somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাঁপন ধরেছে কলকাতার

১৫ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অপরাজিত বন্দ্যোপাধ্যায়
নেচার উইল অ্যাসার্ট ইটস্‌ ওন পাওয়ার। প্রকৃতি তার ক্ষমতা জাহির করবেই। বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে মানুষকে তা প্রতিহত করতে হবে। এটাই প্রকৃতিতে টিকে থাকা। প্রকৃতির অনেক খামখেয়ালিপনার আগাম পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হলেও এখনো ভূমিকম্পের আগাম বার্তা দিতে পারেনি মানুষ। মাটির অতলে ভূস্থানিক প্লেট সরছে। ঠোকাঠুকি খাচ্ছে। ভূমিকম্প ঘটছে। হচ্ছে জলোচ্ছ্বাস। প্রকৃতির হাতের পুতুল হয়ে এখনো বেঁচে থাকতে হচ্ছে মানুষকে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ঝড়-বৃষ্টি, সুনামি, মহাজাগতিক ঘটনার আগাম বার্তা জানানো গেলেও ভূমিকম্পের আগাম সতর্কতা জারির কোন প্রযুক্তি নেই। কবে তা পাওয়া যাবে সেবিষয়েও কোন মত দিতে পারছেন না ভূবিজ্ঞানীরা। কোন দেশের কোন কোন এলাকা ভূকম্পপ্রবণ তার মোটামুটি একটি খতিয়ান দেওয়া যাচ্ছে। ব্যাস, ওইটুকুই ! কিন্তু ঠিক কখন, ভূগর্ভের ঠিক কোথায় দুই ভূস্থানিক প্লেটের সংঘর্ষ বা বিচ্যুতিতে ভূমিকম্প হবে তা বলা যাচ্ছে না। প্রকৃতি যেন মানুষের চিন্তাস্তরকে বেঁধে দিয়েছে। ইন্ডিয়ান মেটারোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি), জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (জিএসআই),ন্যাশানাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানরা ভূমিকম্প ঘটার পরেই তা যন্ত্র দিয়ে মাত্রা মাপতে পারে। একই দশা অন্য দেশের পরিবেশ সর্বেক্ষণ সংস্থাদের।
দেশের মাটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানান গভীরতায় ‘জিওফিজিক্যাল সেন্সর’ বসিয়ে রাখে। বুকে ইসিজি করার যন্ত্রের মতোই ঐ সেন্সর মাটির কম্পনকে অনুভব করে যন্ত্রের কাগজে তা গ্রাফের আকারে এঁকে দেয়। মাটি কতটা কাঁপলো তা মাপার এটাই সেই মান্ধাতার আমলের যন্ত্র, রিখটার স্কেল। এখনো ভূমিকম্পের প্রাবল্য মাপা হয় আদ্যিকালের এই রিখটার এককে। ভূতাত্ত্বিকরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই মাটি কেঁপে উঠছে। সেই কম্পন ১ থেকে ৩রিখটারের মধ্যে থাকলে তার আন্দাজ পায় না অতিবুদ্ধিমান মানুষ। যদিও কিছু পোষ্য প্রাণী আশ্চর্যজনকভাবে ঐ কম্পনের খবর পায়। দেশের কোন গবেষণা সংস্থা ঐ কম মাত্রার ভূমিকম্পকে খতিয়ানের মধ্যে রাখে না। ৪রিখটারের বেশি ভূকম্পন হলে তা হিসাবে আনা হয়। আর মাটি কতক্ষণ ধরে কাঁপছে তার সারণি তৈরি করে কোন স্থান কতটা ভূকম্পন প্রবণ তার একটা ধারণা তৈরি করা হয়। স্থান-কালের ভিত্তিতে দেওয়া হয় সাবধানবাণী। সুনামির ক্ষেত্রে পূর্বাভাস দেওয়া যায়। কারণ সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস সুনামিতে পরিণত হতে কিছু সময় নেয়।
