somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দু,টি কবর,সম্পূর্ণ কাল্পনীক

১৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছেলেকে দুর দেশে দিয়ে মা ছেলের চিন্তায়,চিন্তায় অসুস্হ হয়ে পড়েন।মায়ের সেই অসুস্হ খবর পেয়ে সাজু শিশুর মতন কাঁন্না করেন।সবে মাত্র ৬মাস চলছে সাজু স্বদেশ ছেড়ে ডুবাইয়ের মাটিতে আসছেন।সাজুর বড় আশা,আকাঙাখা সে তার পরিবারকে অভাব মুক্ত করবেন।মা,বাবার মুখে হাসি ফুটাবেন।আর মা,বাবার হাসি জড়ানো মুখ খানা দেখার জন্যই সাজু তার আত্বীয়ের নিকট থেকে সম্পূর্ণ টাকা(২৫০০০০টাকা) ধার করেন।কিন্তু,সাজু সে সবই তখন ভুলে যান।শুধু তার চোখের সামনে ভাসে মায়ের প্রতিচ্ছবি।সাজু,যে দিকে তাকান,সব কিছুর মধ্যেই সে শুধু মাকেই দেখতে পান।কোন উপায় খুঁজে পান না সাজু।গভীর রাত্রী।রুমের বাহীর হয়ে সে পথে পাগলের মত ঘুরা-ফিরা করেন।কোথায় যাচ্ছেন সে ভাবনা নাই তার।শুধু মুখে তার মা।হঠাৎ ,পুলিশের নজরে আসে সাজু।পুলিশ,সাজুকে হিন্দিতে জিঙ্গেস করে তুমার নাম কি?তুমার দেশ কোথায়?উত্তর করে সাজু,মা।পুলিশ ধারনা করেন সাজুর মেন্টাল সমস্যা।তাকে পাঠিয়ে দেন মেন্টাল হাসপাতালে।চিকিৎসকরা বলে দেন পুলিশকে তার মেন্টাল কোন সমস্যা নাই।পুলিশ ভাবেন,তাহলে ওকে এখন কি করা যায়?।
একজন বল্লেন,ওকে দেশে পাঠিয়া দেওয়াই উত্তম।উত্তর করে অপর এক পুলিশ বল্লেন,ঠিক আছে দেশে পাঠাইয়া দিব,কিন্তু কোন দেশে পাঠায়া দিব।সেতু নিজের নামই বলতে পারছে না,শুধু বলছে,মা।তখন এক পুলিশ বল্লেন,ও কোন দেশের আমি কিছুক্ষনের মধ্যেই তোদেরকে জানাচ্ছি।পুলিশটি একটু,একটু বাংলা জানতেন।সে বাংলায় বাচ্চাদের মত ভেঙ্গে,ভেঙ্গে সাজুকে বল্লেন,ভাই তুমি তুমার মাকে পৃথিবীর চাইতে বেশী ভালবাস।সাজু মাথা নীচের দিকে নেড়ে বল্লেন,হ্যা।পুলিশটি উচ্চ স্বরে হাসি দিয়ে বল্লেন,ও,বাংলাদেশী।অন্য পুলিশরা বল্লেন,তুই যে সত্যি বলছিস,তা আমরা কি করে বুঝব।পুলিশটি বল্লেন,পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র হৃদয়বান মানুষ বাংলাদেশী।ওরা মানুষকে সম্মান,শ্রদ্ধা,ভক্তি করে মাথা মাটির দিকে নীচু করে,কারোর মুখের দিকে চেয়ে নয়।উপস্হিত প্রত্যেক পুলিশই মেনে নিলেন ঐ পুলিশটির কথা।সাজুকে ওরা সবাই মিলে দেশে পাঠাইয়া দিলেন।সাজু বাড়ীত পৌছে দেখেন ওর মা মৃত।সবাই মায়ের লাশ ঘীরে কাঁন্না করছেন।সাজু বলছেন,আপনারা আমার মাকে ঘীরা কাঁন্না করছেন কেন?আমার মা তু মরে নাই।আমার ঘোমিয়ে আছেন বলে সাজু মায়ের বুকের উপড় হাত দিয়ে পাশে শন।সবাই সাজুকে ধরে দুরে নেন।লাশ ধৌত করে যখন কবরে রাখেন সাজু সবাইকে ভেদ করে কবরে মায়ের পাশে শোয়ে বলেন,মা তোমি কোথায় যাচ্ছ আমাকে রেখে?আমিও তোমার সাথে যাব বলে সাজু মাকে বুকে জড়িয়ে ধরে মায়ের সাথেই দোনিয়া থেকে চীর বিদায় নেই।সবাই পাশা-পাশী দুটি কবরে সাজুকে ও তার মাকে দাফন করলেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×