তুমি ঘুমিয়েছিলে বুঝি, তাই জানতে না ঘুমিয়েছিলে তুমি...
রক্তজবার পাশ দিয়ে দূরের নদী এসে চলে গেলো আবার অনেক দূরে
সবটা আকাশ তারার ওরনা ফেলে জলে আবার আকাশ হয়ে গেলো
জানলে না নিজের বিরুদ্ধে ঘুমেয়ে ছিলে বলে,
নিজের চোখকেই তো সবচেয়ে বেশি ভয়,
দৃশ্য নাকি সবচে' মায়াবী, জেনেছো, মিলিয়ে যাবার পর
অমর হয়ে পড়ে ভীষণ, চোখের গভীরে, আর অন্তহীন এক মাথার অন্ধকারে...
ঘুমিয়েছিলে তাই জানলে না যে ঘুমিয়েছিলে তুমি হায়..
তখন ঘুমের মানে অনেক বেশি জেগে থাকা,
নিজের ভেতর সবটা পৃথিবী একে ফুঁয়ে নিবিয়ে দিয়ে
নির্বাণ নয়, খুব নির্বিকার থাকা
জাগলে যখন... খুঁজলে শুধু অন্তরঙ্গ তারাগুলো মুঠোর ভেতর
জোনাক পোকার জ্বলন্ত ওই দ্বিধা এখন কোথায়,
জাগলে, যখন অন্ধকার ঝলসে গিয়ে কেন এমন কালো হলো
শত্রু যেনো নিজের পিপাসায়
তুমি ঘুমিয়ে ছিলে অনেক যত্নে
যেনো কালো জলের একটা নদী তোমার অজ্ঞাতে
তোমাকে পেরিয়ে যায়, গিয়েছে,
জেগেছো যখন তুমি, বৃষ্টিহীন এক ফাটা মাঠ কেমন দিগন্তহীন একা
শীতের শুরুতে কে পায় ভরা বর্ষার পাড়ভাঙা নদী..
ঘরবাড়ি আর আঁচল ভাসিয়ে নেবে কেউ না কেউ
তবু সেই নদীর ঢেউ এতো প্রিয় ছিলো, জানলে শুধু জেগেছো যখন,
যখন সূর্য নদী এভাবে অস্ত গেলো, কেন এভাবে
অশ্লীল হলো খুব অন্তরঙ্গ সময় নিজের কাছে
রক্তজবার দিকে তাকিয়ে ভাবছো, চতুর্দিক কেন তোমার মতো নয়!
ভাবছো কেন রক্তজবা নিজেরই মাথার কাছে এভাবে হেরেছে!
মুঠোর ভেতর জোনাক পোকার জ্বলন্ত ওই দ্বিধা এখন কোথায়!
তুমি ঘুমিয়েছিলে বুঝি, তাই জানতে না ঘুমিয়েছিলে তুমি...
বরং ঘুমের ভেতর সমস্ত চুরি হয় চুরি হয়নি একটা কিছু বলে এমন হতভাগা!
১৬.০৩.২০১২
রাত একটা পনের