somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বর্গচূত্য রাজনীতিবিদরাও বিগতযৌবনা পতিতাতের মতো ভয়ংকর হয়ে উঠে ..

২৪ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[নোটঃ- যারা পতিতাবৃত্তিকে মহৎ পেশা হিসাবে বিবেচনা করেন - তাদের জন্যে এই পোস্ট না। এখানে পতিতাবৃত্তি নিয়ে কোন ধরনের বিশ্লেষন করা হবে না। যাই হোক, আসল কথায় আসি। ]

টরন্টোর ডাউন টাউনে থাকতাম এক সময়। সুটার আর পার্লামেন্ট ট্রীটের কাছেই ছিলো বাসা। যেহেতু তখন গাড়ী ছিলো না - তাই বাস বা স্ট্রীট কার থেকে নেমে অনেকটুকু হেঁটে বাসায় আসা যাওয়া করতে হতো। সেই সময় মাঝে মধ্যে দেখতাম উগ্র মেকআপ নিয়ে অদ্ভুদ ধরনের সাজসজ্জায় সজ্জিত হয়ে মোড়ে দাড়িয়ে থাকতো কিছু মধ্যবয়সী নারী - তাদের অংগভংগী ছিলো অদ্ভুদ। মাঝে মধ্যে দেখতাম হঠাৎ করে রাস্তায় নেমে গাড়ী থামানো চেষ্টা করতো - গাড়ী ভিতর থেকে লোকজন গালাগালি করতো আর তার উত্তরে মহিলাগুলো নানান ভাবে অশ্লীল অঙ্গভংগী করো আর অকথ্য ভাষায় খিস্তি করতো। একদিন এক বন্ধু বললো - এরা হলো প্রস্টিটিউট। যেহেতু এরা এদের যৌবন হারিয়ে ফেলেছে - সুতরাং এরা সহজে কাস্টমার পায় না। যেহেতু এই পেশার বাইরে কিছু করতে পারে না - তাই ভয়ংকর হয়ে উঠে এরা।

বিগতযৌবনা পতিতাদের নিয়ে এতো কথা বলার কারন হলো
বাংলাদেশের কিছু রাজনীতিবিদের মধ্যেও একই ধরনের প্রবনতা লক্ষ্য যায়। হয়তো জীবনের কোন একটা সময়ের কোন বিশেষ কর্মের ফলে নিজেদেরকে বিশেষ দ্রষ্টব্য করে ফেলে। এই ধরনের ভয়ংকর হয়ে উঠা স্বর্গচূত্য রাজনীতিবিদরের অনেক নামই আমরা জানি - যারা নিজেদের পূবাবস্থান ফিরে পাওয়ার জন্যে এতো বেশী নোংরামী করেছেন - যার ফলে এদের নাম উচ্চারন করারও রুচীহীনতার সীমা অতিক্রম করে।

সাম্প্রতিক ড. অলি আহাম্মদ বীর বিক্রম নামের একজন রাজনীতিবিদ বিগতযৌবনা পতিতা সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয়েছে। বিগত জামায়াত-বিএনপি জোটসরকারের সময় উনার পদপ্রাপ্তি হয়নি কেন আমরা জানিনা। তবে সেই সরকারের শেষ সময়ে উনি নিজেকে বিপ্লবী ভূমিকায় নিয়ে গিয়েছিলেন - জামায়াতের সাথে বিএনপির সশ্লিষ্টতাকে উনি উনার বিপ্লবের মুল কারন হিসাবে বর্ননা করে - সেই সরকারের দূর্নীতি বিশেষ করে অঘোষিত যুবরাজ তারেক রহমানের দূর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদী ভুমিকা নিয়ে নিজেকে আলোচিত করেছিলেন। পরে বিজয়ী জোটের কাছ থাকে অপ্রাপ্তি তাকে আবারো বিপ্লবী বানিয়ে দেয়। বর্তমান জোট সরকার তাকে কোন পদ-পদবী কেন দিলো না তা জানি না - তবে পদপদবী নিয়ে উনার কষ্টটা বুঝা কঠিন না। তাই উনি এখন ফেলে আসার স্বর্গে ফিরে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেন। একজন ভদ্রলোক হিসাবে পরিচিত মি. অলি আহমেদকে দেখাগেলো ভিন্ন চেহারায়। এই এলাকার আরেক কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী অত্যান্ত নোংরা ভাষা ব্যবহার করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্যে পরিচিত এবং এক সময় সাকা চৌধুরীও স্বর্গের অধিপতি ম্যাডামের সমালোচনা করে স্বর্গচূত্য হলেও পরে পূর্বস্থানে ফিরে যেতে পেরেছিলেন আরো উচ্চতর পদ পেয়ে। অলি আহমেদও মনে হয় উনার পুনঃস্বর্গ যাত্রার বাহন হিসাবে সাকার ভাষায় কথা বলা শুরু করলেন। নারীদের সম্পর্কের অশালীন কথা বলে উনি বির্তকিত হলে। আর স্বর্গ প্রাপ্তিও হলো না। ফলে এবার দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করার পথে নামলেন।

উনার নিজের যে অর্জন আর যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিজে সন্মানিত হয়েছেন তাদের সুরে সুর মিলিয়ে উনি এখন নতুন ইতিহাসের ধারনা দিচ্ছেন। ৩০ লক্ষ মানুষের জীবন এখন উনার স্বর্গপ্রাপ্তির সিড়ি হিসাবে ব্যবহূত হবে।

উনি স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর আবার নতুন করে শহীদের সংজ্ঞা এবং শহীদের সংখ্যা নির্নয় করছেন এভাবে -

Dhaka, Mar 23 (bdnews24.com)—Liberal Democratic Party (LDP) president Oli Ahmed has denied as 'baseless' the fact that three million people embraced martyrdom during the nation's war of independence in 1971.

Martyrs are those who took up arms during the war and died in direct combat. And no more than 30,000 people did that during the liberation war, said Oli, himself a freedom fighter, at a discussion meeting on Friday.

Click This Link

উনার কথার সারমর্ম হলো ৩০ লক্ষ নয় মাত্র ৩০ হাজার মানুষ শহীদ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে। লজ্জার কথা একজন মুক্তিযুদ্ধার মুখে জামাতিদের সুর।

এই সকল নীতিহীন আদর্শহীন বিগতযৌবনা পতিতার মতো শুধুমাত্র মুখোশ আর অশালীন কথা বলা বা বিতর্ক তৈরীর জন্যে নিজের দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা রাজনীতিবিদদের চিনে রাখুন। রাজনীতি যার যার - দেশ সবার। শুধুমাত্র রাজনীতির কারনে যে দেশের ইতিহাস বিকুত করে - তার জন্যে করুনা ছাড়া আর কি অবশিষ্ঠ থাকে! দেশের জন্মের ইতিহাস নিয়ে যারা বিতর্ক করে নিজেদের ব্যক্তিগত লোভ লালসাকে সন্তুষ্ট করতে চায় - চিনে রাখা দরকার সেই সকল স্বর্গলোভী মানুষদের।
আর সবচেয়ে ভাল কাজ হলো এই পতিত রাজনীতিবিদদের দৃষ্ঠি আর্কষনের জন্যে যে কুৎসিত বচনগুলোকে গুরুত্ব না দেওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১২ ভোর ৬:৩৩
১৫টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×