somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুরা-ই কনফিউসড হয়ে গেলামঃ সমুদ্র সীমার বিষয়টা কি কেউ বলতে পারেন?

৩১ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ধারণা করেছিলাম বাংলাদেশ সমুদ্র বিজয় করেছে। আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছেন। কিন্তু আজ বিন্পির খন্দকার মোশাররফ ত বললেন ভিন্ন কথা। সমুদ্র গবেষক এবং এই বিষয় জানা লোকদের আমার কনফিউশন দূর করার অনুরোধ করছি।
সমুদ্রসীমা বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ঠকেছেঃ খন্দকার মোশাররফ

প্রধান বিরোধী দল মনে করে, বঙ্গোপসাগরের অধিকার নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে মামলায় সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ সরকার ঠকেছে। এ বিষয়টি আড়াল করতেই ক্ষমতাসীনরা উৎসব করছে মন্তব্য করে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় জনম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সমুদ্র বিজয় নিয়ে সরকার উৎসব করছে। অন্যদিকে মিয়ানমারেও বিজয় উৎসব চলছে। বঙ্গোপসাগরে সীমানার দাবিতে বাংলাদেশের অর্জনের চেয়ে বিসর্জন বেশি হয়েছে। আমি মনে করি, সমঝোতা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ঠকে এসেছে। সেজন্য সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এখন সমুদ্র বিজয় উৎসব করছে।”

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ বলেন, “বিচারক তার রায়ে বলেছেন, উভয় দেশই কিছু লস কিছু গেইন করেছে। এ কথা থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশ কী পেয়েছে, কী হারিয়ে এসেছে।”

তিনি আরো বলেন, “ইন্টারনেটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের তথ্য থেকে আমি জেনেছি, মামলায় আমরা বঙ্গোপসাগরের যে দাবি করেছিলাম, তা অর্জিত হয়নি। আমরা অনেক কিছু হারিয়ে এসেছি। পূর্বাঞ্চলীয় ৩/৪ ব্লকের বিষয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না।”

মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিষয়টি সুরাহা করতে ২০০১ সালে বিএনপিই জাতিসংঘে দাবি উপস্থাপন করেছিল উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলাদা ডেস্ক গঠন করা হয়েছিলো।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে সরকার বিজয় উৎসব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আমরা কী পাইনি তা খালি চোখে দেখা যাবে না। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে আমরা যেভাবে ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছি, ঠিক একই অবস্থা হয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমার ক্ষেত্রেও।” তিনি প্রশ্ন রাখেন- বাংলাদেশেরই যদি বিজয় হয়ে থাকে, তাহলে মিয়ানমার কেন উৎসব করছে?


এটা কি নিছকই একটি রাজনৈতিক বক্তব্য নাকি এর মধ্যে সত্যতা আছে তা জানতে চাই।
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×