গতকালের প্রথমআলোর নারীমঞ্চে দেশের তিন ক্রিকেট তারকার মায়েদের কথা লেখা হয়েছে।হয়তো এই মায়েদের অক্লান্ত ত্যাগ তিতিক্ষা আর ধৈর্যের ফসল আমাদের আজকের সাকিব,তামিম,মুসফিকরা।আমরা অনেকেই হয়তো যার যার অবস্থানে ব্যর্থ কিন্তু সব মার কাছেই তার সন্তানেরাই শ্রেষ্ঠ।
দুঃখজনক হলেও সত্য আজকের তরূন/তরূনীরা সেই মাকেই বেমালুম ভুলে যাচ্ছে,প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা নিজের ভালবাসার মানুষটির সাথে কথা বলার সময় হয় অথচ একবার ফোন করে বলার সময় পাই না মা তুমি কেমন আছ?
আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেককেই দেখেছি ছুটির দিনগুলোতে শুধুমাত্র চুটিয়ে প্রেম করার জন্য ক্যাম্পাসে থেকে যায় অনেকে,অথচ বাড়িতে মা হয়তো অধীর প্রতিক্ষায় দিন গুনছে ছেলে/মেয়েটি কবে আসবে,হয়তো মনে মনে ঠিক করে রাখছে পছন্দের খাবারের তালিকা।আমাদের মনে কি একবার ও সেই প্রিয়মুখটি ভেসে ওঠেনা?নাকি প্রিয়তমার বাকা হাসি আর চোখের নাচুনির নিচে মায়ের মুখটি ঢাকা পড়ে গেছে?
মেঘে মেঘে বেলা একদিন ফুরোবে,মা নামের শব্দটি আপনার আমার অভিধানে থেকে যাবে ঠিকই কিন্তু মাকে হয়তো পাব না হঠাৎ ছুটিতে বাড়ি গিয়ে,হয়তো তার কাছে করতে পারব না কোন আবদার,কিম্বা আমার সাধ পুরোন করতে হয়তো দেখতে পাব না তার ব্যস্ততা।
তাই আসুন সময় থাকতে মাকে ভালবাসি(শুধু মুখে নয় মন দিয়ে)।
সাকিব,তামিমের মত দেশকে অন্য উচ্চতায় না নিয়ে যেতে পারি অন্তত এমন কিছু না করি যাতে আমাদের মায়েরা যেন আমাদের কৃত কাজের জন্য না বলে হায়রে কপাল এমন একটা সন্তান আমার পেটে ধরেছিলাম!