somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডাক্তার ও আমার বাংলাদেশ

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পত্রিকায় লেখার মত বিশেষ কোন যোগ্যতা কিংবা পদবি আমাদের নেই। তাছাড়া সাংবাদিকও নই, সাধারণ মানুষ। তারপরও লিখলাম। যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টির বদৌলতে এই লেখাটি পাঠকের দৃষ্টিতে আসার সুযোগ পায়। তাহলে নিজেদের ধন্য মনে করব।
একটা অতি পরিচিত কৌতুক দিয়ে শুরু করছি। নরক প্রদর্শন করতে পাঠানো হয়েছে এক স্বর্গবাসী লোককে। সাথে দেবদূত। অনেকগুলো নরক দেখার পর একটা নরকের সামনে এসে তিনি দাঁড়িয়ে পড়লেন, কী ব্যাপার এই নরকের চারিদিকে কোন দেয়াল নেই, পাহারাদার নেই, অথচ বাকী সবগুলোতে আছে! তিনি অবাক হয়ে দেবদূতকে জিজ্ঞাসা করলেন। দেবদূত বললেন- এখানে বাঙ্গালীরা থাকে। এরা এমন যে, একজন যদি কোনভাবে উঠতে চেষ্টা করে, তো বাকীরা সবাই মিলে তাকে নিচ থেকে টেনে নামিয়ে দেয়। এজন্য এখানে দেয়াল ও পাহারাদার কিছুই লাগেনা।
আমরা মনে হয় পারের শ্রীতে একটু বেশীই কাতর। এজন্য আমাদের নিয়ে এরকম বেশ কিছু কৌতুক হয়েছে। যাই হোক। এবার প্রসঙ্গে আসি। গত কিছুদিন আগে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সম্পর্কে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের করা কিছু মন্তব্য নিয়ে যে আলোচনার ঝড় উঠেছে এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষের ডাক্তারদের সম্পর্কে যে ধারণার প্রকাশ ঘটেছে তা দেখে এতটাই কষ্ট লেগেছে যে, মনে হয়েছে এই প্রিয় মাতৃভূমি বুঝি আর বসবাসের উপযোগী রইলনা।
কয়েকদিন আগে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোয় সাহিত্যিক আনিসুল হক সাহেব একটা কলামে লিখেছিলেন- ‘শপথ নিয়েছিলাম, কখনও এই দেশ ছেড়ে যাব না। এখন যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে কিছুদিন পর দেশ আর বসবাসের উপযোগী থাকবেনা।’ আসলে বাস্তবতা এখন আমাদের এইভাবে ভাবতে বাধ্য করছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান চিকিৎসকদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন। এর জন্য তিনি দুঃখও প্রকাশ করেছেন। বলেছেন তিনি সব ডাক্তারদের উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেননি। তাছাড়া তার মূল্যায়ন ছিল মাত্র একটি নির্দিষ্ট হাসপাতাল সম্পর্কে। পুরো বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে নয়। আবেগতাড়িত হয়ে তিনি কথাগুলো বলে ফেলেছেন, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে বলেননি। তিনি এই ভুল বোঝাবুঝির সমাপ্তি আশা করেছিলেন। তার এই উপলব্ধির জন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কিন্তু তার মন্তব্যগুলোকে সমর্থন করে পত্রিকায় ও পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে যে ধরণের বিশ্রী ভাষায় লেখালেখি হয়েছে এবং সাংবাদিক মশিউল আলম সাহেব ডাক্তারদের নিয়ে যে ধরণের মন্তব্য করেছেন তাতে মনে হয়েছে, গোটা দেশে যদি অমানুষ শ্রেণীর কেউ থেকে থাকে তবে সেটা শুধুমাত্র ডাক্তাররাই। এরা শুধুমাত্র রক্তচোষা ধরণের এক বিশেষ প্রাণী।
