somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুরঞ্জিতের পদত্যাগ!

১২ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অথকেলেঙ্গারির দায়ে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তে এপিএস কে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার পদত্যাগ রেলমন্ত্রীর।
বস্তা বস্তা টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের চাপে পরে তিনি........................................................

------------------------------------------------------=========================বিস্তারিত----------

পদত্যাগ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেকে সবসময় একজন ‘নীতিবান’ ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন তাতে জনগণ তাকে আওয়ামী লীগের ‘বিবেক’ বলে মনে করে নিয়েছিল। তিনি তখন মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেছিলেন, শুটকির বাজারে যদি বিড়ালকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে তার অবস্থা যা হওয়ার তাই সরকারের অনেক মন্ত্রণালয়ে হচ্ছে। কিন্তু এখন তো ‘কালো বিড়াল’ তার ঘরেই। এখন তিনি কী বলবেন-এই প্রশ্ন বড় হয়ে আসবে সেটাই স্বাভাবিক।

সুরঞ্জিত বলেছেন, “এপিসিএস কোথায় কী করছে তা জানান দায়িত্ব আমার নয়।” প্রশ্ন হলো-তিনি যদি এপিএস-এর দায়িত্বই নিতে না পারেন তাহরে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কেন নিলেন। তাকে কি আসলেই কোনো ‘দায়িত্বশীল’ ব্যক্তি বলা যায়-তাকে দোষ দেয়া যাবে?

এক ব্যক্তি অবৈধ টাকা নিয়ে ধরা পড়লো-তাকে পুলিশে দেয়া হলো না কেন? তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য রেলের লোকজন ওঠেপড়ে নামলো। মন্ত্রী নিজেও নাকি এ ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছেন। এর অর্থ একটাই, এই টাকার উৎস যাতে কেউ না জানতে পারে। প্রশ্ন ওঠেছে-মন্ত্রী কি এই টাকার কথা জানতেন না? তিনি জানতেন না-এটি এখন আর কেউ বিশ্বাস করবে না। সুরঞ্জিত তার স্বভাবসুলভ এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যতই ‘আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ’ নিয়ে তাত্ত্বিক বক্তব্য রাখুন না কেন-কেউ তা যে মানবে না তা বলাই বাহুল্য।

বুধবার এই খবরটি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। সুনামির আতঙ্কও এই বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে পারেনি। বরং এপিএস ওমর ফারুকের এই খবরই রাজনীতিতে এক ধরনের সুনামি তৈরি করেছে। কর্নেল অলি সুরঞ্জিতকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পদত্যাগের দাবি করেছেন। গয়েশ্বর রায়ও একই কথা বলেছেন। রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে চারদিকে উত্তপ্ত পরিবেশ। তবে সুরঞ্জিতের দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।

বলা হচ্ছে, রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা এপিএস ফারুক তালুকদার। এটি কি সুরঞ্জিত জানতেন না? তিনি দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। দেখা যায়, এপিএস’র তদন্ত করবেন পিএস। বিষয়টি যে হাস্যকর তা বলাই বাহুল্য। তাই বিএনপির এমপি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।

শোনা যাচ্ছে, যে দেশপ্রেমিক ড্রাইভার এই অবৈধ টাকা বিজিবির হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদি তাই হয় তাহলে তা কেবল সুরঞ্জিতের জন্য নয়, মহাজোট সরকারের জন্যও একটি অশনি সংকেত হয়ে দেখা দেবে। সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বিষয়টি নিশ্চিত জানেন। সামনেই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগমুহূর্তে এমন একটি ঘটনা সরকারের জন্য যে বুমেরাং হবে তা তো আর অস্বীকার করা যাবে না। সরকার বিষয়টি কিভাবে সামলান-সেটিই এখন দেখার বিষয়।
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কি পদত্যাগ করবেন-এখন গোটা দেশে এই প্রশ্ন ওঠেছে। এ প্রশ্ন ওঠার কারণও রয়েছে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেকে সবসময় একজন ‘নীতিবান’ ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন তাতে জনগণ তাকে আওয়ামী লীগের ‘বিবেক’ বলে মনে করে নিয়েছিল। তিনি তখন মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেছিলেন, শুটকির বাজারে যদি বিড়ালকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে তার অবস্থা যা হওয়ার তাই সরকারের অনেক মন্ত্রণালয়ে হচ্ছে। কিন্তু এখন তো ‘কালো বিড়াল’ তার ঘরেই। এখন তিনি কী বলবেন-এই প্রশ্ন বড় হয়ে আসবে সেটাই স্বাভাবিক।

সুরঞ্জিত বলেছেন, “এপিসিএস কোথায় কী করছে তা জানান দায়িত্ব আমার নয়।” প্রশ্ন হলো-তিনি যদি এপিএস-এর দায়িত্বই নিতে না পারেন তাহরে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কেন নিলেন। তাকে কি আসলেই কোনো ‘দায়িত্বশীল’ ব্যক্তি বলা যায়-তাকে দোষ দেয়া যাবে?

এক ব্যক্তি অবৈধ টাকা নিয়ে ধরা পড়লো-তাকে পুলিশে দেয়া হলো না কেন? তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য রেলের লোকজন ওঠেপড়ে নামলো। মন্ত্রী নিজেও নাকি এ ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছেন। এর অর্থ একটাই, এই টাকার উৎস যাতে কেউ না জানতে পারে। প্রশ্ন ওঠেছে-মন্ত্রী কি এই টাকার কথা জানতেন না? তিনি জানতেন না-এটি এখন আর কেউ বিশ্বাস করবে না। সুরঞ্জিত তার স্বভাবসুলভ এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যতই ‘আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ’ নিয়ে তাত্ত্বিক বক্তব্য রাখুন না কেন-কেউ তা যে মানবে না তা বলাই বাহুল্য।

বুধবার এই খবরটি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। সুনামির আতঙ্কও এই বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে পারেনি। বরং এপিএস ওমর ফারুকের এই খবরই রাজনীতিতে এক ধরনের সুনামি তৈরি করেছে। কর্নেল অলি সুরঞ্জিতকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পদত্যাগের দাবি করেছেন। গয়েশ্বর রায়ও একই কথা বলেছেন। রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে চারদিকে উত্তপ্ত পরিবেশ। তবে সুরঞ্জিতের দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।

বলা হচ্ছে, রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা এপিএস ফারুক তালুকদার। এটি কি সুরঞ্জিত জানতেন না? তিনি দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। দেখা যায়, এপিএস’র তদন্ত করবেন পিএস। বিষয়টি যে হাস্যকর তা বলাই বাহুল্য। তাই বিএনপির এমপি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।

শোনা যাচ্ছে, যে দেশপ্রেমিক ড্রাইভার এই অবৈধ টাকা বিজিবির হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদি তাই হয় তাহলে তা কেবল সুরঞ্জিতের জন্য নয়, মহাজোট সরকারের জন্যও একটি অশনি সংকেত হয়ে দেখা দেবে। সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বিষয়টি নিশ্চিত জানেন। সামনেই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগমুহূর্তে এমন একটি ঘটনা সরকারের জন্য যে বুমেরাং হবে তা তো আর অস্বীকার করা যাবে না। সরকার বিষয়টি কিভাবে সামলান-সেটিই এখন দেখার বিষয়।
২২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০



ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×