জিম্বাবুয়েতে শুক্র ছিনতাইকারী নারী!!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
শুক্র ছিনতাই। অনেকটা আঁৎকে ওঠার মতোই ঘটনা। যুগ যুগ ধরে নারী অপহরণ ও জোর করে ধর্ষণের ঘটনা শুনেই অভ্যস্ত সবাই। কিন্তু নারীরাও যে পুরুষ অপহরণ করে জোর করে তাদের ধর্ষণ করে এ খবর জানা গেছে এএফপি’র এক রিপোর্টে। জিম্বাবুয়ের রাস্তায় এমন একদল নারীর সন্ধান পাওয়া গেছে যারা ভ্রমণে আসা পুরুষদের বিভিন্ন ছলে কৌশলে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং তাদের শুক্র সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এই কাজটি করে মূলত নারী গাড়ি চালকেরা। স্থানীয় পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, রাস্তার পাশে অথবা গাড়িতে তুলে ছুরি, অস্ত্র ও সাপের ভয় দেখিয়ে জোর করে একাধিক বার পুরুষদের ধর্ষণ করছে নারীরা। এরপর তারা শুক্রসহ কনডম নিয়ে যাচ্ছে। বেশি শুক্র সংগ্রহ করার জন্য একাধিকবার সঙ্গম করতে ব্যবহার করছেন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ। আর এ কারণে সেখানকার পুরুষদের মধ্যে নারীভীতি কাজ করছে প্রচণ্ডভাবে। নারীদের এড়িয়ে চলতে চাইছে পুরুষেরা। ঘটনার সত্যতা উঠে এসেছে সুস্যান ডলিওয়াও নামক এক নারী গাড়িচালকের স্বীকারোক্তিতেও। তিনি বলেন, সমপ্রতি একদল পুরুষ গাড়ির অপেক্ষায় ছিল। তিনি তাদের গন্তব্য জিজ্ঞাসা করলে সবাই তাকে না করে দেয়। তারা ধর্ষণের শিকার হওয়ার ভয়ে ওই নারীকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা বলেছে, আমরা তোমার সঙ্গে যেতে পারি না। কারণ, আমরা তোমাকে বিশ্বাস করি না- বলছিলেন ১৯ বছর বয়সী মিস ডলিওয়াও। শুক্র শিকারের ঘটনা স্থানীয় পত্রিকায় প্রথম আসে ২০০৯ সালে। তখন পুলিশ তিনজন নারীকে আটক করেছিল। যাদের সঙ্গে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ৩টি শুক্রসহ ব্যবহৃত কনডম পাওয়া গিয়েছিল। তাদেরকে ১৭ জন পুরুষকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। পুলিশের একজন মুখপাত্র বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কতগুলো ঘটনা ঘটেছে আমরা নিশ্চিত নই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব ঘটনা প্রাইভেট গাড়িতে সংঘটিত হয়। তাই স্থানীয় প্রশাসন মানুষকে গণপরিবহন ব্যবহার করতে উৎসাহিত করছে বলে জানান ওই মুখপাত্র। সংগ্রহ করা শুক্র কি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। কেনই বা অপরিচিত পুরুষদের কাছ থেকে জোর করে শুক্র ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে তাও বোধগম্য নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় সংস্কৃতিতে ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অন্যের শুক্র ব্যবহারের একটা ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এটাই একটা কারণ হতে পারে। হতে পারে এটা লাভজনক কোন ব্যবসা। যাই হোক এ ধরনের ঘটনাটা মন শিউরে ওঠার মতোই বলে মনে করেন, জিম্বাবুয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী ওয়াচ রুপারাগান্দা। তিনি বলেন, সাত বছর আগেই তিনি জানতে পেরেছেন যে শুক্র একটি ব্যবসা পণ্যে পরিণত হয়েছে। ওই সময় মি. ওয়াচ তার পিএইচডি গবেষণার জন্য হারারের রাস্তায় কিছু বালকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানিয়েছিল যে, কিছু ব্যবসায়ী তাদেরকে খাবার ও ড্রিংকস দিয়ে পতিতাদের সঙ্গে মিলন করার সুযোগ দেন। এতে ব্যবহৃত কনডম তাদেরকে এনে দিতে বলেন। জিম্বাবুয়েতে নারী দ্বারা পুরুষ ধর্ষণের বিচার করার কোন আইন নেই। তাই খুব একটা কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে জানান আইনজীবী মাথোবেনি। ঘটনা এমন দাঁড়িয়েছে পুরুষরা এখন নারীদের চালানো গাড়িতে উঠছে না। হারারের রাস্তায় ২৬ বছর বয়সী একজন পুরুষ জানিয়েছেন, আমরা নারীদের চালানো গাড়িতে উঠি না। এমন কি তিনি বৃদ্ধা হলেও না।
সূত্র:এখানে
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা
এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম
জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়
ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন
পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন
শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?
বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন