মাঝে মাঝে আমি অবাক হয়ে যাই, গভীর ভাবে চিন্তিত হয়ে যাই
আমি কি খুবই বোকা, বোধশক্তিহীন, বুদ্ধিহীন
কেন আমি স্বাধীনতার ৪১ বছর পরও বুঝতে পারছি না, “এটা কি ধরনের স্বাধীনতা !”
৪১ বছর আগে এক মহানায়ক ঘোষনা করেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম”
যে তরুন সেনা অফিসার দেশের প্রতি ভালোবাসায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে বেতারে ঘোষনা করেছিলেন স্বাধীনতার বার্তা।
৩০ লক্ষ বাংগালী কোন মোহে জীবনের মায়া ত্যাগ করে, স্বাধীনতার শপথ নিয়ে রাস্তায় নামেছিলেন,
“মা তোমাকে বিদেশী ঘাতক মুক্ত করতে পারলে যেন ঘরে ফিরি, না হলে মৃত্যুই যেন শ্রেয় হয়”।
এত আত্মত্যাগের পর যে স্বাধীনতা, তাকে নিয়ে ৪১ বছর পর কেন আমার মনে প্রশ্ন,
“এটা কি ধরনের স্বাধীনতা”; তাহলে আমি কি বোকা, বোধশক্তিহীন, বুদ্ধিহীন!
৪১ বছরে অনেক শাষক এলো-গেলো, সবাই বল্লো সংবাদ পত্র স্বাধীন!
তাহলে কেনো দেশের দুটি সাধারন মানুষের, নিজ ঘরে পৈচাশিক হত্যার কথা
“রুল” নামক শৃঙ্খলে বন্ধী করা হলো?, মানুষ কেনোই বা লিখতে বা বলতে ভয় পাচ্ছে?
“এটা কি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ স্বাধীনতা?”, আমি বুঝতে পারি না!
সম্পদ বিহীন দেশের অর্থনীতি উন্নত করতে ৩০ লাখ দেশপ্রেমিক ছুটলো বিদেশে,
নিজেদের রক্ত পানি করা বৈদেশিক মূদ্রায় সচল করলো দেশের অর্থনীতি,
কিন্তু দেশের শেয়ার বাজারের এত হাজার হাজার টাকা কেনো দেশের বাইরে নেয়া হলো,
কুইক রেন্টালের নামে কেনই বা এত টাকা ছিনিমিনি হলো, কেনই বা অতিরিক্ত তেল আমদানীর জন্ন্য কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা হাতছাড়া করা হলো?
তথ্য আইন তো হয়েছে স্বাধীন দেশে, তদন্ত হলো, কিন্তু কেনই বা এই টাকা গুলো কথায় গেলো তার হদীস হলো না, তথ্য জানানো হলো না দেশবাসীকে।
“তাহলে এটা কি আংশিক তথ্য পাওয়ার স্বাধীনতা”, আমি বুঝতে পারি না!
আইন-শৃঙ্খলা, ব্যবস্থাপনা গত ৪১ বছরে সব সরকার ই স্বাধীনভাবে চালিয়েছেন, তাহলে কেনই বা ২১শে অগাষ্ট গ্রেনেড হামলা, সারাদেশে বোমা হামলা, বাংলা ভাইয়ের উত্থান, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা নামক প্রহশন, জজ মিঞা, শয়নকক্ষে হত্যা তদন্তে নাটকিয়তা
“তাহলে কি এ স্বাধীনতা সবার জন্ন্য নয়, বারবার পালাবদলের রাজনীতিতে এ স্বাধীনতা শুধু ক্ষমতাশীন দল বা আংশিক জনগন এর জন্ন্য”, আমি বুঝতে পারি না!
মানুষ আজ এই স্বাধীন দেশে কথা বলতে ভয় পায়, লিখতে ভয় পায়, ভয় পায় কখন সাদা মাইক্রোবাসে কিছু লোক এসে বিনা কারনে ধরে নিয়ে যাবে, ভয় পায় নিজ স্বাধীন দেশে, পরিবার পরিজন থাকতেও বেওয়ারিশ লাশ হিশাবে দাফন হতে।
৪১ বছরে সব শাষক কম বেশী একই ভাবে চলেছেন।
“নিরাপত্তার তকমায় লাগানো প্রচ্ছন্ন্য ভয়ের শাষনই কি স্বাধীনতা”, আমি বুঝতে পারি না!
৪১ বছর ভুল নির্দেশনায় চালিত এই বাংগালীর দেশপ্রেম দেখতে খুব বেশী দূর যেতে হবে না, গত ২২ তারিখের এশিয়া কাপ ফাইনালের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে, বোঝা যাবে কি গভীর প্রেম-ভালবাসা নিয়ে দেশবাশী বসে আছে দেশের ছোট ছোট গঠনমুলক অর্জনের জন্ন্য।
কবে আমাদের দেশ পাবে একজন “মালেয়শীয়ার মতো বাংলাদেশী মাহাথীর” বা “তুরস্কের মতো বাংলাদেশী কামাল আতার্তুক”।না সেদিন আমরা তাদেরকে বিদেশী মহানায়কের নামের সাথে তুলনা করবো না, সেদিন তাদের নামই হবে বিদেশের জন্ন্য তুলনা, যেমন এখন বিদেশের কাছে তামিম, সাকিব, মুশফিকেরা একটা তুলোনা বিদেশের কাছে।
আমি শুধু এই টুকু বুঝি, মানুষ অপেক্ষায় আছে সেই নেতার যাদের ডাকে ছুটে গিয়েছিলো ৪১ বছর আগে, সেই রকম নেতা কবে আসবে যে শিখাবে স্বাধীনতার মানে কি!
যে স্বাধীনতার মানে আমরা ৪১ বছরেও বুঝিনি,
অন্ততো আমার মতো বোকারা বুঝতে পারেনি!