২০০৪সালের ২৬শে ডিসেম্বর সুনামি ধেয়ে এসেছিলো। ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রা দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে ঐ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিলো বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটারে যার মাত্রা ছিল ৯.১। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে ভারতের অনেক উপকূলীয় রাজ্য সেই জলোচ্ছ্বাসের কম-বেশি প্রকোপ উপলব্ধি করেছে। প্রাণহানি হয়েছে প্রচুর। সুনামির তাণ্ডবে নিশ্চিহ্ণ হয়ে গেছে অনেক দ্বীপ। কিন্তু উৎসস্থল সেই ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা হলেও ১১ই এপ্রিলের ভূমিকম্পটি সে অর্থে প্রাণঘাতী হয়নি। যদিও প্রথম আঘাতের প্রাবল্য ছিলো ৮.৬। উৎসস্থল আর তীব্রতা এত কাছাকাছি থেকেও প্রাবল্যের এই পার্থক্য অবাক করার। এযাত্রায় অবশ্য সেই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে প্রকৃতিই।
যেখানেই ভূমিকম্প হোক তার কারণ ভূস্থানিক প্লেটের সংঘর্ষ বা সরে যাওয়া (বিচ্যুতি)। ২০০৪সালে সামুদ্রিক ভূমিকম্প সুনামিতে তাই ঘটেছিলো। সেই সময় ভূস্থানিক ইন্ডিয়ান প্লেটের সঙ্গে বার্মিজ-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষ হয়েছিলো। সংঘর্ষের চোটে ইন্ডিয়ান প্লেটটি অন্যটির দিকে কিছুটা সরে গিয়েছিলো। সে সংঘর্ষ হয়েছিলো উপর-নীচ বরাবর। উপর-নীচ সংঘর্ষ হলে তার প্রাবল্য বেশি হয়। কারণ দুই প্লেটের মধ্যে শূন্যতা তৈরি হয় অনেকটা বেশি। শূন্যপূরণ করতে লাগে বিপুল জল। সেই সঙ্গে সমুদ্রের কোন গভীরতায় সেটা ঘটছে তার ওপরেও জলোচ্ছ্বাসটা নির্ভর করে।
১১ই এপ্রিলের দিন দুই প্লেটের সংঘর্ষটা ছিল মৃদু আর একটু অন্যরকমের। যে সামান্য সরে যাওয়াটা (বিচ্যুতি) ঘটেছে তা সীমাবদ্ধ ছিলো ইন্ডিয়ান প্লেটের মধ্যেই। একটি প্লেটের ওপর অন্যটির সামান্য অংশও ওঠেনি। ইন্ডিয়ান প্লেটের সামান্য একটু অংশ পাশে সরে গেছে। সংঘর্ষটি ঘটেছে পাশাপাশি। সমুদ্রের অনেক নিচে (৩৩কিলোমিটার) গোটা ঘটনা চলতে থাকায় জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপটা ছিলো কম। তবে মনে রাখতে হবে এই ঘটনা স্থলভাগে হলে কিন্তু ক্ষতি আরো মারাত্মক হতে পারতো। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে প্রতি বছর ৫০মিলিমিটার করে ইন্ডিয়ান প্লেট সরছে এশিয়ান প্লেটের দিকে। সমুদ্রের নীচে এই এশিয়ান প্লেটের তলায় রয়েছে ফুটন্ত লাভা। সেই তাপেই উপরের দিকে ঠেলে উঠছে এশিয়ান প্লেট। আর বিপরীতক্রমে নীচের দিকে বসে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান প্লেট।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, একসময় এই দুই প্লেট জোড়াই ছিলো। কোন কারণে ভাগ হয়ে যাওয়া দুই ভূস্থানিক প্লেট এখন আবার জুড়তে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক নিয়মের এই ভাঙা-গড়া। স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যে দ্রুততায় তা সরে আসছে একে অন্যের দিক তা কিন্তু স্বাভাবিক নয়। পুরোদস্তুর অস্বাভাবিক। বুধবারের ভূকম্পনে ইন্ডিয়ান প্লেট কমবেশি ৫মিটার সরে এসেছে বলে দাবি ভূতাত্ত্বিকদের। ২০০৪সালে সুনামিতে প্লেটটি সরেছিলো ১৫মিটার। প্রায় ৩গুণ। এটা ক্রমশই সরতে থাকবে যতদিন না একে অন্যের ওপরে উঠে না আসে। ভূতাত্ত্বিক সাম্যের তত্ত্বও একথা বলে। প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্যই চলছে এই খেলা। তবে চট করে ভূস্থানিক প্লেটের গতি বেড়ে যাওয়াটা চিন্তার বৈকি ! ১০০বছরে ১টা সুনামি না হয় ঠিক আছে। কিন্তু ২০০৪সাল থেকে ৮বছরে তিন তিনবার সামুদ্রিক ভূমিকম্প বিরল। ভয়েরও।