হ্যাঁ, ডাক্তাররা একটু বিশেষ শ্রেণীরই। জীবনানন্দ দাশ বলেছিলেন- “সবাই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।” যারা ব্লগে এবং পত্রিকায় এত বাজে ভাষায় লেখালেখি করছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা কিংবা মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থা সম্বন্ধে তাদের কতটুকু ধারণা আছে এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সন্দিহান।
তারা এদেশের চিকিৎসক সমাজ নিয়ে এমনভাবে কথাবার্তা শুরু করছেন যে, দেশের জনগণ আর চিকিৎসকদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে উপস্থাপন করা শুরু করেছেন। কলম হাতে থাকলেই যে তাকে ইচ্ছামত,
যত্রতত্র ব্যবহার করা উচিত না এই বিষয়ে মনে হয় তাদের কান্ডজ্ঞানের অভাব আছে। ইতিমধ্যে এসব বিষয় নিয়ে পত্রিকায় বিশেষ করে প্রথম আলোতে বেশ কয়েকটি লেখা এসেছে। যেখানে জনমনের অনেক প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। তারপরও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠে আসা অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর এখানে সবার জ্ঞাতার্থে উপস্থাপনের চেষ্টা করলাম-
হেলথ ওয়াচের পরিসংখ্যানÑ ‘বাংলাদেশে একজন চিকিৎসক একজন রোগীর পিছনে সময় দেন ৫৪ সেকেন্ড’। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসক ৬০,০০০ জন। এর মধ্যে কতজন মারা গেছেন, কতজন পেশা ছেড়ে দিয়েছেন, কতজন দেশের বাহিরে আছেন তার কোন নির্দিষ্ট হিসাব নেই। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি। যদি ডাক্তারের সংখ্যাটা ৬০,০০০ ও হয়, তাহলে প্রতি প্রায় ৩,০০০ জনের জন্য ডাক্তার আছেন ১ জন। এটা গেল গড় হিসাব। আর গ্রাম এলাকায় এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে ১ লাখ মানুষের জন্য ডাক্তার আছেন ২ কি ৩ জন। তাহলে হেলথ ওয়াচের ৫৪ সেকেন্ডের হিসাবটা যদি সঠিকও হয়, আপনারা কি মনে করেন ডাক্তাররা চাইলেই এই ৫৪ সেকেন্ডকে ১৫ মিনিট করে ফেলতে পারবেন। এখনও এদেশে প্রায় ৬,০০০ সরকারী ডাক্তারের পোস্ট খালি আছে। এজন্য কি ডাক্তাররা দায়ী! আর যারা সরকারী ডাক্তার না তারা হয় চেম্বার করছেন অথবা বেসরকারী কোন হাসপাতালে কাজ করছেন। আপনাদের কি ইচ্ছা যে তারা দানসূত্র খুলে বসবেন। ভুলে যান কেন আপনার পেশার মত ডাক্তারীটাও একটা পেশা। এটা কোন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম না। নিজের কাজের মধ্যে সততা, একাগ্রতা, আন্তরিকতার প্রয়োজন আছে। তবে সেটা নিশ্চয়ই শুধুমাত্র চিকিৎসকদের জন্য না, সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
