somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজেবাজে কথা -১ +২০

৩১ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেই মানুষটা আসছেন যার অপেক্ষায় সবাই দাঁড়িয়ে আছে। সৈনিকরা রাইফেল উচু করে আছে তাকে অবিভাদন জানাবে বলে। কেউ কেউ বলছে তিনি ককেসাসের পার্বত্য অঞ্চল পার করেছেন আবার কেউ বলছে তিনি তাজাকিস্তানের পাহাড়ে যুদ্ধ করছেন। কিছুদিন আগে আমাদের এখানে খবর এসেছিলো তিনি ক্রিমিয়ায় মারা গেছেন। প্লেগাক্রান্ত হয়ে। মানুষ মন্তে পারে নি তিনি মরতে পারেন। তাই সংবাদ পত্রে ভুল সংবাদ প্রকাশের জন্য দুক্ষ প্রকাশ করা হলো। তিনি মারা যান নি। তিনি মরতে পারেন না।

আমাদের এই পূর্বের শহরের মানুষের কাছে প্রতিদিন চিঠি আসে না ফৌজিদের। যোগাযোগ ব্যবস্থা এতো ভালো নয়, এর উপরে দক্ষিনে সমুদ্র বন্দরে প্রতিদিন ই জার্মান বিমান বোমা ফালাচ্ছে। এখন এ দিকে সাধারণ জাহাজ ভিড়ভে তার কোন সাধ্যি? যে যাই হোক একটা চিঠি এলে আমাদের সবাই মিলে সেই চিঠিটা পড়ি। ইউরোপিয়ান ফন্টে যে ভয়াল যুদ্ধ হচ্ছে তার কথা তার সংবাদ এই চিঠি গুলো তে থাকে। এই তো কদিন আগে আমাদের মনসুর চোখ টা হাড়িয়ে ফিরে এলো আফগানিস্থান থেকে। এসে দেখে তার ছেলে চলে গেছে ভলকান অঞ্চলে যুদ্ধ করতে। এতো টেকনলজির উন্নতি হলো তবুও যুদ্ধ দুই দিনে শেষ হচ্ছে না। জার্মান বোম্বার গুলো বোমা মেরেই যাচ্ছে আর মার্কিনী সুপার সনিক গুলো রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। এর উপরে শয়তান গুলো আকাট্টা হয়ে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে এক মত হয়েছে। তাতে লাভের লাভ হয়েছে আমাদের ছোট্ট শহরের ছেলে গুলো মরছে দূর দেশে যুদ্ধ করতে গিয়ে। আর আমারা তাদের ম্যডেল গুনছি। পেনশন পাচ্ছি। যত্ত সব। তিনি এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।


এবার আমার পরিচয় টা দেয়া যাক, আমি এক সাবেক আমলের ইঞ্জিনিয়ার, এখন পুরো অচল, চোখে ছানি পরেছে কিছু দেখি না, বিয়ে থা করি নি তাই কাজ নেই তাই বসে বসে কিছু এলোমেলো কথা লিখছি। শহরে শান্তি নেই। মাঝে মাঝেই চৈনিক বিমান গুলো বোম ফেলে যায় আমাদের যুদ্ধ সীমান্ত গুলো তে। শহরটা কেঁপে উঠে তখন। তিনি এলেই সব শ্তহিক হয়ে যাবে। সত্যি বলতে কি আমি নিজেও এই তিনি কে চিনি না। শুনেছি তিনি নাকি একজন আইরিশ কমান্ডার। রোনাল্ড র্যেমসন বা এ জাতীয় কোন নাম। তিনি না কি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই শান্তি ফিরে আসছে। কিন্তু তিনি কি আসবেন আমাদের এই বৃদ্ধাশ্রমে? আমাদের ছেলেরা সব কাবাব হচ্ছে যুদ্ধে। মেয়ে গুলো নার্সিং আর সৈনিকদের আমোফ ফুর্তিতে ব্যবহার হচ্ছে। এই সব মৃত শহর গুলো তে পড়ে আছি আমরা। এই বুড়ো মানুষগুলো আমাদের ছেলেদের পিন্ডি চটকানো লাশ দেখবো বলে।
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×