somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুল্যবোধঃ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও কয়েকটি দৃশ্যপট

১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

¤একটি দশ বছরের বালক আইসক্রীমের দোকানের একটি টেবিলে বসে মহিলা পরিচারিকাকে একটি আইসক্রীম কোনের দাম জিঙ্গাসা করল...
পরিচারিকা জবাব দিল "৭৫টাকা " ছেলেটি তার কাছে যে পয়সা ছিল তা গুনতে আরম্ভ করল ।তারপর জিঙ্গেস করল একটি ছোট আইসক্রীম কাপের দাম কত ।পরিচারিকা একটু অসহিষ্ণুভাবে জবাব দিল"৬৫টাকা" ছেলেটি একটি আইসক্রীমের কাপ নিল।আইসক্রীমটি শেষ করে দাম চুকিয়ে চলে গেল ।পরিচারিকা যখন প্লটটি তুলতে এল তখন দেখল প্লেটের নিচে ১০টাকা রাখা আছে তার বকশিশ হিসাবে ।বাচ্চা ছেলেটি নিজে আইসক্রীম খাওয়ার আগে পরিচারিকার কথাও ভেবেছে ।নিজের কথা ভাবার সাথে সাথে অপরের কথা চিন্তা করে সেদেখিয়েছে তর সহমর্মিতা ও সংবেদনশীলতা ।
[name of the book: YOU CAN WIN
writer: SHIV KHERA]
**সে চাইলেই কিন্তু ৭৫টাকা দামের আইসক্রীম কিনে নিজের চাহিদা মেটাতে পারত ।**
¤¤এবার আসি বস্তব ঘটনা নিয়ে ।অনেক ফ্রেন্ড আছে যাদের কাছে টাকাটা খুব বেশী ইম্পরটেন্ট ।সবার কাছেইকম বেশী ইম্পরটেন্ট ।পেরেডের রাস্তায় বসে আছি ।এমন মুহুর্তে এক জন বৃদ্ধ ভিক্ষুক আসল ।আমি এমন আনেক ফ্রেন্ডকে দেখছি যাদের পকেটে ভাংতি টাকা থাকার পরেও টাকা নেই বলতে দিধা বোধ করে না ।কিন্তু সেই ছেলেগুলোকেই দেখি উদার হস্তে টাকা খরচ করতে যখন কোনমেয়ের সাথে নাস্তার পর বিল দিয়ার টাইম আসে ।মোবাইলের বিলটাও উদার হস্তে দান করে কোন এক গরিবের[may be!!!!] মেয়েকে । পকেটে টাকা নাই ।নো প্রবলেম বন্ধুর থেকে টাকা ধার নিয়েও সিগারেট খেতে দেখেছি ।আমি শুধু খারাপ দিকটাই বলে যাচ্ছি ভালো দিকও আছে ।অনেকের পকেটে খুব অল্প টাকা থাকার পরেও দান করার টাইমএ সেই অল্প টাকা থেকেই দান করে । একদিন আমি,মুন্না(xtrovert munna) আর কিছু ফ্রেন্ড পেরেডের রাস্তার পাশে বসে আছি ।তখন ছোট একটা মেয়ে ভিক্ষা চাইতে আসল ।আমি মেয়েটিকে বল্লামতোরে কে ভিক্ষা করতে পাঠাইছে?? তোর আব্বা নাই?? সে জবাব দিল বাবা তার মাকে রেখে আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করে তাদের ফেলে রেখে চলে গেছে ।তখন আমরা তাকে ধমক দিতেই এন্ড ভয়লাগিয়ে জেরা করতেই সে স্বীকার করল
আসলে তার বাবা আছে ।তিনি রিস্কা চালক আর মা মানুষের ঘরে ঘরে কাজ করে । মেয়েটি যার বুঝার বয়স হয় নি মিথ্যা জিনিসটা আসলে কি!!!
তখন জানতে চাইলাম এই মিথ্যাগুলো কে বলতে বলছে ।সে জানাল তার মা শিখায় দিছে ।হায়রে দুনিয়া যে মেয়ের মিথ্যা বুঝর বয়স হয় নি তকে তার মা মিথ্যা বলা শেখাচ্ছে ।মূল্যবোধ তৈরী হয় পরিবর থেকে এন্ড ছোটবেলা থেকে... ...
¤¤¤এবার আরেকটা ঘটনা বলি ।একদিন বাসায় ফিরছিলাম তাই রিক্সা খুজতেছিলাম ।অনেকপর একটা রিক্সা পেলাম ।চালকটা একদম বৃদ্ধ ।বয়স হবে আনুমানিক ৬৫ কি ৭০মতন ।রিক্সা চালাতে গিয়ে ওনার হাত পা কাপতেছিল ।
তখন আমি ওনাকে বল্লাম চাচা আপনারতো রিক্সা চালাতে অনেক কষ্টহচ্ছে ।এই বয়সে রিক্সা চালাইতেছেন যে??
ওনি বল্লেন বাবা আমারে আল্লাহ দিছেন সব মাইইয়া ।তাদের বিয়া দিছি এখন আমি আর তোমার চাচী আর কেউ নাই ।আমি জিঙ্গাস করলাম দিনে কত কামাই করেন ।ওনার কথা থেকে যা বুঝলাম তা হল তিনি সপ্তাহে দুই কি তিন দিন বাহির হন ।তার মধ্যে মাত্র ১৫০টাকা মত ইনকাম করেন ।অনেক বেলা না খাইয়েও থকতে হয় ।কিন্তু তিনি চাইলে ভিক্ষা করতে পারতেন ।ইনকামতো ভালই হত আর এত কষ্টও হত না ।এমন কথায় তিনি বলেন জীবনে কারও কাছে হাত পাতি নাই ভিক্ষাতেতো সম্মান নাই ।মানুষের কাছে হাত পাততে লজ্জা লাগে ।আমি আর কি বলব ।শ্রদ্ধায় মাথাটা নুয়ে আসে এমন মানসিক শক্তি সম্পন্ন মানুষদের দেখলে ।তাই তরুণ ভিক্ষুকদেরক দেখলে ভিক্ষা দিতে গিয়েও থমকে যায় !!!

**** লেখাটি আমার কলেজ পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের। ব্লগিং করে না তাই আমি ই ব্লগে সুন্দর এবং মর্মস্পর্শী এই লেখাটি শেয়ার করলাম। https://www.facebook.com/mofa.fb তার ফেসবুক আইডি।
স্বপ্নবিক্রেতা!!
পারলে এখানেও ঘুরে আসুন। ভাল লাগবে আশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:০৭
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×