somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি কানাডার

৩০ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কানাডার। বিশ্বখ্যাত টাইমস সাময়িকীর ২০১২ সালের হায়ার এডুকেশন রেপুটেশন র‌্যাংকিংয়ে ১৬তম স্থান অধিকার করে টরন্টো বিশ্বদ্যিালয় কানাডার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের মর্যাদা লাভ করেছে। ১০০টি মূল্যায়নের ক্ষেত্র বিবেচনা করে ১৩২ দেশের ১৭ হাজার শিক্ষাবিদের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি টাইমসের র‌্যাংকিংয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রাধান্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর; সেরা ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি-ই এই দেশটির। পুরোপুরি ১০০ পয়েন্ট অর্জন করে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুট হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলেই রয়েছে। দ্বিতীয়, তৃতীয় যথাক্রমে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাংকিংয়ের সম্পাদক ফিল ব্যাটি বলেন, সম্মানজনক ওয়ার্ল্ড রেপুটেশন র‌্যাংকিংয়ের এই তালিকায় শুধু ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে, যা বিশ্বের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাত্র শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ। আর এ জন্যই যারা তালিকায় স্থান পেয়েছে, তারা পৃথিবীর জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অভিজাত, অনন্য এবং শক্তিশালী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কয়েক বছর ধরেই কানাডায় সেরা বিবেচিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের টাইমস রেপুটেশন র‌্যাংকিংয়ে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ২০ পেয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৬তম স্থান পেয়েছে। ২০১১ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ১৭ নম্বরে। ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (ইউবিসি) এবং মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় ১১ দশমিক আট পয়েন্ট নিয়ে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে যৌথভাবে সেরা ২৫ মনোনীত হয়। ইউবিসি আগের বছরের চেয়ে ছয় ধাপ উন্নতি ঘটালেও ম্যাকগিল উন্নতি ঘটাতে পেরেছে চার ধাপ। ২০১১ তালিকায় ম্যাকগিল এবং ইউবিসির অবস্থান ছিল যথাক্রমে ২৯ এবং ৩১। ইউবিসির প্রেসিডেন্ট স্টিফেন টুপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আন্তর্জাতিক গবেষণায় সহযোগিতা এবং নতুন জ্ঞানের ক্ষেত্র প্রস্তুতের প্রতি ইউবিসির দৃঢ় অঙ্গীকার এই বিশ্বরর‌্যাংকিংয়ে প্রতিফলিত হয়েছে, যা কানাডার পাশাপাশি বিশ্বকেও সমৃদ্ধ করছে।
ব্রিটেন ভিত্তিক টাইমস প্রকাশনার এই হায়ার এডুকেশন রেপুটেশন র‌্যাংকিংয়ে শ্রেষ্ঠ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, দুটি ব্রিটেনের এবং একটি জাপানের। শিক্ষা-দীক্ষা ও অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবীর অগ্রসর দেশের উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যাশিতভাবেই শ্রেষ্ঠ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে ফ্রান্সের অবস্থা বেশ উদ্বেগ ও হতাশাজনক; ১০০-এর মধ্যে চারটি, যার কোনোটিই শ্রেষ্ঠ ৬০-এর তালিকায় নেই। ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। ম্যাকলিনের পল ওয়েলস এক প্রতিবেদনে বলেন, জনসংখ্যা বিবেচনায় কম জনসংখ্যা নিয়ে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জাপানের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তুষ্টিকর। কিন্তু বর্তমানের বিশ্বজনীন এই জ্ঞানের পরিমণ্ডলে কানাডার বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে সর্বজনবিদিত জ্ঞানী-গুণীদের সমাবেশ ঘটানোর ক্ষেত্রে। কানাডার হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যরা তেমন ভালো নয় এ ক্ষেত্রে।
ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় বলা হয়, এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সমকক্ষ হয়ে উঠছে। চীনের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্র‌্যাংকিংয়ে ক্রমশই উন্নতি করছে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর ২৩তম স্থান নিয়ে শ্রেষ্ঠ ২৫-এর তালিকায় ঢুকে গেছে। তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়াও উঠে আসছে। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় ব্রিটেনের বেশ কিছু উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান দুর্বলতর হয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব আগের মতোই আছে। শ্রেষ্ঠ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪টি-ই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই দেশটির। ফিল ব্যাটি বলেন, অক্সফোর্ড এবং ক্যামিব্রজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া ব্রিটেনের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খ্যাতিমান উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশ্ব প্রিমিয়ার লিগে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিচের সারিতে অবনমন ঘটেছে।

তথ্যসূত্র-
Click This Link
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×