শুধু যে স্থানের নামে এই সমস্যা—তা তো নয়। মানুষের নামও ইংরেজিতে লেখা নিয়ে আমাদের দেশে ব্যাপক ফ্যাসাদ। আমাদের এবং আমাদের পূর্বপ্রজন্মের মেয়েদের নামের আগে মোসাম্মৎ লাগানোর একটা রেওয়াজ ছিলো। বাংলায় সেটা সংক্ষিপ্ত রূপ ধারণ করে মোসাঃ হয়ে গেলো। ইংরেজিতেও সংক্ষিপ্ত রূপ হওয়া দরকার এর। মোহাম্মদ-এর সংক্ষিপ্ত রূপ আমরা Md বানিয়ে নিলেও মোসাম্মৎ-এর জন্য সর্বজনগ্রাহ্য সেরকম কোনো রূপ তৈরি হয়নি। অনেক জায়গাতেই দেখেছি বাংলায় নাম লেখা মোছাঃ রাবেয়া বেগম। কিন্তু ইংরেজিতে লেখা Mrs Rabeya Begum। আমাদের এক গ্রাহকের নামেও এরকম মোসাম্মৎ ছিলো। এক সহকর্মী ফর্মে সেটাকে লিখলেন Mosa। এমডি সাহেব সেটা কেটে দিয়ে বললেন নতুন করে আরেকটা ফর্মে Mst লিখতে।
আবার স্থানের নামে আসি। সহপাঠী জুয়েলের বাড়ি ছিলো নারায়ণগঞ্জের বন্দরে। ফরম ফিলাপের সময় ও লিখলো Bandar।
আমি জানতে চাইলাম, Bandar-এর উচ্চারণ নিশ্চয়ই বান্দর। বন্দর হয় কী করে?
ও বন্দরের ওপরই অটল রইলো।
আমি বললাম, তাহলে Bandarban-এর উচ্চারণ কী হবে?
জুয়েল কোনো জবাব দিলো না।
আরেক সহকর্মী মোহাম্মদ উল্লাহ থাকতেন বাড্ডায়; বোনের বাড়িতে। ভাগ্নে তার ক্লাশ থ্রিতে পড়ে। ভাগ্নেকে নিয়ে তিনি বেরিয়েছেন বাজারে যাওয়ার জন্য। একটা দোকানের সাইনবোর্ডে লেখা Maddhya Badda।
ভাগ্নে পড়লো, মাড্ঢা বাড্ডা।
মামা বললেন, মধ্য বাড্ডা।
ভাগ্নের সহজ যুক্তি : যদি Maddhya’র উচ্চারণ মধ্য হয় তাহলে হবে মধ্য বদ্দ। আর যদি Badda’র উচ্চারণ বাড্ডা হয়, তাহলে মাড্ঢা বাড্ডাই হবে।
*এখানে ট-এর সাথে র-ফলা দিয়ে লেখা; শুদ্ধভাবে ট-ফলা দিয়ে লেখা নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:১২