ভূমিকম্পের প্রাবল্য নিয়ে সমীক্ষা চালায় ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড (বিএসআই)। এরাই ভূকম্পনের প্রবণতাকে ধরে ভারতকে চারটি বিপজ্জনক অঞ্চলে (জোন) ভাগ করেছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক ৫নম্বর জোনে রয়েছে কাশ্মীর, পাঞ্জাব, গুজরাটের কচ্ছ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো। রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার আর জলপাইগুড়ি। অপেক্ষাকৃত কমজোরী ৪নম্বর জোনের মধ্যে পড়ছে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলা। কলকাতা আর সংলগ্ন এলাকা রয়েছে ৩নম্বর বিপজ্জনক জোনের মধ্যে। ৩নম্বর জোনের মধ্যে পড়েও ভূতাত্ত্বিক বিশেষ গঠনের জন্য কলকাতায় ভূমিকম্পের প্রাবল্যটা ততটা বেশি হয় না। কারণ কলকাতার ভূমিত্বকের নীচে রয়েছে পলিমাটির পুরু স্তর (সেডিমেন্টারি লেয়ার)। এই স্তরকে পার করলে আবারও ১৮-২০মিটার পর্যন্ত রয়েছে বালির স্তর। এটাই কলকাতার সুরক্ষা ব্যবস্থা।
কলকাতা থেকে হিমালয় পর্বতমালার দূরত্ব ৬০০কিলোমিটার। ভূমিকম্পের তরঙ্গ বয়ে আনার পক্ষে যদিও এটা কোনও নিরাপদ দূরত্ব নয়। কারণ ভূমিকম্পের জন্য জলস্তরের চাপ হ‌ঠাৎ বেড়ে গিয়ে তা মাটি ফুঁড়ে যখন তখন বেরিয়ে আসতে পারে। ভূগর্ভস্থ জলের ঐ চাপ মাটির ওপরতল সহ্য করতে না পারলেই বাড়িঘর ভাঙার আশঙ্কা তৈরি হয়। যেভাবে প্রতিনিয়ত কলকাতার ভূগর্ভস্থ জল তুলে নেওয়া হচ্ছে তাতে পলি স্তরের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ছে। তবুও দিল্লি বা মুম্বাইয়ের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ আমাদের কলকাতা। দিল্লি অতি ভূকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে। মুম্বাই পড়েছে শিলা পুনর্গঠিত এলাকা (রিক্লেমড জোন) মধ্যে।
মাটির নীচের এই পলিস্তরের জন্যই কলকাতা অপেক্ষাকৃত ভালো জায়গায়। কলকাতার ঠিক পাশে থেকে সল্টলেকের অবস্থাটা কিন্তু ততটা ভালো নয়। বলা ভালো সল্টলেকের ভূস্থানিক অবস্থানটা অনেকটা মুম্বাইয়ের মতো। মুম্বাইয়ের মতোই সল্টলেকের জমি প্রাকৃতিক নয়। তৈরি করা। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে পুনর্গঠিত (রিক্লেমড)। বালি ফেলে জলা জমি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে সল্টলেকের ভূত্বক। আর তার ওপরেই একের পর এক উঠে গেছে আকাশ ছোঁয়া বহুতল। এই জমির স্বাভাবিক প্রাকৃতিক বুনট পেতে সময় লাগবে আরো বহুদিন। ফলে মৃদু ভূমিকম্পেই সল্টলেক দুললো ভালোই। কলকাতা থেকে সল্টলেকই বেশি কেঁপেছে। ফাটলের সংখ্যা সেখানে বেশি।
