সাভারে সাম্প্রতিক সময়ের ‘ভয়াবহতম’ ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা সাতশ’ ছাড়িয়ে গেছে।
Published : 07 May 2013, 09:24 AM
রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের সামনে বসানো সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় জানানো হয়, ওই সময় পর্যন্ত তারা ৭১১ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে ৫৫১ জনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার কাজ শেষ হতে আরো এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন যেসব মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে, তার বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানান।
এদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাভারের ভবন ধসের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া পোশাক শ্রমিক এবং নিহতদের স্বজনরা।
পরে জেলা প্রশাসক বিকালে বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নিয়ে ২০ মাইল সেনাবাহিনীর মাঠে চলে যান। সেখানেই বিকালে তাদের বেতন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শেখ ইউসফু হারুন।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অবরোধের কারণে সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
অবরোধ চলাকালে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত ১৪৫ জন দোকান মালিক একটি মানববন্ধন করেছেন। ক্ষতিপূরণ আদায়ের উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তারা।
এছাড়া বেলা ১২টার দিকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বৃষ্টির মধ্যেই ধ্বংসস্তূপের সামনে কিছুক্ষণ মানববন্ধন করে।
গত ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ওই ভবনে পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। আগের দিন ভবনে ফাটল দেখা দিলেও পরদিন ভয়-ভীতি দেখিয়ে সেখানে কাজ করতে বাধ্য করা হয় বলে বেঁচে আসা শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন।