যুদ্ধাপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া বিভিন্ন জনের জবানবন্দিকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হবে কিনা- সে বিষয়ে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ২৮ মার্চ নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী। তিনি বলেন, যে ৪৬ জন সাক্ষীর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার আবেদন জানানো হয়েছে, তাদের মধ্যে উষা রানী, শুভ রানী দাশ, আশীষ কুমার মণ্ডলসহ প্রথম ১৯ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। তদন্ত সংস্থার কাছে সাক্ষ্য দেবার পর তাদেরকে পিরোজপুরের জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এতে ভীত হয়ে অনেকে ভারতে চলে গেছেন। কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন।
তিনি আরো বলেন, সাক্ষী উষা রানীর বয়স ৭১ বছর। তিনি মারাত্মক অসুস্থ ও স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। তাকে সাক্ষ্য দিতে পিরোজপুর থেকে ঢাকা ভ্রমণ করালে তার মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া বাকিরা ঘটনা প্রমাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নন। তাদের আদালতে এসে সাক্ষ্য না দেওয়ালেও চলে।
এসব কারণে অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী বাকি ৪৬ জন সাক্ষীর প্রদত্ত জবানবন্দিকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার আবেদন জানান।
২৮ মার্চ আসামিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবেন সাঈদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক।
প্রসিকিউশনের দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছিল, সাঈদীর বিরুদ্ধে বাকি ৪৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দিকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হোক।
কিন্তু প্রসিকিউশনের আবেদনের বিষয়ে জামায়াতের আইনজীবীদের আপত্তির কারণে বিষয়টি শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৯:০৩