somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এবারের জিহাদ হাক্বীকি মুসলমান গড়ার জিহাদ।

২৮ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের বাংলাদেশ;
মুসলমান উনাদের দেশ
এ বাংলাকে বন্দে মাতরম বলা যাবে না।

হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদী
তোরা কাফির গং
মুসলমানগনের দেশে তোদের
এত কিসের ঢং।

ছিঃ ছিঃ ছিঃ
যবন, ম্লেচ্ছ, তোরা খবিস
লজ্জা তোদের কোথায়?
মুসলিম দেশে বহাল বেশে?
ভাঙ্গছিস মুসলমান উনাদের হৃদয়!

নাস্তিক তোরা
নাস্তিকতার শাস্তি বেঘোরে
পেতে যদি না চাস।
ফিরে যা, ফিরে যা
এদেশ ছেড়ে পালিয়ে যা স্বদেশ।

এ বাংলা
শুধু মুসলিম জাতির;
ওলী আল্লাহ উনাদের বঙ্গভূমি।
নয় ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ছূ’দের,
নয় মুনাফিকের
নয় বেদ্বীন, বদ্বীন, কাফিরদের।

চলে যা এদেশ থেকে
ভারত যা;
এ বাংলাকে
বন্দে মাতরম বলা যাবে না ।

ছিঃ ছিঃ ছিঃ
সুদখোর ইউনূস দূর হ’
তোর কলঙ্কিত ইতিহাস
কে শুনাবে কাকে?
-দ্বীন ইসলাম উনার
নাফরমানী করে কাট্টা মুনাফিক
হলি জাতির কাছে।

ছিঃছি ছিঃছি
কিভাবে বলিস--- বন্দে মাতরম!
ধিক্কার তোকে,
তোর সাথে যারা লেজুর রেখেছে
যবন, ম্লেচ্ছ, অশ্লীল সাজে;
হিন্দু সহ
বদ্বীন জাতি সবে।

ধিক! ধিক! ধিক!
স্পর্ধা কত!
মুসলমান উনাদের দেশে থেকে,
মুসলমান উনাদের খেয়ে পড়ে,
দেশের সর্বস্ব চুরি করে
কত বড় সাহস তোদের!
তোরা বাংলা ছাড়।

অলী আল্লাহ উনাদের দেশ
সোনার বাংলাদেশ।
মুসলমান উনাদের দেশ
তোমার- আমার দেশ।

হিন্দু নয়, বৌদ্ধ নয়
খৃস্টান, ইহুদী তোরাও নয়
নয় তো তোদের আবাস এটা।
এ আমাদের বাংলাদেশ
মুসলমানগনের সেরা দেশ।

কত বড় সাহস তোদের;
মুসলমানদের দেশে বসে
কুৎসা রটাস জনে জনে!
দূর হয়ে যা।
শিয়াল কুকুরের লুইচ্যা চেলা
বাড় বেড়েছে অনেক বেলা;
বাংলা ছাড়
ভাড়ত যা।

ধৈর্য মোরা কম ধরিনি।
ভারতের বুকে মুসলমানদের
অত্যাচার কম করিসনি;
মা, শিশু, বৃদ্ধা, যুবা
একে একে মারছিস তোরা।
জালিম তোরা,
অত্যাচারে নিষ্পেষিত করছিস তোরা।

কত বড় সাহস তোদের
মুসলমান উনাদের মেরে মেরে
এ বাংলারই ঘরে বসে
হুমকি-ধামকি দিচ্ছিস ভবে;

দূর হয়ে যা;
ইবলিসেরই সব চেলারা
হুমকি-ধামকি এখানে নয়।
তোদের দেশে জলদি পালা।

ছি ছি ছি ছি
যবন, ম্লেচ্ছ, হিন্দু, জাতি।
ধিক্কার তোদের!
তোদের সাথে মিলবে যারা
উলামায়ে ছু, মুনাফিক যারা
ক্ষমতালোভী শাষক যারা
ধিক্কার তোদের।

তোদের কারণে ঈমানহারা
হতে হয়েছে শত শত।
তোদের কারণে মুনাফিক গং
ক্ষতি করেছে মুসলিম কত!

বিশ্বাসঘাতক, বেঈমান জাতি
ধোকাবাজী তোরা করেছিস জানি
গুটি কয়েক হিন্দু, কাফির
তারপরও দাপট কত!

ছিঃ ছিঃ ছিঃ
লজ্জা নাই;
এ দেশেরেই ফসল খেয়ে
এ মাটিতে আঁকড়ে থেকে
এ দেশেরই মুসলমান উনাদের

হেয় করিস কোন সাহসে?

হিংসুটেদের শাস্তি হলো
ঈর্ষায় জ্বলে মরা;
দ্বীন ইসলাম উনার বানী শুনলে
করে তাদের জ্বালা।
রে হিংসুকেরা
ছি ছি ছি ছি
কাফির মুশরিক গং তোরা।
মুসলমানরা নাযাত পাবেই
তোরা ঈমান হারা!

