somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্রাম বাংলার কৃষকরা কেমন আছে

১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমাদের গ্রাম বাংলার মাটির মানুষের কাছাকাছি ছুটে যেতে মন চায় না কার! শহুরে জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও মন ছুটে যেতে চায় একটু ঘুরে আসতে। মাটির মানুষের সাথে একেবারে মিশে গিয়ে গ্রামীণ জীবন উপভোগ করতে। গ্রামের একেবারে কৃষক পর্যায়ের মানুষেরা কেমন আছে- তার খোঁজ আমরা অনেকেই রাখি না। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যদ্রব্যই আমরা ভোগ করে থাকি।

গ্রামে যে পণ্যদ্রব্য উৎপাদিত হয় তা কয়েক হাত ঘুরে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছায়। এতে দাম বেড়ে যায়। কৃষক ন্যয্য মূল্য পায় না। অনেক সময় কৃষকের উৎপাদন খরচই উঠে আসে না। কিন্তু মধ্যসত্ত্বভোগীরা ঠিকই মুনাফা লুটে নেয়।


গত শুক্রবার আমি চলে গিয়েছিলাম মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায়। উপজেলা থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর বিশাল চর। এই চরের কৃষকরা কেমন আছে চলুন দেখে আসি...

পদ্মা নদী শুকিয়ে যাওয়ায় বিশাল চর পড়েছে। সেই চরের মাঝখান দিয়েই হাঁটা। পদ্মা নদী এখান থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে।
চরের মাঝখানে একটি বাড়ি দেখা যায় দূর থেকে।


ধূ ধূ চরের মাঝখানে এই বাড়ির মালিক কৃষিকাজ করেন। স্ত্রী এবং দুই মেয়ে নিয়ে চারজনের পরিবার। চরে বাড়ি করেছেন প্রায় ৩ বৎসর হলো। ১৯৭২ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছিলেন। সেনাবাহিনীর চাকুরির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু চাকুরি না করে গ্রামে কৃষিকাজ করার মনস্থির করেছেন। নদী ভাঙ্গনে তাদের সব জমি পদ্মার পেটে গিয়েছিল। নদী সরে যাওয়ায় আবার জমিগুলো পেয়েছেন। এখন পুরোদমে কৃষি কাজ নিয়েই আছেন।


বাড়িতে বিশাল বিশাল দুটি ট্রাক্টর দেখা যায়। এই ট্রাক্টরগুলো এসেছে সুদূর নড়াইল থেকে। চুক্তিভিত্তিতে জমি চাষ করার জন্য ট্রাক্টর চলে আসে শীত মৌসুমে। বৈশাখ পর্যন্ত থাকবে। ৫ টাকা শতাংশ প্রতি জমি চাষ করা হয় ট্রাক্টর দ্বারা। বিঘাপ্রতি ২ লিটার ডিজেল লাগে। জীবিকা নির্বাহের জন্য পেশাটি অদ্ভূতই বটে।


এই চর এলাকার যানবাহন বলতে ঘোড়ার গাড়ি। বর্ষাকালে শুকিয়ে যাওয়া পদ্মার নিচু এলাকায় পানি উঠে। পুরো চরে টমেটু, গম, বাদাম, ধান, মসুরি, কলাই, গাজর ইত্যাদি চাষ করা হয়। গৃহস্থরা বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন সবজিও চাষ করে। এবার কৃষকরা টমেটু চাষ করে ভালো ফলন করতে পারেনি। আর দামেও কম পাচ্ছে। মাত্র ১০ টাকা কেজি বা ৪০০ টাকা মন বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। চাষের খরচটাও ওঠে আসছে না। তারপরও কৃষকরা থেমে নেই। আমাদের উৎপাদনের চাকা সচল রাখার জন্য পরবর্তী চাষে মনোনিবেশের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×