somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাননীয় অন্ধ ধর্ম/জাতি প্রেমিক নয় শুধু মাত্র মাননীয় দেশপ্রেমিক সচেতন জনগণ আপনাদের নিকট সাধারন একটি প্রশ্ন

১৯ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিন্দুদের দল নাকি আওয়ামীলীগ ! বেশির ভাগ হিন্দুরাই নৌকা মার্কায় ভোট দেয় কিন্তু কেন কোন হিসাব খুজে পাইনা । এই শুধু আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিক দল করার পিছনে হিন্দুদের কোন যৌক্তিকতা আছে কিনা তা খুজছি । বর্তমান সরকার তাঁর নির্বাচনি ইশতেহারে অর্পিত সম্পত্তি ফেরত দিবে বলে অঙ্গিকার করেছিল । কিন্তু বাস্তবে কি দেখছি যা পরবর্তীতে উল্লেখ করা হয়েছে । বিএনপি ক্ষমতায় এলে হিন্দুদের এই বলে অত্যাচার করা হয় যে, তোরা সবাই আওয়ামীলীগে ভোট দিয়েছিস, তোদের এখন কোন সুযোগ দেয়া হবে না । প্রকৃত পক্ষে কোন দলই হিন্দুদের হিন্দু বলে সুযোগ দেয় তাহা খুব একটা অদ্যাবদি চোখে পড়েনি । হাতে গোনা দু'একটা ঘটনার কথা যা যানি তা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় হয়ত হয়েছে । যতটুকু সুযোগ দেয়া হয় তা তাঁর যোগ্যতার কিঞ্চিত পরিমান মাত্র । এটা আমি হলফ করে বলতে পারি । যাই হোক... যদি হিন্দুরা বাংলাদেশের প্রধান দলগুলো দ্বারা এভাবে নির্যাতনের স্বীকার হন তাহলে এই সকল দল করে লাভ কি????? সকল দলের তুরুকের তাসই যদি হিন্দুরা হবে তাহলে তাদেরকে আলাদা করে দেয়া হোক । অন্তত: সংসদে তাদের জন্য আলাদা বরাদ্ধ দেয়া হোক । জনসংখ্যা অনুসারে যে কয়টি পদ পাবে তাতে সকল হিন্দুরা ভোট দিবে । তাঁরা যদি পারে তাদের অধিকার নিয়া কথা বলবে নতুবা নয় । অথবা তাদের এদেশ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় দেয়া হোক ।

এগেলো কষ্টের কথা । এটা অনেকটা উগ্রতাও হয়েছে বটে । মানুষ হিসেবে সকলের অধিকার নিশ্চিত করা খুব দরকার । বিশ্বে যে সকল দেশ অসাম্প্রদায়িক তাদের মধ্যে বাংলাদেশীরা সবদিক থেকে এখনও শান্তিতে আছে । হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সহ সকল ধর্মের মধ্যে একটা বন্ধন রয়েছে । যার ফলাফল সর্বদা আমরা উপলব্ধি করি বলে আমার বিশ্বাস । কিন্তু মাঝে মধ্যে কিছু লোক এই শান্তি নষ্ট করার পায়তারা করি । এদের যদি রুখে দেয়া না যায় তাহলে এর পরিনাম খুব একটা ভাল হবে না এটা বর্হিবিশ্বের দিকে একটা খোলা দৃষ্টিতে তাকালে দেখতে পাই । হয়ত আমার প্রথম কথাগুলোর মতো তারা ফুসে উঠবে । আর ফুসে ওঠা কোন দেশ তথা জনগণের জন্যই মঙ্গলজনক নয় । তাই সকলের প্রতি অনুরোধ আসুন এর সকল লোকদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই ।

এত কথা যার জন্য বলা একটু পড়ে দেখুন..... আপনার মনের অভিব্যাক্তি জানার প্রত্যাশা এখানে উল্লেখ করলাম ।।।।।।।।

সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় ৬২ বছর ধরে বাস করছে সরকারি কলেজের সাবেক অফিস সহকারী দীনেশ চন্দ্র রায়ের পরিবার। তারা যে বাড়িতে আছে সেটি অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে। বাড়িটির ১৮ শতাংশ জমি তারা বন্দোবস্ত পায় ১৯৬৭-৬৮ সালে। সমপ্রতি তাদের বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
বাড়ির ১০ শতাংশ জমি সুনামগঞ্জ-৪ আসনের (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ মতিউর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এমদাদুল হক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. ইব্রাহিমের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাংসদ মতিউর রহমান জানান, তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। তিনি জেনে সঙ্গে সঙ্গে বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।
দীনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে দীগেশ চন্দ্র রায় জানান, ১৯৪৯ সাল থেকে তাঁরা উকিলপাড়ায় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের কৃষ্ণচন্দ্র ছাত্রাবাসের পাশের ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। সেখানে তাঁদের আধা পাকা বাড়ি রয়েছে। ১৯৬৭-৬৮ সালে এটি তাঁর বাবা দীনেশ চন্দ্র রায়ের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। বাবার মৃত্যুর পর এখানে তিনি ও তাঁর ভাই আশীষ রায়, দীপ্তেশ রায় ও কৃপেশ রায়ের পরিবার বাস করছে।
দীগেশ চন্দ্র রায় আরও জানান, বাড়িটি নিয়ে তাঁদের একটি অর্পিত সম্পত্তি মামলাও (নং-২৫৫,৬৭-৬৮) রয়েছে। গত বুধবার তাঁরা জেনেছেন, বাড়ির ১৮ শতাংশ জমির মধ্যে ১০ শতাংশ এমদাদুল হক ও ইব্রাহিমের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।
বাড়িটির পাঁচ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার কথা স্বীকার করে সাংসদের পিএস ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, ‘আমি সব নিয়ম মেনেই জায়গা বন্দোবস্ত নিয়েছি। কোনো অন্যায় করিনি। এর সঙ্গে সাংসদকে জাড়ানো ঠিক হবে না।’ তবে গত শনিবার প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এই জায়গা এখন আর আমি নেব না।’
স্থানীয় লোকজন জানান, উকিলপাড়া এলাকাটি শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকায় এখানে জমির দাম বেশি। এই ১০ শতাংশ জমির দাম কম করে হলেও ৫০ লাখ টাকা হবে। সুনামগঞ্জের অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় ১৭৪টি বাড়ি ও ১৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই বাড়িটিও রয়েছে।
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন-২০১১ অনুযায়ী, সরকার যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভোগদখলকারীদের সম্পত্তি বন্দোবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে লক্ষ্যে সারা দেশে তালিকা তৈরি হচ্ছে। এ সময় ৬২ বছর ধরে ভোগদখলে থাকা বাড়ি অন্যের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ায় শহরের সংখ্যালঘুদের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
সুনামগঞ্জের প্রবীণ আইনজীবী স্বপন কুমার দেব বলেন, ‘এক ভাই ভারতে গেছে। চার ভাই দেশে আছে। এমন অনেক জায়গার পুরোটাই অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে হিন্দু জানলে কোনো যাচাই-বাছাই না করেই তালিকায় নাম উঠানো হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি সুনামগঞ্জে অনুপস্থিত থাকার সময় জায়গাটি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বন্দোবস্ত দিয়েছেন। বন্দোবস্ত নিয়মানুযায়ী হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কামরুল আলম বলেন, যাঁদের আগে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা দীর্ঘদিন খাজনা না দেওয়ায় তাঁদের নামে বন্দোবস্ত বাতিল করে অন্যকে দেওয়া হয়েছে।
দীগেশ চন্দ্র রায় দাবি করেন, বাংলা ১৪০২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জমির খাজনা পরিশোধ করেছে
Click Here
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:২৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০, কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×