somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নব্য এক নাস্তিক

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় পাঠকবৃন্দ
আমাদের দেশে সম্প্রীতি নাস্তিকতার উদ্ভট নবজাগরণ শুরু হয়েছে, যারা বিচার ব্যবস্থার বেহাল দশার ফাকতালে শত সহস্র ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রাণে চাবুক মেরেও বহাল তবিয়াতে আছে। আসু্ন আমরা যারা খাটি মুসলমান বলে নিজেকে দাবী করি, তারা সবাই আরও ঈমানের বলে বলীয়ান হয়ে এসব নাস্তিকতার বিরুদ্ধে চরম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারকে উদাত্ত আহবান জানাই যাতে আর কোন আহাম্মক এরকম আচরণ করতে সাহস না পায়।

এখানে একটি বইয়ের কিছু অংশ তুলে ধরা হল যা উপন্যাসের আদলে লেখা। বইটির নাম ভাঙা মঠ। প্রকাশক সুভাষ চক্রবর্তী, বিজয় প্রকাশনী, শ্রীখণ্ডা বিএস পাড়া, কলকাতা-৭০০১৫২, প্রকাশকাল-মে, ২০০৪। ভারতে প্রকাশিত বইটি অতি সমপ্রতি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। লেখক সালাম আজাদ। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার দামলা গ্রামে। লেখক ওই উপন্যাসে ইসলাম আর মহানবী সা: সম্পর্কে এমন সব মন্তব্য করেছেন, তা পড়লে যেকোনো বিবেকবান মানুষের অন্তরে ক্রোধের আগুন জ্বলে উঠবে।

গল্পের এক চরিত্র নূরুল হোসেনের জবানীতে সে লিখেছে- মাদরাসায় যারা এসে ভর্তি হয় শুরু থেকেই সেই ছেলেগুলো অন্যের ওপর নির্ভরশীল, পরগাছা হয়ে বেঁচে থাকে। নামাজ পড়া ও পড়ানো, আজান দেয়া, কুরআন পড়া ও পড়ানো ছাড়া এদের কোনো কাজ নেই। সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য এরা বোঝা। মাদরাসা শিক্ষাকে এরা আঁকড়ে ধরে আছে নিজেদের মধ্যযুগীয় মানসিকতা সমাজে টিকিয়ে রাখার জন্য। অজ্ঞ মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তারা জীবন নির্বাহ করে যাচ্ছে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ধরে।

ধর্ম মানুষ থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। যত দিন কোনো মানুষের মধ্যে ধর্ম থাকবে, তত দিন সে প্রকৃত মানুষ হতে পারবে না। ধর্ম হচ্ছে অশিক্ষিত মানুষের সংস্কৃতি। শিক্ষিত মানুষ যখন ধর্মচর্চা করে কপালে কালো দাগ ফেলে নামাজের জন্য মাটিতে কপাল ঠেকাতে ঠেকাতে, তাদের প্রতি করুণা হয়। তারা প্রকৃত শিক্ষিত বলে আমি মনে করি না। যেখানে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা কম হয়, ধর্ম সেখানেই এসে দানা বাঁধে। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির তুলনায় বিজ্ঞান বিভাগে বা কার্জন হলের শিক্ষকদের মধ্যে ধর্মচর্চা বেশি। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েও বেশি হয়। মেডিক্যালের অবস্থাও একই। কী দুর্ভাগ্য, বিশ্ব যখন আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে তখন আমাদরে দেশে বোরকা, দাড়ি, টুপিতে ভরে যাচ্ছে। (পৃষ্ঠা : ৩২)

এরপর সে লিখেছে- নূরুল হোসেনের নিজের কোনো ধর্মবিশ্বাস নেই। কিন্তু যে সম্প্রদায়ে সে জন্মেছে সেই সূত্রে সে মুসলমান। মুসলমানের ধর্ম ইসলাম। আর ইসলামের প্রবর্তক মুহাম্মদ। কী অদ্ভুদ (অদ্ভুত) বিশ্বাস মুসলমানদের মধ্যে, মুহাম্মদের নামের সাথে একটি বিশেষ ব্র্যাকেট বন্দী শব্দ ব্যবহার না করলে নাকি পাপ হয়।...

মহিলারা নিজেরাই ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতেন। অর্থ লোভে এ রকম একজন ধনবান নারীকে মুহাম্মদ প্রথম জীবনে বিয়ে করেছিলেন। শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ মক্কা নগরীকে মুসলমানেরা বলে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ বা চরম অন্ধকারের যুগ। মুহাম্মদ মুসলমানদের সে রকমই শিক্ষা দিয়েছেন। যার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। মুহাম্মদ ব্যক্তিগত জীবনে কতটা অসৎ ছিলেন তার নানা রকম উদাহরণ রয়েছে। তিনি যা করতেন আল্লাহর দোহাই দিয়ে করতেন। আল্লাহর কাছ থেকে তার কাছে ওহি বা বাণী এসেছে, এ রকম বলে তিনি সব রকম অন্যায় করতেন। এমকি নিজের কাম ক্ষুধা নিবৃত্ত করার বিকৃত প্রয়োজনও তিনি ওহির দোহাই দিয়েই করতেন। (ভাঙা মঠ, পৃষ্ঠা : ৪৩-৪৪)।

এরপর সালাম আজাদ আরেক স্থানে লিখেছেন- মুসলমানেরা যে কুরআনকে তাদের ধর্মগ্রন্থ বলে বিশ্বাস করে সে কুরআনের ইতিহাস কি মুসলমানদের জানা আছে? প্রতিটি মুসলমান বিশ্বাস করে কুরআন আসমানি কিতাব। স্বয়ং আলস্নাহ এই গ্রন্থ মুহাম্মদের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তার ভিত্তি কোথায়? আজকের যে কুরআন তা যে মুহাম্মদের দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে তারও তো কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। মুহাম্মদের মৃত্যুর অনেক পরে আরব দেশের বিভিন্ন অঞ্চল উজবেকিস্তান, তাজাকিসৱান, আজারবাইজান ইত্যাদি স্থানে ছিটিয়ে থাকা মানুষ যারা মুহাম্মদের মুখ থেকে শুনেছিলেন বলে বলা হয়ে থাকে, তাদের মুখ থেকে শোনা কথা একত্রে সঙ্কলিত করা হয়। (ভাঙা মঠ, পৃষ্ঠা : ৪৫)।


আল্লাহ আমাদেরকে এসব নাস্তিকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে চরম শিক্ষা দেওয়ার তৌফিক দিন। আমীন।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×