরে ঘরে তো আর আলী আজমের মতো সাহসী মানুষ নাই। আমরা তো কেউ আর ঘুষ দুর্নীতির বিপক্ষে নই। বরং আঙ্গুর ফল টক বলেই জানি।
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×