দেশে ভূমিকম্প প্রতিরোধ আইন এসেছে ২০০২সালের পরে। ঐ আইন সাফল্য পেতে লেগে গেছে আরো ৩বছর। ফলত কলকাতার মতো পুরানো শহরের বাড়িগুলো কতটা ভূকম্প প্রতিরোধী তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড অনেক কিছুই বললেও তা কতটা মানা হচ্ছে তা জানার উপায় নেই। তবে ১১তারিখের মৃদু ভূমিকম্পটি নির্মাণ বিজ্ঞানের আধুনিক ধারণাকেও একটু নাড়িয়ে দিয়েছে। দেখা গেল কংক্রিটের বিল্ডিংয়ে বেশি কাঁপ ধরলো। চিড় খেল। অথচ অট্টালিকার শহরের বড় ইটের বাড়ির মানুষেরা বুঝতে পারলেন না সেই ঝাঁকুনি। পার্ক স্ট্রিটের কংক্রিটের সুউচ্চ বহুতল যখন দোলা খাচ্ছে তখন তার মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে দাঁড়িয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল অটল হয়ে থাকলো। একই ঘটনার সাক্ষী থাকলো পার্ক স্ট্রিট, ডালহৌসী, রবীন্দ্র সদনের একাধিক পুরানো ইটের বহুতল।
রাইটার্স বিল্ডিং, কলকাতা পৌরসভা, রেলের কয়লাঘাটা অফিস, জি পি ও, স্ট্র্যান্ড রোডের পোর্ট ট্রাস্ট বিল্ডিংয়ে পড়লো না সামান্য ছোঁয়াচ। সরকারী অফিসের কর্মীদের ভূমিকম্প বুঝতে হলো টিভি দেখে। ক্ষণিকের ভূমিকম্প বউবাজারের নয় তলা এক বহুতলকে কাত করে ছেড়েছে। চার সেকেন্ডের মৃদু ভূমিকম্প যখন ধর্মতলার লিন্ডসে স্ট্রিটের আট তলা বিল্ডিংয়ে ফাটল ধরিয়ে দিচ্ছে তখন একই প্রাবল্যের সেই কাঁপুনিকে পুরোদস্তুর হজম করে নিলো শতাব্দী প্রাচীন গর্ভনর হাউস বা আকাশবাণী ভবন। কেন এমনটা হলো ? নির্মাণ বিজ্ঞানের নিরিখে অবশ্য কংক্রিট বনাম ইটের বিতর্কে নেমে পড়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। অনেকে আবার ইটকেই জিতিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের কথায় চওড়া দেওয়ালের ইটের বাড়ি উঁচুই হোক না কেন তা দোলে কম। অপরদিকে কংক্রিটের বহুতলে ঝাঁকুনিটা বেশি হয়। সেইজন্যই বহুতলের পাশ দিয়ে ভারী গাড়ি গেলে তার কাঁপ ধরে। একে ‘ডাম্পিং এফেক্ট’ বলে।
ব্রিটিশ স্থাপত্য প্রযুক্তিতে যে বেলনাকৃতি পিলার ব্যবহার করা হয় তা সব ইট কেটে তৈরি। এগুলোর ভার বহনের ক্ষমতাও অনেক বেশি। একদিকে ইটের তৈরি প্রশস্থ ভারী দেওয়াল আর অন্যদিকে সুষম বিন্যস্ত ইটের বেলন পিলার। সব মিলিয়ে ছোট থেকে মাঝারি কম্পন সব ধরনের কম্পনকে হজম করতে পারে ইটের স্থিতিস্থাপক সংযুক্তি। মাটির কাঁপুনি সহজে ফেলে না দিলেও দুলুনির চোটে ইটের উঁচু বাড়ি পড়ে যাওয়াটা বেশ কঠিন। কারণ মোটা মানুষকে নাড়ানো বা দোলানো রোগা মানুষের থেকে সহজ। অন্যদিকে, আধুনিক কংক্রিটের বহুতল গড়ে ওঠে শুধু লোহা-স্টোনচিপের খাঁচায়। আর লোহার কংক্রিটে একবার বড়সড় ফাটল হলে তা তাসের ঘরের মতো পড়ে যেতে বাধ্য। ১১ই এপ্রিল সেই কাঁপুনির একপ্রস্থ দেখা গেল। ২০১১সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কলকাতাবাসী অনুভব করেছিলো আর এক দুলুনি। পরবর্তীটি কবে ? সেটাই এখন প্রশ্ন। তবে ভুলে গেলে চলবে না ১৭৩৭সালের ১১অক্টোবর এই শহরেই ঘটেছিলো মারাত্মক ভূমিকম্প। লক্ষাধিকের প্রাণও গেছিলো।


২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×