সাংবাদিক মশিউল আলম সাহেব বললেন- ‘বাংলাদেশের মানুষ গরীব বললে সবাইকে বুঝানো হয় না, বেশীর ভাগকে বোঝানো হয়। এর মানে এই না যে বাংলাদেশে কোন ধনী ব্যক্তি নাই।’ কি চমৎকার! কিসের সাথে কিসের উপমা। গরীব আর রক্তচোষা অমানুষ কি এক কথা হল? আমরা যদি বলি বাংলাদেশের সব সাংবাদিকরা গরীব, এটা কি কোন গালি হবে? গরীব হওয়ার কি কোন অপরাধ আছে, গরীব হওয়াটা কি খুব লজ্জার ? আবার যদি বলি বাংলাদেশের সব সাংবাদিকরা দূর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী। তাহলে আপনাদের কেমন লাগবে। কারণ আমরা জানি সাংবাদিকদের ভেতর অসৎ, দুর্নীতিবাজ লোকও আছে। তাই বলে তো সবাইকে গালি দেয়া যায় না! এটা তো কোন ধরণের ভদ্রতা কিংবা সভ্যতার ভিতর পড়ে না।

‘ডাক্তাররা বেশী ফি নেন।’ আমরা তো বলি, বাংলাদেশের ডাক্তাররা খুবই কম ফি নেন। মোটামুটি মধ্যম মানের একটা সেলুনে চুল কাটতে গেলে লাগে ৪০-৫০ টাকা। আর কোনভাবে যদি মুখে ফেইস ওয়াস ঘষতে পারে তো ১০০ টাকা। একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রীকে একটা ছোট কাজ করালেও দিতে হয় ১০০ টাকা। মোবাইল ফোনটা ঠিক করতে নিয়ে গেলে মোবাইলে হাত দিলেই ৩০০ টাকা। আমরা ঐ টাকাগুলো শুধুমাত্র পরিশ্রম কিংবা সময়ের বিপরীতে দেইনা। এগুলো বলে সম্মানী। সবাইতো আর সব কাজ করতে পারে না। সাংবাদিক সাহেবকে চুল কাটতে বাসিয়ে দিলে কিংবা ডাক্তার সাহেবকে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতে বসিয়ে দিলে তো হবেনা। যার কাজ এটা তারই বিশেষ জ্ঞান। আমরা টাকাটা দেই সেই জ্ঞানকে সম্মান দেখিয়ে। ১০০০০ টাকা দিয়ে মোবাইল সেট কিনতে পারেন, যে কাজটা ১৫০০ টাকার মোবাইল দিয়েও চালানো যায়। শুধু ডাক্তারদের টাকা দিতে গেলেই কষ্ট হয়। শুধু বলব, মনটা একটু বড় করুন। মানুষের প্রধান ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা ৫ নম্বরে। হিসাব করে দেখেন তো বাকী ৪টির কোনটা কেউ আপনাকে বিনামূল্যে দেয় কিনা। বরং এদেশে মানুষের মৌলিক চাহিদা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয় প্রতিনিয়ত।
সরকারি হাসপাতালগুলোর বেহাল অবস্থা। ওখানে মানুষ সেবা পায় না। সবার একই অভিযোগ। কিন্ত তারপরও তো প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে বিনামূল্যে সেবা দিচ্ছে এই হাসপাতালগুলো। ডাক্তাররা যদি কাজ নাই করেন তাহলে ঔ হাসপাতালগুলো চালায় কারা, কিভাবে চলে। তারপরও সত্যিকথা হলো সরকারি হাসাপাতালের পরিবেশ ভালো না। সেবার মান ভাল না। কিন্তু কিভাবে হবে? বলতে পারেন সরকারি হাসপাতালগুলোতে কতজন রোগীর জন্য কতজন ডাক্তার আছেন। আগেই বলেছি এখনও দেশে প্রায় ৬,০০০ ডাক্তারের পোষ্ট খালি আছে। এই দায়দায়িত্ব কার। ডাক্তারদের...?
এই সরকারি হাসপাতালগুলোর বেশীরভাগই চলছে ‘অনারারী মেডিকেল অফিসার’ আমরা দুঃখ করে যাকে বলি ‘অনাহারী মেডিকেল অফিসার (বিনা টাকার সার্ভিস)’, শুধুমাত্র তাদের আর ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কারণে। শ্রদ্ধেয় ডাঃ আব্দুল্লাহ স্যার যে টিম ওয়ার্কের কথা বলেছেন- সেই টিমের বাকী সদস্যরা এবং প্রশাসন যাদের ব্যবস্থাপনায় হাসপাতাল পরিচালিত হয়, তারা থাকে রাজনীতির ছত্রছায়ায়। এখানে অব্যবস্থাপনার জন্য ডাক্তারদের কি করার আছে?
ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে তারা গ্রামে নিয়োগ পেলে সেখানে যেতে চান না, থাকেন না। একজন ডাক্তারের থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা না করেই তাকে তার পরিবার ছেড়ে, সমাজ ছেড়ে গ্রামে যেতে বলবেন আর বলবেন ‘নে বাবা সেবা কর’ এটা কেমন কথা? বিসিএস ক্যাডারের আর কোন ক্যাডার এরকম গ্রামে নিয়োগ পান বলেন তো। তারপরও তো অনেক ডাক্তার অনেক কষ্ট স্বীকার করে গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করছেন। একজন ডাক্তারের থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা করার পরও যদি কেউ সেখানে যেতে না চান তাহলেই কেবল আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারি।
বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে ডায়গনষ্টিক সেন্টার, এগুলোর কোনটার যে লাইসেন্স আছে আর কোনটার নেই। কোনটাতে ডাক্তার রিপোর্ট করছেন আর কোনটাতে ল্যাব ট্যাকনিশিয়ান। এর খবর কি এদেশের সরকার রাখে। আর রাখলেও যে, অনেক ক্ষেত্রে তাদের কিছুই করার নেই, সেটা আমরা বুঝি!
এই দেশ হচ্ছে একটা সব সম্ভবের দেশ। যে এইসব আনিয়মের খবর রাখবে, দেখা গেল সে নিজেই শেয়ার হোল্ডার। এই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো কী রিপোর্ট দিচ্ছে আর এই রির্পোটের উপর ভরসা করে ডাক্তাররা কিভাবে চিকিৎসা করবেন বলতে পারেন? আবার ভাল একটা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নাম বলে দিলে তখন বলবেন ডাক্তার কমিশন খায়। তাহলে বলুন ডাক্তাররা এখন কী করবে? এই অনিয়ম দেখার দ্বায়িত্ব কি ডাক্তারের নাকি সরকারের।
বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘নো ফ্রি লাঞ্চ’ লেখাটি পড়েছিলাম। আমেরিকায় তার পরীক্ষা নিরীক্ষার রির্পোট দেখে তাকে পরামর্শ দেয়ার জন্য ডাক্তার নিয়েছেন ৩,০০,০০০/- (মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য)। আর আমেরিকার মত উন্নত দেশেও নো ফ্রি লাঞ্চের মত নো ফ্রি ট্রিটমেন্ট। টাকা না থাকলে কেউ চিকিৎসা পাবেনা তা নয়। তবে এই টাকা কোন অবস্থায় মাফ করা হবে না। সারা জীবনে ৫ ডলার করে হলেও দিয়ে যেতে হবে এবং পুরো টাকাটাই শোধ করতে হবে। যেখানে আমাদের দেশের কোটি কোটি মানুষ এখনও বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছে। বাংলাদেশে এত কম টাকায় যে মানের সেবা দেয়া হয় সেটা বিশ্বের আর কয়টা দেশে চালু আছে হিসাব নিয়ে দেখুন।
একজন বাঙ্গালী চিকিৎসক, যিনি বর্তমানে ইউরোপে কর্মরত আছেন। গত ৯ই মার্চ প্রত্রিকার অনলাইন সংস্করণে তার প্রতিক্রিয়ায় যা লিখেছেন তার কয়েকটি লাইন এখানে তুলে ধরলাম- “আমি যে দেশে আছি সেখানে লোকাল হেলথ সেন্টারে প্রতিদিন একজন ডাক্তার রোগী দেখেন ৬জন। একজন রোগীর জন্য ১ ঘন্টারও বেশি সময় পাওয়া যায়। আগে ফোনে সিরিয়াল নিতে হয়। রোগী কতটা মরণাপন্ন সেটা দেখার বিষয় না। বিষয়টা হচ্ছে সিরিয়াল নেয়া আছে কিনা। কোন অবস্থায় কেউ ডাক্তারকে ১ জনও বেশি রোগী দেখতে বাধ্য করতে পারবেনা। এটাই সিষ্টেম। ইমার্জেন্সী সার্ভিস আলাদা। সেখানেও সিরিয়াল আছে। সবকিছুর মধ্যে একটা সিষ্টেম আছে। কোন নেতা, পাতি নেতা কিংবা তার চেলা-চামুন্ডাদের খবরদারি নেই। ক্লাস টেনও পাশ না করা ইউপি চেয়ারম্যানকে জবাবদিহিতা করতে হয়না সেখানে। আর বেতন, যতটুকু পাই তাতে বাংলাদেশের একটি হেলথ কম্পে­ক্সের সব ডাক্তারদের বেতন দিয়ে আরো থাকবে।”
