ঘটনা বছর দুয়েক আগের ….
সবেমাত্র ছাত্র জীবনের বিষফোঁড়া পরীক্ষা নামক যন্ত্রণা হতে সাময়িক সমাপ্তি,
এমনই এক অফুরন্ত অবসরের স্নিগ্ধ সকালে ভাগ্যের এক সকরুণ মুহূর্ত,
সকালবেলা বন্ধুরা মিলে আমাদের স্কুলের মাঠে ক্রিকেটের ধুন্ধুমার আসর জমিয়ে বসলাম ।
তখনকার প্রচলিত ফ্যাশনেবল ট্রাউজার নামক অতি আরামদায়ক ততোধিক পাতলা আবরনে
নিম্নাঙ্গ আবৃত করে ,অধিক উত্তেজনাবশত অন্তর্বাস পরিধান না করেই মাঠে গমন ।
ব্যাটিং করসিলাম, মার মার কাট কাট
(ps: কোন বলই ব্যাটে লাগছিলনা আর কি )
হঠাৎ করেই গ্যালারিতে অতীব সুন্দরী দুই ললনার আবির্ভাব , দেখলাম নিবিষ্ট মনে উহারা আমার ব্যাটিং
দেখিচ্চে
বয়েজ স্কুল আর বয়েজ কলেজে পড়ার সুবাদে ললনা মাত্রই এলিয়েন প্রজাতি
পেত্নীকুল সম্রাজ্ঞী ও জয়া আহসান ,
সেইখানে দুইজন অতীব সুইন্দরি আমার খেলা দেখছে, উহা স্মরণপূর্বক আমার পৌরুষ জাগিয়া উঠিল,
খুন খবলাইতে লাগিল ,আমিও ডানহাতি গিলক্রিস্ট বনিয়া গেলাম, হাকাইলাম ব্যাট সজোরে
জাফরুল্লাহ শারাফাতের ভাষায় "ব্যাটে-বলে অপূর্ব সংযোগ ,ফলশ্রুতিতে ছয় ছয়টি রান "
আলেকজেন্ডার অর্ধেক পৃথিবী জয় করে যে তৃপ্ত হয়েছিলেন, তার চেয়ে অধিক পুলকিত
হয়ে উহাদের দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করিলাম , দেখিলাম উহারা অপূর্ব মুগ্ধতা নিয়ে নির্নিমেষে
চাহিয়া রয়েছে , অ্যাডাম গিলক্রিস্ট কোন ছাড় - এই ভাব নিয়ে পপিং ক্রিজে গমন ।
হঠাৎ কর্ণকুঠরে অতি কর্কশ খ্যাঁক খ্যাঁক শব্দ প্রবেশ ও হাসি হিসেবে
আবিষ্কার করবার মুহূর্তেই খেয়াল হল পশ্চাতদেশে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ফিল ,
ভাবলাম সোনায় সোহাগা তপ্ত গ্রীষ্মে শীতল পরশ ,অধিকন্তু পেছনের কিপার আর ফিল্ডারের
“দ্যা চিনি” হাসিতে বাধ্য হয়ে উহাদের জিভ দেখাইয়া দিলাম, অতপর কি মনে হইতে
টিস্যুর খোঁজে ব্যাক পকেটে হাত , পকেট মিস হইলেও আবিষ্কার করলাম কোন
এক খাঁজে হাত নির্দ্বিধায় ঢুকে গেল, চামড়ার তপ্ত স্পর্শ পেতেই
গুমোট পরিবেশে ঠাণ্ডার স্পর্শ আর পিছনের সতীর্থদের বক্রহাসির
রহস্য জলের মত পরিষ্কার হল, ১০০০ ওয়াটের বাত্তিতে একফোঁটা পানি পরা মাত্রই যেমন
ফটাস শব্দ সৃষ্টি পূর্বক হাজার খণ্ডে পরিণত হয় ,আমার হৃদয়ের অবস্থা তখন তদ্রূপ
সুন্দরী যুগলের হাসিও দেখিলাম গুণিতক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ,
অবস্থা বেগতিক দেখে তৎক্ষণাৎ পলায়ন , স্কুল গেট হইতে এক রিক্সাওয়ালা মামাকে
বগল দাবা করিয়া বাসায় পদার্পণ , নামিয়া লক্ষ্য করলুম মামাও হাসিচ্ছে