জলের তলে
সাঁতরেছি অনেক
অনেক নদী, পারাবার, জলাধার
তীরে পৌছেও, ডাঙায় উঠতে পারিনি
কিনার ধরতেই পিছলে গেছি
ডুবে, জলের নিচে পাথরে মাথা ঠুঁকে
আবার ভেসে উঠেছি ;
এরপর থেকে শরীরে ছাই মেখে নামব ।
মাছেরা তো কখনও ডাঙায় উঠার
স্বপ্ন দেখে না –
তবু তাদের উঠতে হয়,
জল ছেড়ে, লোকালয়, শহর, বাজার
দেখা হয় ধারালো বঁটি
হেঁসেলের আগুনে ঝলসে
মানুষের অন্ত্র, পরিপাক তন্ত্রে বিলীন ।
তবুও স্বপ্ন দেখে, পানিতেই বাঁচতে চায় ।
আমি ডুবি-ভাসি
জলের থেকে পরিত্রাণ চাই
কিন্তু স্বপ্ন; তা তো তেমন হয় না
যেমনটা দেখা হয় ।
ভাঁসতে ভাঁসতে মরি
ডুবতে ডুবতে বাঁচি
মরণ যে আমার এখানেই ।
আজ আমার বাঁস,
পানির তলার শুকনো ঘাস
পূঁর্নিমা রাতে ভেসে উঠি
চাঁদের আলোতে সাজব বলে
আয়নাতে মুখ দেখে
কপালে চাঁদ রেখে
অনেক দিনের এলোমেলো চুল আঁচড়ে নেব ।
জলে নেমেছিলাম
মাথার উঁকুন গুলো ধুয়ে ফেলতে
তা গেছে ঠিকই
জড়িয়েছে সাপ, বাসা বেঁধেছে কুমিড়
জল-পড়ির সাথে দেখা আজও হয় নি ।
এখানে তো বেশ আছি –
অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না
ঘুমিয়ে ঘূমিয়ে বাঁচা
আর সবুজ শ্যাওলার সাথে
ভেসে বেড়ানো, বিলীন হয়ে যাওয়া ।