বিশ্ব রাজনীতিতে এবং অধিকার আদায়ের প্রশ্নে ইরান ইস্যুটি এখন সবচেয়ে হট ইস্যু। বিশ্বের নির্যাতিত ও অবহেলিত দেশগুলো তাকিয়ে আছে ইরানের দিকে। তারা ইরানের ভূমিকার প্রশংসা করে নিজেরা নিজেদের বুকে সাহস পাওয়ার জন্য। ইরান নিয়ে বেশ কয়েকটি তুঘলকি কাণ্ড পশ্চিমাদের নয়া চাল হিসেবে সামনে এসেছে। এর আগে ব্রিটেনই সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে তেল নিষেধাজ্ঞা জারী করে। তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকাকে। এখন আসন্ন অলিম্পিক গেমসকে সামনে রেখে ইসলামী ইরানের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার নাটক সাজাতে যাচ্ছে ব্রিটেন।ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, লন্ডনের গুপ্তচর সংস্থা এমআই ফাইভ ইরান ও সিরিয়ার নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। দেশ দু'টির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে ইরানের তেলখাতের ওপর অবরোধ আরোপের কারণে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের সঙ্গে কানাডার অর্থনীতিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কানাডার মন্ট্রিল গেজেট এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আর ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদ আহমাদিনেজাদ হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর আধিপত্যকামী নীতিই আফগানিস্তানসহ গোটা বিশ্বের নানা সমস্যার মূল কারণ। [
এসব খবর থেকে কি মনে হয় না আসলে বিশ্ব এখন বিশ্ব বেহায়াদের খপ্পরে। এখানে যারা মানবাধিকার , গণতন্ত্র ও মানবতার কথা বলে এটি তাদের প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়, তারা ডাবল স্টান্ডার্ড মেনটেইন করছে। এদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে এখন প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সময় এসেছে। আমরা সভ্যতার বুকে কোন অসভ্যতা ও কৌশলী বর্বরতা চাই না। কুটিল কোন রাজনীতি চাই না। কি বলেন সচেতন সমাজ !!!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:০২