somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিমুর সাথে

১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিমুর সাথে……….
১.
এসো, বোসো।। তারপর তোমার নাম কি যেন?
হিমু
ও..
আমি মোটামুটি একটু বিশ্বিত হলাম। কারন, স্বাভাবিক ভাবে কাউকে ‘হিমু’ নামটা বললে তারা বিশ্বিত হয়। আজ এই ধারার ব্যাতিল্রম হল বলে আমিই বিশ্বিত। যার সাথে দেখা করতে এসেছি তিনি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ রসায়ন এর অধ্যক্ষ ড. আতিয়ার রহমান। রূপা এর দুঃসম্পরকের চাচা। এ হিসেবে তিনি আমার চাচা হন। আমি একটু confusion এ আছি চাচা ডাকব নাকি স্যার।
‘বুইছ’ আমি দীর্ঘ ১৮ বছর শিক্ষকতা করেছি। ‘বুইছ’ এর ভেতর আমি একদিনও দেরি করে ক্লাস এ যাই নাই। ‘বুইছ’ এমনও অনেক দিন আছে, যেদিন ভার্সিটি বন্ধ থাকলেও আমি ভার্সিটি চলে গেছি। হে হে হে….. ‘বুইছ’………….
বুইলাম যে উনি ‘বুইছ’ শব্দটাকে মুদ্রাদোষ হিসেবে বেশ ভাল ভাবেই গ্রহণ করে নিয়াছেন। একটা ঘড়ি থাকলে ভাল হত, হিসাব করা যেত উনি মিনিটে কয়বার ‘বুইছ’ বলছেন। কিন্তু আমি তো মহাপুরুষ, আমার কাছে সময় এর হিসেব করা ঠিক নয়। কথাও যেন শুনেছিলাম যে কোন লোক যদি ১২ বছর শিক্ষকতা করেণ তাহলে আদালতে তার স্বাক্ষ্য নেয়া হয় না। মনে হচ্ছে কথাটা ভুল না। উনি নিজে নিজেই কথা বলে যাচ্ছেন। উনি এই বিষয়টা খেয়ালি করেন নাই যে, আমি তার বাসায় এসেছি আমার কোন প্রয়্জনে। উনাকে একটু ভড়কে দেই। শিক্ষকদের ভড়কানো সহজ।
আচ্ছা, স্যার আপনি তো রসায়ন এ পি. এইস. ডি. করেছেন, তাই না?
উনি গর্বের সুরে বললেন, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে।
তাহলে, বলেন তো ‘রসায়ন’ কাকে বলে?
যারা অনেক বেশি ঞ্জানী তাদের ঞ্জান বেশীর ভাগ সময় বড় বিষয় এ সীমাবধ্য। উনার ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হল না। কিন্তু উনি বেশ দ্রুত সামলে নিলেন।
তোমার নামটা যেন কি বললে? হিমু?
বলো, কি কারনে এসেছ?
আমাকে রূপা পাঠিয়েছে, আপনার সাথে ওর একটা বিষয় নিয়া আলোচনা করার আছে, সিলিকন ভিত্তিক জৈব যৌগ নিয়ে। আপনি একটু সময় করে ওদের বাসায় গেলে ভাল হত। এক নিঃশ্বাসে এই কথাগুলো বলে ফেললাম।
হঠাত করে ওনার মুখ উজ্জ্বল হঅয়ে উঠল।
বুইছ, sillicon based organic chemistry ছিল PHD thesis এর বিষয়।
ওনার ‘বুইছ’ টা আবার শুরু হওয়ায় বুজলাম উনি আবার স্বাভাবিক হয়ে গেছেন। তার অর্থ হল এখনি আবার ওনার লেকচার শুরু হবে। কিন্তু মহাপুরুষেরা লেকচার শুনে না, লেকচার দেয়। অতএব আমার উঠে যাওয়াই উচিত।
স্যার, আমি এখন উঠি।
উঠবে? ঠিক আছে। যাও। মা, অর্পা হিমুকে একটু এগিয়ে দিয়ে আয় তো।
না না ঠিক আছে আমি একাই চলে যেতে পারব। ওনার কষ্ট করে আসতে হবে না।
না বাবা বাইরে একটা বিদেশী কুকুর আছে। বুইছ, এলছেসিয়ান কুকুর। অচেনা কাউকে দেখলেই তাড়া করে। বুইছ, যখন তুমি এসেছিলে তখন জেরী প্রাতঃ ভ্রমনে বের হয়েছিল। বুইছ…
বাবা, তোমাকে না ডাক্তার বেশি কথা বলতে নিষেধ করেছে। তারপরেও তুমি…
মা, আমার সারা জীবনই কেটে গেছে কথা বলে। বুইছ…
থাক তোমার আর কথা বলতে হবে না। আমি ওনাকে গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসছি।
অর্পাকে দেখে মনে হয়, আনার্স 2nd year এ পড়ে। কিন্তু এখনকার মেয়েদের দেখে বয়স অনুমান করার উপায় নাই। ছুড়িদের দেখায় বুড়ি আর বুড়িদের দেখায় ছুড়ি। খুবই confusing. আমি এই confusion উপভোগ করছি।
ঘরের বাইরে বের হয়ে অর্পা আমাকে বলল, রূপা আপু আপনার কি হয়?
একটু ভড়কে দেই। মহাপুরুষ পদে যখন যোগদান করেছি তখন দায়িত্ব বলেও তো কিছু আছে।
ও আমার G.F.
অসম্ভব! আপু আপনার Girl Friend হতেই পারে না।
অর্পার চোখে বিশ্বয় আর রাগ একসাথে ফুটে উঠল। রাগের ভাবটাই বেশী। রাগলে মানুষকে ভাল দেখায় না। কিন্তু অর্পাকে আপূর্ব লাগছে। তাই আর একটু রাগাতে ইচ্ছা হল।
আমি বলেছি ও আমার G.F. এর অর্থ তো Good Friend ও হতে পারে। আসলে তুমি মনে মনে আমাকে ওর B.F. type এরই কিছু ভাবছিলে।
অর্পা, কটমট করে একটু তাকিয়া থেকে বলল, আপনি এখন আসতে পারেন।
হঠাত আবহাওয়া খুব শান্ত হয়ে যাওয়া ভাল লক্ষণ না। মানে মানে কেটে পরাই উত্তম।
অর্পা, B.F.এর পুর্ণরুপ কিন্তু Best Friend ও হয়। এই বলেই আমি পাগার পার।

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৫৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×