২০১০ সালের ২৯ এ জানুয়ারীর প্রথম আলোতে জ্বালানী নিয়ে একটি খবর ছাপানো হয়েছিল যার শিরোনাম ছিল: "বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ‘রোড শো’ শেষ।" প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে দেশের পিছিয়ে পড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে সরকারের ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট কনফারেন্স অ্যান্ড রোড শো অন পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি প্রজেক্টস’ শিরোনামের তিনটি অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।
"গত ১৫-১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ লন্ডনে প্রথম অনুষ্ঠানটির পর ২৫-২৬ জানুয়ারি ২০১০ এ সিঙ্গাপুরে দ্বিতীয় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। তৃতীয় অনুষ্ঠানটি শেষ হয়েছে শুক্রবার নিউইয়র্কে। তিনটি অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অন্তত ৩৫ হাজার কোটি টাকার (৫০০ কোটি মার্কিন ডলার) প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আনার উদ্দেশ্যে এ তিনটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিবিয়ানায় ৪৫০ মেগাওয়াটের গ্যাসভিত্তিক দ্বিতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেঘনাঘাট ৪৫০ মেগাওয়াট দ্বৈত জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভোলায় ১৫০ থেকে ২২৫ মেগাওয়াটের গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাভারে ১০০ মেগাওয়াটের তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কালিয়াকৈরে ১০০ মেগাওয়াটের তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং খুলনা ও চট্টগ্রামে আমদানি করা কয়লাভিত্তিক চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র—এগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৬০০ মেগাওয়াট।"
এইসব উদ্যোগের কথা বলা হয়। পত্রিকায় আরো বলা হয় যে সিঙ্গাপুরের অনুষ্ঠানে ৯০টি কোম্পানির ১৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। ২৬টি কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে সরকারি প্রতিনিধিদলের একান্ত আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল এইএস, কনোকো ফিলিপস, শেভরন, সুমিতোমো করপোরেশন, বিপি, পেট্রোনাস, চায়না পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না হুয়াদিয়ান হংকং কোম্পানি লিমিটেড।
আজ আমার প্রশ্ন, এতো উদ্যোগের ফলেও কেন লোডশেডিং থেকে গোটা জাতি মুক্ত হতে পারছেনা??