বাংলাদেশের রেলওয়ের সাত হাজার পদ খালি হয়েছে। সেসব পদে নিয়োগ দান করার লক্ষে বিজ্ঞপ্তিও প্রচারিত হয়েছে। দেশের ৩ কোটি বেকার যখন এই পদগুলো অলংকৃত করার স্বপ্ন দেখছে, ঠিক তখন রেলওয়ের কর্তাব্যক্তিরা রেলকে কলঙ্কিত করতে ”ঘুষ’’ উৎসবে মেতে উঠেছে। গত ১২ এপ্রিল’১২ সমকালে প্রকাশিত হয় রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম, পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধার হাতেই রেলের সমস্ত ঠিকাদারিসহ অন্যান্য চাকরির কর্তৃত্ব। দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে বাবুল আখতার নামের এক ঠিকাদারের কাছ থেকে জিএম মৃধা ২০ লাখ টাকার কাজের জন্য ১লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে। এসব কথাকে সত্য প্রমাণ করলো গত ৯ এপ্রিলের গভীর রাতের ঘটনািিট। রেলমন্ত্রী যবন সুরঞ্জিত সেনের বাড়ির পথে সত্তর লাখ টাকাসহ ধরা পড়লো মন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারসহ রেলের জিএম মৃধা।
একজন চোরকে যদি গভীর রাতে পুকুর ঘাটে দেখা যায় তাহলে সবাই তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হয়ে যায়। ভুল করেও কেউ ভাবে না, যে, সে তাহাজ্জুদ পড়তে ওযু করার জন্য পুকুর ঘাটে এসেছে। কাজেই জিএম মৃধা আর এপিএস তালুকদার যখন মন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার পথে একসাথে গভীর রাতে ৭০ লাখ টাকাসহ ধরা পড়ে, তখন পিছনের কাহিনী বিজ্ঞজনের জানা হয়ে যায়। রেলওয়ের সাত হাজার পদের নিলামে সুরঞ্জিতরা কত কোটি টাকা খাচ্ছে তা হিসাব করার সময় এসেছে।
যখন টাকার অভাবের কথা বলে সরকার বিদেশের কাছে ভিক্ষার থলি হাতে দৌড়ায় তখন এক রেল খাতেই চলছে কোটি টাকার খেলা। এরকম সর্বমোট মন্ত্রনালয়ে সর্বমোট দুর্নীতিবাজরা সর্র্বমোট কত টাকা পকেটে পুরছে তা খতিয়ে দেখার কেউ নেই। কারণ, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।