আমরা কিভাবে এইদেশে ইউরোপের সেবা আশা করি। যেখানে নিচ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত সবাই দূর্ণীতিগ্রস্থ সেখানে এই আশা অযৌক্তিক। যতদিন না আমরা দূর্ণীতি, নোংরা রাজনীতি, স্বজনপ্রীতি আর পরিবারতন্ত্রকে দেশ থেকে লাথি দিয়ে বের করতে পারবনা। ততদিন আমরা ভাল কিছু আশা করতে পারবনা।
‘যেসব ডাক্তাররা দিনে ৫০ জন রোগী দেখেন তাদের ইনকাম কত, তারা কি আয়কর দেন?’ এই কথাগুলো পড়ে খুব খারাপ লাগলো। মানুষ কতটা হিংসুটে হলে এইভাবে চিন্তা করতে পারে। ডাক্তাররা কি রোগীদের বাসা থেকে কিংবা রাস্তা থেকে চেম্বারে ধরে নিয়ে আসেন। রোগীরা আসে বলে, তাদের চাহিদা আছে বলে ডাক্তাররা দেখেন। তিনি যদি ১৫ জন রোগী দেখে বাকীদের বিদায় করে দেন, তাহলে সেই রোগীরা কোথায় গিয়ে চিকিৎসা নিবে? কার কাছে যাবেন? তখনতো আবার আপনারাই বলবেন ডাক্তারদের মানবতা নেই। পারলে পত্রিকায় খবর বানিয়ে দিবেন।
স্বচক্ষে দেখা একটা ঘটনা বলি - একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ১৫ জনের বেশী রোগী দেখেন না। সিরিয়াল দেয়া হয় আগের দিন। একদিন তার চেম্বার শেষ হওয়ার পর একজন রোগী আসল। খুব অনুনয় বিনয় করে অনুরোধ করল। তিনি বললেন, আপনারা তো জানেনই আমি ১৫ জনের বেশী রোগী দেখিনা, দুঃখিত। মুহুর্তের মধ্যে ঐ রোগীর কাছে ডাক্তার অমানুষ হয়ে গেলেন। তার কোন মানবিকতা নেই। আবার তিনি যদি ৪০-৫০ জন রোগী দেখেন। তাহলে হয়ে যাবেন রক্তচোষা।
ভাই আসলে সমস্যাটা কোথায়? ডাক্তাররা কি করবে? আপনাদের এই দু’মুখো দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ডাক্তারদের দয়া করে রেহাই দেন। আর আয়কর! বাংলাদেশে যারা নিয়মিত আয়কর দেন, তাদের মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশী আছেন ডাক্তাররা। এতথ্য কি আপনার জানা আছে। আর যারা আয়কর দেন না, তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন। তবে নিশ্চই যারা আয়কর ফাঁকি দেন তারা শুধুমাত্র ডাক্তার না।
‘ঔষধ কোম্পানীর লোকেরা ডাক্তারদের প্রণোদনা দেয়’ আরে ভাই ডাক্তাররা কি ঔষধ কোম্পানীর লোকদের দাওয়াত দিয়ে তাদের কাছে নিয়ে আসেন। এই নিয়ম কে চালু করেছে? নিশ্চই ডাক্তাররা এর নীতি নির্ধারক না। যারা চালু করেছেন তারাই তো বন্ধ করতে পারেন। তাহলে ডাক্তারদের আর প্রণোদনা দেয়ার কোন সুযোগ থাকবেনা। ডাক্তাররা কি কখনও বলেছেন ঔষধ কোম্পানীর লোকদের তাদেরকে ভিজিট করতেই হবে, এজন্য কি কোন সময় ডাক্তাররা কোন আন্দোলন কিংবা আবেদন করেছিলেন কারো কাছে। সরকার আইন করে ঔষধ কোম্পানীগুলোর আসা বন্ধ করে দিক। ডাক্তাররা জেনেরিক নামেই ঔষধ লিখতে বরং বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
আর অপ্রয়োজনীয় ঔষধ! ওগুলো ডাক্তাররা লেখেন না। এগুলোর জন্য দায়ী পল্লী চিকিৎসক নামের হাতুড়ে চিকিৎসক আর ফার্মেসীওয়ালারা। যারা ৩-৬ মাসের পল্লীচিকিৎসকের কোর্স করে গ্রামেগঞ্জে শতশত রোগী দেখছেন। ফার্মেসী ওয়ালারা ফার্মেসীতে বসে ডাক্তারী করছে আর ঔষধের ব্যবসা করছে। ইচ্ছামত এন্টিবায়োটিক দিচ্ছে মানুষকে। আর অসহায় মানুষগুলো মুড়ির মত গিলছে এগুলো। এদেরকে লাইসেন্স দিয়েছে কে? আর এগুলো বন্ধ করার দায়িত্বইবা কার? ডাক্তারদের নাকি সরকারের? যে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাথা অর্থাৎ সরকারই বিকলাঙ্গ, পঙ্গু প্রায়। সেখানে আপনি সবদোষ ডাক্তারের ঘাড়ে কিভাবে চাপান। এটা কি উদড়পিন্ডি বোঁদড় ঘাড়ে হয়ে গেল না?

বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা প্রায় নেই বললেই চলে। দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছরে অমানুষিক পরিশ্রম করে এমবিবিএস পাশ করার পর একজন ডাক্তারের অবস্থা এমন হয় যে, মেডিকেলের প্রাইমারী স্কুল পাশ করলাম মাত্র। বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলোর মেয়াদ ৫ বছর। যেগুলো পাশ করতে সাধারণত সময় লাগে ৮-১৫ বছর। এই দীর্ঘ সময় ডাক্তারদের যে কিভাবে কাটে এটা শুধুমাত্র ডাক্তাররাই জানে। এরমধ্যে আছে অনারারী ট্রেনিং অর্থাৎ বিনা বেতনের চাকরী। জীবনের দীর্ঘ ১৫-২০ বছর মেডিকেল শিক্ষার পিছনে ব্যয় করার পর আমাদের দেশের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফি নেন ৫০০ টাকা। আর অভিজ্ঞ অধ্যাপকদের কেউ কেউ নেন ৬০০ -৭০০ টাকা। এটাই সবার কাছে বেশী মনে হয়?
টিউশনীতে কোচিং সেন্টারে শিক্ষকরা যে ফি নেন, কোর্টে উকিলদের যে ফি দেন, সেটা কে নির্ধারণ করে দেয়? কিসের যুক্তিতে উকিল সাহেব এক মামলায় ৪-৫ লক্ষ টাকা নেন। মামলা কঠিন হলে তো আরো বেশি টাকা। ডাক্তাররা কঠিন সহজ সব রোগের জন্যই তো সমান ফি নেন। যারা ডাক্তারদের অমানুষ বলছেন বয়স থাকলে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করুন। আর না হলে ছেলে-মেয়েকে মেডিকেলে ভর্তি করিয়ে দিন। ৬-৭ বছর পর সেই আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দিবে। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা ৩০০০-৫০০০ এর বেশী হবে না। সব রোগীরা চান বিশেষজ্ঞ সেবা। এই অল্প সংখ্যক ডাক্তারের পক্ষে কিভাবে এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব। তাছাড়া আমাদের দেশে রেফারেল সিস্টেম নেই। সর্দিজ্বরের জন্যও মানুষ বিশেষজ্ঞের চেম্বারে চলে যায়। সুতরাং আপনারাই বলুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের চেম্বারে ভিড় হওয়া কি স্বাভাবিক নয়।
‘ডাক্তারের কাছে গেলেই একগাদা পরীক্ষা ধরিয়ে দেন। কই, আগের ডাক্তারা তো এভাবে দিতেন না।’ কথা ঠিক কিন্তু ডাক্তাররা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা দেন সেটা আপনি কিভাবে বুঝেন। এটা কি শিক্ষা এবং সচেতনতার অভাব নয়? বরং ডাক্তাররা পরীক্ষা দেয়ার সময় অবশ্যই রোগীদের রোগের লক্ষণ ও সামর্থ্যরে দিকে লক্ষ্য করেন। কিছু পরীক্ষা আছে আবশ্যক। কিছু করাতে পারলে ভালো। তাছাড়া নতুন নতুন আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা এসেছে যা আগে ছিলনা। যার সামর্থ্য নেই তাকে শুধু আবশ্যক পরীক্ষাগুলোই দেয়া হয়। বুকের এক্সরে, রক্ত পরীক্ষা, প্রশ্রাব পরীক্ষা এগুলো প্রায় সব রোগীদেরই করতে হয়। আমাদের শিক্ষকরা আমাদেরকে এভাবেই শিখিয়েছেন।
আরেকটা মজার ব্যাপার। ইদানিং প্রায়ই খবর পাওয়া যায় চিকিৎসকের অবহেলায়, ভুল চিকিৎসায় নাকি রোগী মারা গেছে। হাসপাতাল ভাংচুর, ডাক্তারের উপর চড়াও রোগীর স্বজনরা, গত কয়েক মাসে এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা পত্রিকায় পড়েছি এবং প্রত্যক্ষও করেছি। অদ্ভূত ব্যাপার হলো, রোগী ভুল চিকিৎসায় মারা গেছেন এটা রোগীর স্বজনরা কিভাবে বুঝেন? এর মানে তো এই দাঁড়ায় যে তারা জানে সঠিক চিকিৎসা কী আর ভুল চিকিৎসা কী! তারা যদি ডাক্তার না হয়েও বোঝেন কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক চিকিৎসা তাহলে এই দেশের ডাক্তারদের চিকিৎসা করার কী দরকার!। কী বিশ্রী অবস্থা, মানুষ ভুলে যায় যে, “মানুষ মরণশীল”। জীবন মৃত্যুর উপর কারোও কোন হাত নেই। ডাক্তারদের ও সীমাবদ্ধথা আছে। একটা পর্যায়ে তারাও অসহায়। একদিকে রোগীর স্বজনরা আর অন্যদিকে ইতিহাসের ছাত্র কিছু সাংবাদিক সাহেবও বুঝেন ভুল চিকিৎসা কী? আর পত্রিকার পাতা তো তাদের জন্য মনের ক্যান্ভাস। যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। এখন ডাক্তারদের উপায় কি? দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া?

আমরা চাই সবকিছুতে আইনের প্রয়োগ থাকবে। ডাক্তাররা আইনের ভিতর দিয়ে যাবেন। কারও অতর্কিত হামলা, দুর্ব্যবহার কিংবা ভাংচুরের শিকার হবেন না। আমাদের এতসব কথার মানে এই না যে, ডাক্তাররা দুধে ধোয়া তুলসি পাতা। তাদের কোন দোষ নেই। অবশ্যই তাদের মধ্যেও অসাধু লোক আছে। কেউ তো জন্মগতভাবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা সাংবাদিক হয়ে আসেনি। ডাক্তাররা এই সমাজেরই অংশ। যারা ডাক্তারদের এত সমালোচনা করছেন, গালি দিয়েছেন হয়ত কোন না কোনভাবে এরা তাদের আত্বীয়, তাদেরই প্রতিবেশী। আসলে আমাদের সমাজটাই পঁেচ গেছে। আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এক জঘন্য অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে।
ডাক্তার সাধারণ মানুষের শত্র“ না বরং বন্ধু। যে সমস্যাগুলো রোগীরা কারোও কাছে বলতে পারেন না, সেগুলোও তারা ডাক্তারের কাছে প্রকাশ করেন। বলতে পারেন এটা এক ধরণের আশ্রয়স্থল, সম্পর্কটা হওয়া উচিত বিশ্বাসের। রোগী জানবেন ডাক্তার তার সমস্যাটাকে খুব যতœ সহকারে নিজের সমস্যা মনে করে দেখবেন। আর ডাক্তার জানবেন সাধ্যের সবটুকু দিয়ে কিছু করার চেষ্টা করাটা তার দায়িত্ব।
বিশ্বাসটা ঠিক এই জায়গাটাতে। আর এই বিশ্বাসের অভাব হলে তৈরী হয় ভুল বোঝাবোঝি। সুতরাং যারা ডাক্তার ও সাধারন মানুষের মধ্যকার সম্পর্কটাকে শত্র“তায় রূপ দিতে চাইছেন অথবা এই প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেকে জাহির করতে চাইছেন, তারা ভুল করছেন। এইভাবে কোন সমস্যার সমাধান তো সম্ভবইনা বরং সমস্যা আরো জটিল আকার ধারণ করবে।
