somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যাম্পাসের জীবনের কলংক যে দিনগুলি- ২

১৮ ই মার্চ, ২০১২ ভোর ৫:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অন্য এক আন্দোলনের দিন , সামনের সারিতে ছিলাম- যখন বাহিরের কিছু ছেলে ভার্সিটির গাড়ি পোড়ানোর জন্য এগোচ্ছিল,"খ" স্যারকে একটা ছেলে অনুরোধ করলো - " স্যার , ওদের মানা করেন, যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ পোড়ানো না হয়, এমনিতেই আমাদের বাস নাই'। "খ" স্যারের উত্তর ছিল- "দু একটা বাস না পোড়ালে কি আন্দোলন হয়"। কিছুক্ষন পর দেখে ছিলাম ঐ বাহিরের ছেলে গুলো স্যারের কানে কানে কথা বলছে।

২০০৪/ ২০০৫-"-" নামের একটা মেয়ের ধর্ষকদের বিচারের দাবী নিয়ে আন্দোলনে প্রথম যে কজন কথা বলেছিল- সেই আহাম্মকদের মাঝে আমি একজন। জানতামনা - এটা ছিল সাজানো নাটক। কোন এক রাতে, প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে ক্যাম্পাস থেকে এক রকম পালিয়ে আসি বন্ধুদের সাহায্যে। ক্যাম্পাসের "ইনটিলিজেন্সের সোর্সদের" একজনের সাথে পরিচয়ের সুফল সেদিন পেলাম। পরদিন তিনি কেবল বল্লেন- "ঢাকা যান গা - আপনেগো মতন সরল না এই আন্দোলন"। আমার জেদের কারনে বল্লেন- বিকালে দেখা করতে, কি যেন দেখাবে। খুব ছোট ; আর এমন করে ভাজ করা কাগজ যেন কেবল একটা লাইনই দেখা যায়- আমিও পড়লাম একটা মেয়ের নাম- যার নাম তখন দেশশুদ্ধ সকলেই জানে, আন্দোলনের কল্যানে। আরো বল্লেন- গত তিনমাস আগে, এই লিস্ট বানানো হয়েছিল, যেখানে শহরের "খারাপ" কাজে নিয়োজিত ভার্সিটির মেয়েদের নাম লিপিবদ্ধ করা। আর এই মেয়ে সম্পর্কে উনি যা বল্লেন তা আজও মনে পরলে ঘৃনা হয় নিজের উপর - আমাদের সেই "সম্ভমহীন" ধর্ষিতার জন্য এই আমরাই রাস্তায় নেমেছি- বিচারের আশায়। নিজের নির্বুদ্ধিতার জন্য রাগ হয়- আমাদের চারপাশের আন্দোলনগুলোর উদ্দেশ্য, পেছনের পরিচালনাকারী এবং কারন কিছুই আমরা জানিনা, অথচ সেশনজটের ভুক্তভোগী এই আমরাই।

"২০০৫- উপাচার্যের অপসারনের দাবী" -তখন আমার শেষ বর্ষ- "গ" ম্যাডাম আর "ক" স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম- যেন কেবল আমাদের থিসিস এর ভাইভাটা অনুষ্ঠিত হতে দেয়া হয়। "ততদিনে ফাইনাল পরীক্ষার পর ৬ মাস পার হয়ে গেছে, আমাদের ব্যাচের সিএসসির ("ক" স্যারের বিভাগের) ছাত্ররা পাশ করে চাকরিও পেয়ে গেছে (কারন "ক" স্যারের বিভাগের পরীক্ষা বরাবরই উনার নিয়ন্ত্রনে)। কয়েকটা ব্যাংকে চাকরির আবেদন করার জন্য সময় চলে যাচ্ছে " বলার কারনে ম্যাডাম বললেন- তাই বলে তো আমারা এই ভিসির অধীনে একটা স্বাক্ষরও দিতে পারিনা। ভাইভাটা অনুষ্ঠিত হয়েছিল তারও ২মাস পরে। সেদিন যাদের "থিসিস সুপারভাইজার" হিসাবে "গ" ম্যাডামের উপস্থিত থাকার কথা ছিল তারা খুব ভয় পেয়ে ছিল । কেননা অন্য টিচারদের আক্রোশের শিকার হওয়ার বিরাট আশংকা ছিল। সেদিন কেবল দুর থেকে ভেবে ছিলাম "ভুল মানুষকে শ্রদ্ধা করার চেয়ে কষ্টের আর কিছু নাই" ।

ছাত্রজীবনের কলংক যে সময়গুলো-১
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১২ ভোর ৫:২৩
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×