somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাহাবীদের আল্লাহ এবং আল্লাহের বানীর উপর বিশ্বাসের ধরন

০৫ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাহাবীদের আল্লাহর উপর এবং আল্লাহের প্রেরিত কুরান এর বানীর উপর কি রকম বিশ্বাস ছিল সেই সম্পর্কে আমাদের ধারনা থাকা উচিত মনে করলাম। আশা করি তাতে আমাদের ইমান মজবুদ হবে এবং আমরা আমাদের বিশ্বাস এর মধ্যে ছেদ গুল খুজতে পারব ইনশাল্লাহ। নিম্নে উল্লেখিত আয়াত টি সুরা হুদ এর ৬ নং আয়াত। দয়া করে আয়াত টি কুরান থেকে একটু দেখেনিবেন বা View this link

আমি শুধু বাংলা অর্থ তা দিলাম,



বাংলা অর্থঃ (১১:৬)

"আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে।"






ইমাম কুরতুবী (রাঃ) উপরিউক্ত আয়াতের তফসীর এ হযরত আবু মুসা (রাঃ) ও হযরত আবু মালেক (রাঃ) প্রমুখ আশআরী গোত্রের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। ঘটনা টি নিম্ন রূপঃ





একবার আশআরী গোত্রের কিছু লোক ইয়েমেন হতে হিজরত করে মদীনা শরীফ পৌছালেন। তাদের সাথে পথের জন্য নিয়ে আসা খাবার ও পানিয় যা ছিল তা শেষ হয়ে গেল । ঐ সাহাবী গন নিজেদের মধ্যে থেকে এক জন মুখপাত্র ঠিক করলেন এবং তাকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নিকট প্রেরন করলেন, যেন নবীজী তাদের জন্য কিছু খাবার ও পানির সুব্যবস্থা করেন।





উক্ত প্রতিনিধি যখন নবীজীর বাড়ীর দরজাতে পৌছালেন তখন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ঘরের ভিতর কুরান তেলোয়াত করছিলেন

“………………..কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন…………..”





প্রতিনিধি হিসাবে প্রেরিত সাহাবী ঐ আয়াত শ্রবন করে মনে করলেন যে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা যখন সমস্ত প্রানি কুলের রিযিক এর দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আমরা আশআরী গত্রের লোকেরা আল্লাহ তাআলার নিকট নিশ্চয় অন্যান্য জন্তু জানয়ারের চেয়ে নিকৃষ্ট নই। অতএব তিনি অবশ্যই আমাদের জন্য রিযিক এর ব্যবস্থা করবেন।




এই ধারনা করে তিনি রাসুল(সাঃ) কে নিজেদের অসুবিধার কথা কিছু না বলেই সেখান থেকে প্রত্তাবর্তন করলেন এবং ফিরে গিয়ে স্বীয় সাথীদের বললেন - “শুভ সংবাদ তোমাদের জন্য আল্লাহের সাহায্য আসছে।” অন্যান সাহাবীরা তাদের সাথির কথা শুনে মনে করলেন যে নবীজী তাদের অনুরধ রেখেছেন এবং খাবার ও পানির ব্যাবস্থা করার আশ্বাস দান করেছেন। তারা নিশ্চিন্ত মনে বসে রইলেন।




তারা বসাই ছিলেন, এমন সময় দুই বাক্তি গোশত ও রুটি পুর্ন একটি বড় খাঞ্জা বহন করে উপস্তিত হলেন। আশআরী গোত্রের লোকেরা আহার করলেন। অতঃপর দেখা গেল যে আহার করার পরও প্রচুর গোশত ও রুটি রয়ে গেল। তখন তারা নিজেরা পরামর্শ ক্রমে রয়ে যাওয়া অবশিষ্টো গোশত ও রুটি মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) এর নিকট প্রেরন করা বাঞ্ছনীও মনে করলেন, যেন তিনি প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো ব্যায় করতে পারেন। সিদ্ধান্ত অনুসারে তারা তাদের মধ্যে থেকে দুই ব্যাক্তির মাধ্যমে বাকি খাবার রাসুল(সাঃ) এর খেদমতে পাঠিয়া দিলেন।




ঐ দুই সাহাবী নবীজীর কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন – “ ইয়া রাসুলাল্লাহ(সাঃ) আপনার প্রেরিত খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু ও উপাদেয় এবং প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়েছে।”




উত্তরে রাসুলাল্লাহ(সাঃ) বললেন যে – “ আমি তো কোনো খাদ্য প্রেরন করিনি।”




তখন তারা পূর্ন ঘটনা বর্ণনা করলেন “…তাদের খাদ্যাভাব……প্রতিনিধি প্রেরন……ফিরেগিয়ে ঐ প্রতিনিধির বলা প্রতিস্রুতি…………খাদ্য পাওয়া এবং খাদ্য বেচে যাওয়া……………………”





তদুত্তরে রাসুলাল্লাহ(সাঃ) বললেন “ আমি নই বরং ঐ পবিত্র সত্তা প্রেরন করেছেন যিনি সকল প্রানির রিযিকের দায়িত্ব নিয়েছেন।”




সকল মুমিন ভাইকে আমার প্রশ্ন “ আজ কাল আমরা কি আল্লাহর উপর আল্লাহের প্রেরিত কুরান এর বানীর উপর এই রুপ নির্ভর করি?”




যাদের উত্তর,“হা করি।”, তাদের উদ্দেশে বললাম, “আলহামদুলিলাহ! মাশাল্লাহ!”




যাদের উত্তর,“না করিনা”, তাদের কে আবার প্রশ্ন “কেন করিনা?”


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:৫৩
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×