খালি করে, কাঁঠাল-মুচিরা কেউ সন্ধ্যায়, কেউ রোদের আলোয় মরে যায়।
আশি বছরের ঠোঁটে পানের রস যেমন রক্তের মতোন, শুকনা কুয়ার রাক্ষস মাটিতে
পয়লা বৃষ্টির পানি যেমন ডুবে ডুবে যায়...রোদের মুখ জ্বলজ্বল করলে ঘন-বিশাল হয়ে আসে বিশাল দুপুর, মানুষের ছায়া এইটুকুন, পায়ে পায়ে পড়ে থাকে। তাই চোখের নিচে সবখানে ক্লান্ত ঝিম-ভাব ধরে। নম্রে যাওয়া মনের মতোন বাঁশের মাচায় এলায়ে আসে একলা শরীর। তখন নাই! জামের ডালে কোন পাখি নাই, ওপারে আবছা মায়া-ধূসর পাড়া দেখার কিছু উপায় নাই। ধুলায় আর বাতাসে মাথা হয়ে যায় ঘাসের ডগার মাঠ,মাঠান্তর।
বাদামের ক্ষেত দেখে এলে যেমন লাগে, নীলচে রাতে যেমন ভালোবাসা-বাসা লাগে,
খুব ভোরে যেমন মনের মতোন প্রাণ জাগে আর কথা বলতে বলতেই বিকাল যেমন
অন্ধকার হয়ে যায়...ঠিক তেমন করে হয় না। চুল ছড়ানোর ভাষায় কাঠ-কয়লার রঙে রঙে মানুষের ছায়া পা থেকে মাটিতে ঢলে পড়ে, সুগন্ধের ছোট্ট কাঁঠাল কেমন বিশাল আহত হয়ে পড়ে গেল! ঘুম খুব গাঢ় হয়ে গায়ে এলে যেমন লাগে, শেষ রোজার শেষ সন্ধ্যায়
আযানের ধরণ যেমন...
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৩:৫১