শেলফে বইগুলা ধুলার স্তরে আলাদা এক রুপ নিয়েছে,তাও ভালো লাগে,বইয়ের সাথে কোন রিলেশন নেই ভেবে। গান ভালো লাগে;ফোক গান,হাটতে ভালো লাগে,সিগারেট ভালো লাগে যদিও বুকে খুক খুক একটা শব্দের সঞ্চারণ বেড়ে গেছে।পাহাড় ভালো লাগে,ধান ক্ষেতও;ট্রাফিক জ্যাম,বাসে দাঁড়িয়ে রমণী দেখতেও ভালো লাগে।ওভারপাস দখল করা,ফুটপাত দখল করা ফ্লায়িং বিজম্যানদের দেখতেও ভালো লাগে,বেড়িবাধ-আশুলিয়ার সড়কগুলাতে সন্ধ্যায় ছিনতাই-রেইপ করার টেকনিক গুলা শুনতেও ভালো লাগে, নিদারুন টেকনিক মানুষকে মুহুর্তেই বোকা বানানোর,যদিও কর্পো যুগে সবখানেই ছিনতাই-রেইপ হলেও আমরা শুধু এই থার্ডক্লাস লোকদের কথাই ফলাও করে বলি,কারণ-আমাদের ভালো লাগে।বেকারত্ব ভালো লাগে,ভ্যালু অ্যাডেড টাকা কামাই আর ইউজের সিস্টেমও ভাল লাগে ।
ভালো লাগে কালো বাজারি,বৃদ্ধ লোকের অষ্টাদশীর সাথে দাপাদাপি,ভালো লাগে বিদেশি পণ্যের বিলবোর্ডে তাকাতে!
ভালো লাগে কারণে-অকারণে লেখালেখি,ভালো লাগে দামী মানুষজনের কারবার দেখে,ধর্ম নিয়ে হা-পিত্যেশ ভালো লাগে,ধর্মকে বাঁচানো,ধর্মকে পচানো লোকের অভাব নেই আজ,যদিও ধর্মটা এই পচানো-বাঁচানো মানুষজনেরা কখনোই কোন তোয়াক্কাই করেন না নিজের চারপাশে, যদিও আমাদের হাইকোর্টের বিচারপতিরা নীলক্ষেতের চিপাচাপায় চটি বইগুলা নিষিদ্ধ করতে না পারলেও ইন্টারনেটে পাওয়া ওয়েবসাইট নিয়ে খুবই সদা সতর্ক!ভালো লাগে বিচারপতিরাও ফেইসবুকে অ্যাকাউন্ট করেছেন এই ভেবে,যদিও বিচারপদ্ধতি চলে ১৮২১ সালের আইন মেনে!যদিও উনারা কোন খুনের বিচারের শেষ সমাধান করেন না,খুন করলে অবশ্য সাতখুন মাফ,এই সিস্টেমটাও ভালো লাগে!সেল্যুকাস,সেল্যুকাস!!!
“ভালো লাগা সব
হয়ে গেছে আজ
স্তব্ধ নীরব!”