somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সময়ই ভালবাসাকে উপলব্ধি করতে পারে **

১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনেক অনেক দিন আগে একটি দ্বীপে সব অনুভূতিগূলো একসাথে বসবাস করত। সুখ, দুঃখ, জ্ঞান এবং অন্যান্য সব অনুভূতিগুলো ...... এমনকি ভালবাসাও। একদিন সকল অনুভূতিগূলোকে জানানো হল যে, খুব শিগগিরি দ্বীপটি সাগরের গভীর তলদেশে ডুবে যাবে। তাই সকল অনুভূতিগুলো তাদের নৌকায় করে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু শুধু ভালবাসাই একমাত্র থেকে গেল।



সে অন্তিম মূহূর্ত পর্যন্ত দ্বীপটিকে আগলে রাখতে চাইল। যখন দ্বীপটি প্রায় পুরাপুরি ডুবে যেতে থাকল তখন ভালবাসা সিদ্ধান্ত নিল যে, এখনই সময় চলে যাবার। সে সাহায্য নেওয়ার জন্য যেকোন একজনকে খুঁজতে থাকল। ঠিক সেই মূহুর্তে ধনী রাজকীয় নৌকা নিয়ে পার হচ্ছিল। ভালবাসা শুধাল,”ধনী,আমি কি তোমার নৌকায় করে যেতে পারি?” ধনী জবাব দিল,” আমি দুঃখিত,আমার নৌকা ভর্তি এত রুপা ও সোনা যে সেখানে তোমাকে নেওয়ার মত কোন রুম নাই।“ তখন ভালবাসা সিদ্ধান্ত নিল যে, চমৎকার পাত্র করে চলে যাওয়া অহংকারকে জিজ্ঞেস করবে।
ভালবাসা চিৎকার দিল, ”অহংকার, দয়া করে আমাকে সাহায্য কর”। “আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারব না।“ অহংকার জবাব দিল। “তুমি একদম ভিজে গিয়েছ আর আমার সুন্দর নৌকাকে নষ্ট করে দিবে।”

তারপর,ভালবাসা দুঃখকে পার হতে দেখল।ভালবাসা শুধাল, ”দুঃখ,দয়া করে আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাবে।” দুঃখ উত্তর দিল, ”ভালবাসা আমি দুঃখিত, কিন্তু আমাকে এখন একা থাকতে হবে।“
ভালবাসা সুখকে দেখতে পেল।ভালবাসা চিৎকার দিল, “সুখ, দয়া করে আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাও।” কিন্তু সুখ এতই আনন্দে আত্মহারা ছিল যে সে ভালবাসা যে ডাকছে তাই সুখ শুনতে পেল না।



ভালবাসা কাঁদতে শুরু করল।তখন যে একটি স্বর শুনতে পেল, ”এস ভালবাসা, আমি তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যাচ্ছি।” ইনি একজন বয়োজ্যেষ্ঠ। ভালবাসা অনুভব করল আশীর্বাদ ও আনন্দে এতটাই আত্মহারা হল যে বয়োজ্যেষ্ঠকে তার নাম জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেল। যখন তারা দ্বীপে পৌছাল তখন বয়োজ্যেষ্ঠ তার নিজের পথে চলে গেল।
ভালবাসা উপলব্ধি করতে পারল সে বয়োজ্যেষ্ঠের উপর কতখানি ঞ্চনী। ভালবাসা তখন জ্ঞানকে খুঁজে পেল এবং জিজ্ঞেস করল, “তিনি কে ছিলেন যে আমাকে সাহায্য করেছে? “উনি সময় ছিলেন”,জ্ঞান উত্তর দিল। “কিন্তু কেন সময় আমাকে সাহায্য করল যখন কেউই আমাকে সাহায্য করছিল না।“ ভালবাসা শুধাল। একথা শুনে জ্ঞান হেসে ফেলল। গভীর বিচক্ষনতা আর দায়িত্ববোধ থেকে জ্ঞান উত্তর দিল, ”কারন একমাত্র সময়েরই ভালবাসার মহত্বকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা আছে।


১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×