মিলবে তোদের নাযাত
কখনো তা নয়
ইহকালের কিট যে তোরা
তোদের পরকাল বরবাদ।

দ্বীন ইসলান
শান্তির ইসলাম;
সুমহান মর্যাদায়
আলোকিত ইসলাম।

নাস্তিকতা সব দূর হয়ে যাক।
ইবলিসেরই ধ্বংস অনিবার্য;
এদেশে যদি থাকতে চাস
তওবা কর প্রকাশ্যে সব।
মাফ চেয়ে নে দেশবাসীর কাছে।
ধিক্কৃত তোদের নাস্তিকতা।

হে হিন্দু জাতি!
হে বৌদ্ধ জাতি!
হে খ্রীষ্টান আর ইহুদী জাতি!
হে বেদ্বীন, বদ্বীন, কাফিরেরা!
হে উলামায়ে ছু!
হে মুনাফিক গং!
হে জালিম শাষক!
কবে ফিরবি আলোর পথে?
দ্বীন ইসলাম উনার
ছায়াতলে।

যামানার হাদী অলীয়াল্লাহ উনার দেশে
তাশরীফ নিলেন বাংলাদেশে।
নাস্তিকতাবাদ দূর হয়ে যাক
জালিমের যুলুম শেষ হয়ে যাক;
আসুক শান্তি বাংলার বুকে।
আমরা মুসলিম! শান্তির জাতি;
সুখ বয়ে যাক ঘরে ঘরে।

এসো ভাই আজ
মোরা জিহাদের ডাক দেই
এখন জিহাদ
জুলুমের সাথে;
হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদী
পেরেছিস কি কখনো
মুসলমানদের সাথে?

লড়াইয়ে লড়াইয়ে হেরেছিস তোরা
জনম জনম ইতিহাস বলে।
শুধু চেষ্টা করেছিস ছলে বলে তোরা
ধ্বংস করতে মুসলমানদের।

এবারের জিহাদ হবে
হাক্বীকি মুসলমান গড়ার জিহাদ।
ঘরে, ঘরে, পাড়ায়, পাড়ায়,
গ্রামে-গঞ্জে, শহরে শহরে,
মসজিদে, মসজিদে; বলে দাও-
এবারের জিহাদ-
দ্বীন ইসলাম উনাকে পুনর্জিবীত করার জিহাদ
এবারের জিহাদ
সুন্নাহ পালনের জিহাদ
এবারের জিহাদ
কুফরি শিরকি ধ্বংস করার জিহাদ
এবারের জিহাদ
সত্যকে জয় করার জিহাদ।
এবারের জিহাদ
মানুষের মত মানুষ হবার জন্যে
এবারের জিহাদ-
আস্তিক বানানোর জন্যে
এবারের জিহাদ-
পশুত্বের জীবন থেকে;
শয়তানি জীবন থেকে-

ফিরে আসার জন্যে ।

এবারের জিহাদ-
মুত্তাকি বানানোর জন্যে
এবারের জিহাদ-
ওলীয়াল্লাহ বানানোর জন্যে।

হে মুসলিম জাতি
মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া চাও-
‘হে আমাদের মাওলা;
খলিক্ব, মালিক, রব! আমাদের
মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা
আত্মীও-স্বজন সবাইকে
হাক্বীকি মুসলিম-মুসলিমা করে দিন।
হাক্বীকি মুত্তাকী করে দিন।
হাক্বীকি আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী করে দিন। (আমিন)

বি: দ্র: আলোচ্য কবিতাটি নাট্যকার পিযুষের চরম ইসলাম বিদ্বেষী একটি কবিতার প্রেক্ষাপটে লিখিত হয়েছে। কবিতাটিতে পিযুষ তার প্রকৃত রুপ প্রকাশ করেছে যে, সে সুগারকোটেড এক চরম ইসলাম বিদ্বেষী। ড.ইউনুসের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য ‘হে বাংলা মা বন্দে মাতারাম’ বলাকে অনুসরন করে সে জিন্দাবাদকে পরিবর্তন করে বন্দেমাতারাম প্রবর্তন করতে চায়। দেশের প্রতিটি নাগরিককে একজন প্রতিষ্ঠিত নাস্তিক ড.ইউনুসের মত নাস্তিক বানাতে চায়। আর চায় এদেশটি ভারতের একটি করদ রাজ্যে পরিণত হোক। সে ৭১ সালে ভারতের সহযোগীতার কথা বলে অথচ একবারও উল্লেখ্য করেনা যে, সন্ত্রাসী ও যালিম ভারত ‍প্রতিদিন সীমান্তে নিরিহ বাংলাদেশীদের নির্মমভাবে শহীদ করে চলেছে। তার রেকর্ডটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৩৬
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×