প্রখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদ মৌলভী আশরাফ আলি থানভী রচিত একটি ইসলামিক বিয়ের গাইডের একটি উক্তি নিয়ে বৃটেনে এখন সমালোচনার ঝড় বইছে। তার রচিত "এ গিফট ফর মুসলিম কাপল" নামক বইটিতে পুরুষদেরকে তাদের স্ত্রীকে পেটানোর পরামর্শ দেয়ায় বৃটেনের উদারপন্থি মুসলমান সমাজের মধ্যে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ‘এ গিফ্ট ফর মুসলিম কাপল’ বইটিতে স্বামীদের বলা হয়েছে, তাদের উচিত স্ত্রীকে হাত বা লাঠি দিয়ে পেটানো বা কানে ধরে টেনে শাস্তি দেয়া। যদিও স্ত্রী বোকা বা কাজে ধীর হলেও তার সঙ্গে ভালবাসা এবং সহানুভূতিশীল আচরণ করার জন্য স্বামীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদ হিসেবে বিবেচিত মৌলভী আশরাফ আলি থানভী রচিত ১৬০ পৃষ্ঠার বইটিকে নববিবাহিত যুগলদের জন্য উপযোগী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে নারীদের বা কণ্যা শিশুদের আপদ মনে করা হলেও যুগ পাল্টেছে। কোরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা হচ্ছে বিজ্ঞানের আলোকে। তাই একসময় ধর্মে স্বীকৃত হলেও অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে যুগের ও সময়ের প্রয়োজনে। পূর্বে আমরা কোরাস করে মিলাদ পরতাম আর এখন সহি ও মুফতি সাহেবেরা মিলাদ পড়তে নিরুৎসাহিত করেন।সংসার কিংবা কর্মক্ষেত্রে, বিশ্বের নারীরা যখন ভুগছে নীরাপত্তাহীনতায় সেই অবস্থায় নারী পুরুষের সমান অধিকার ও তাদের জন্য একটি সুন্দর কল্যাণকর নিরাপদ পরিবশে সৃষ্টি করা লক্ষ বাস্তবায়ন করার জন্য সকলে এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে থানভী সাহেবের এই মতবাদ কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা ভেবে দেখা জরুরী। দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রীর মাঝে কলহ বিবাদ হতেই পারে। আর তা মিটমাট করার জন্য সুন্দর পথও আছে। বিবাদ চরম পর্যায়ে গেলে এবং দু'জনার একত্রে থাকা অসম্ভভ হলে তারও সমাধান আছে ধর্মে। তা হলে লাঠির আঘাত বা শারিরীক নির্যাতন কেন?
আমি ধর্মের অনুভুতিকে আঘাত করার জন্য নয় বরং বাস্তবতার নিরিখে এই মতামতের বিস্তারিত ব্যাখ্যা আশা করছি। যাতে ইসলাম ও ধর্মের সাথে নারী স্বার্থের কোন সংঘাত না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