এক স্যারের কাছে শুনেছিলাম- “মানুষ অন্যের ক্ষেত্রে ঠিক সেভাবেই চিন্তা করে, যে রকম সে নিজে। মানুষ যে কোন কিছুকেই সর্বপ্রথম তুলনা করে তার নিজের সাথে।”
কারো সম্পর্কে কোন মন্তব্য করার আগে, তার জায়গা থেকে ব্যাপারটা ভেবে দেখা উচিত। এতে ভুল হবার সম্ভাবনা কম থাকে। যারা ডাক্তারদের সম্পর্কে এত বড় বড় কথা হাকালেন। একটু হিসাব করে দেখেন জীবনে বিনা লাভে কয়জন বিপদগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করেছেন। কতটুকু মানবসেবা করছেন প্রতিদিন। এই অমানুষ রক্তচোষা ডাক্তাররা প্রতিদিন নূন্যতম ৫ জন মানুষকে হলেও বিনালাভে সেবা দেয়।

যাই হোক, কথা আর বেশী লম্বা করা ঠিক হবে না। মিজানুর রহমান সাহেবের একটা কথা খুব ভাল লেগেছে- ‘আমি বিশ্বাস করি, কাউকে ছোট করে কখনও বড় হওয়া যায় না।’ সত্যি কাউকে ছোট করে কেউ কখনও বড় হয়নি। অন্যকে তার প্রাপ্য সম্মান দিন। সমস্যাকে সহজ করুন। জটিল করবেন না দয়া করে। বিশ্বাস ভাঙ্গবেন না, তৈরী করুন। এই বিশ্বাসের এখন আমাদের বড়ই অভাব। আর আবেগ, ওটা আমাদের একটু বেশী পরিমাণেই আছে। খোদ মানবাধিাকার কমিশনের চেয়ারম্যান পর্যন্ত এর হাত থেকে রেহাই পাননি। তার নিয়ন্ত্রণ দরকার। এই দূর্নীতিগ্রস্ত রাষ্টের জন্য যে নোংরা রাজনীতি আর স্বার্থান্নেষী অসৎ রাজনীতিকেরা দায়ী তারা আমাদের এই আবেগটাকে খুব বেশী ব্যবহার করেন। এই আবেগের জন্য আমরা মরি, আমরা মারি। এইদেশের রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়। যার ফলশ্র“তিতে আমরা নিঃস্ব হই আর তারা হন রাজা।
আসলে মনের ভিতর অনেক কথা। কথার ঝাপি খুলে বসলে শেষ করা যাবে না। প্রিয় পাঠক, আমাদের সমস্যা আসলে শিকড়ে। সমাধান ওখানে করতে হবে। পত্রপল্লবের যতœ নিয়ে খুব একটা লাভ নেই। সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। আর এইজন্য প্রয়োজন সৎ, নিষ্ঠবান, চরিত্রবান, কর্মঠ ও দেশপ্রেমী কিছু ভাল মানুষ। যারা জীবন দিবে তবু সত্যকে ত্যাগ করবেনা। তাহলেই আমরা ভাল চিকিৎসক পাব, সাংবাদিক পাব, ব্যবসায়ী পাব, আইনজীবি পাব, ভাল রাজনীতিবিদ পাব। এককথায় সুইপার থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত আমরা ভাল মানুষ পাব। তখন আর কমিশন গঠন করে মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে না। তখন মানুষ হবে মানুষের জন্য, মানুষের অধিকার রক্ষা করবে মানুষ। আমরা তরুণেরা সেই বাংলাদেশের স্বপ্নে পথ চেয়ে বসে আছি।

লেখক:
জুবায়ের আহমদ সিদ্দিকী
আহমদ শিবলী মুহিউদ্দীন
চিকিৎসক; সিলেট।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×