somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

জয় বাংলা - ২০

১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

": তুমি প্রত্যেকদিন মিথ্যা কথা বল! মিথ্যা বলার পরিণাম কী জান ?
: জানি বাবা, সারা জীবন হয় তোমার মতো মন্ত্রী কিংবা সাংবাদিক হয়ে থাকতে হবে ।"

কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আচ্ছা বলুন তো স্থলভাগের সবচেয়ে বড় প্রাণীটির নাম কী ? নিশ্চয় তিনি কোনো কিছু না ভেবেই বলে ফেলবেন হাতি ছাড়া চোখের সামনে তো আর কিছু দেখি না । আসলেই তাই। না দেখারই কথা । কারণ এর চেয়ে বড় প্রাণী স্থলভাগে আর নেই। এটি প্রোবোসিডিয়া [শুঁড়ধারী] বর্গের একমাত্র জীবিত প্রাণী । এ প্রাণীর জাতভাই ম্যামথের অস্তিত্ব্ব একেবারেই বিলুপ্ত । যা-ই হোক, প্রাণীটি দলবদ্ধভাবেই বসবাস করে থাকে । এ সম্পর্ক অবশ্য একদিনে গড়ে ওঠেনি । বলা যায়, যোগাযোগের মাধ্যমে পারস্পারিক সম্পর্ক বজায় রাখার রীতি শুরু হয়েছে সৃষ্টির শুরু থেকেই । হাতি অন্যান্য প্রাণী থেকে অনেক বেশি সামাজিক এবং যোগাযোগ প্রিয় । মূলত এরা বসবাস করে নিজেদের মধ্যে গ্রুপ তৈরি করে । বিচ্ছিন্ন থাকা সম্পর্ক সহজে জোড়াও লাগাতে পারে । কাছাকাছি না থেকেও সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে পারে । লেনদেন করতে পারে প্রয়োজনীয় তথ্যও । মজার ব্যাপার হলো, প্রাণীটি কখনও পুরনো বন্ধু-বান্ধবকে ভোলে না । হাতি রাজ্যে স্ত্রী হাতিকে ঘিরে গড়ে ওঠে বিশাল সংসার । বাচ্চা ও কম বয়সী হাতিগুলো ছোট ছোট দলবেঁধে মায়ের সঙ্গে বাস করে । পুরুষগুলো সাধারণত একাকী থাকতে ভালোবাসে । সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দলগুলো এক ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মধ্যে বসবাস করে । অনেকটা মানুষের মতো আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতদের সনি্নবেশ থাকে। মজার ব্যাপার হলো, পুরুষগুলো অনেকটা ছন্নছাড়া জীবনযাপন করলেও অন্যদের সঙ্গে কখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে না ।

উইকিপিডিয়াতে বলা হয়েছে- "রাজনীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । যদিও রাজনীতি বলতে সাধারণত নাগরিক সরকারের রাজনীতিকেই বোঝানো হয়, তবে অন্যান্য অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখান মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেখানে রাজনীতি চর্চা করা হয় ।
রাজনীতি কতৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গঠিত । রাষ্ট্রবিজ্ঞান হচ্ছে শিক্ষার এমন একটি শাখা যা রাজনৈতিক আচরণ শেখায় এবং ক্ষমতা গ্রহণ ও ব্যবহারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করে ।"

সংস্কৃতিতে একটা কথা আছে- ’ছাত্রনং অধ্যয়নং তপঃ’। সহজ কথায়, ছাত্রদের জন্য পড়াশোনা করাই হচ্ছে মূখ্য বিষয় । আমাদের স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে তখনকার সার্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে ছাত্র-রাজনীতির যে ভিত্তি এবং কালচার গড়ে ওঠে, সেই সময় এবং প্রেক্ষাপট- দুটোই এখন অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে । বৃটিশ-বিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান-বিরোধী আন্দোলন, সমাজতন্ত্র কায়েমের আন্দোলন- এগুলোর দিন শেষ হয়ে গেছে অনেক দিন আগেই । বৃটিশ-রা চলে গেছে, পাকিস্তানী-দের বিতাড়িত করা হয়েছে এবং পৃথিবীতে সমাজতন্ত্রের পতাকাও প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে । একমাত্র ’ইসলামী হুকুমত’ কায়েম করার আন্দোলন ছাড়া বাংলাদেশ এখন আর বিশাল কোন আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নেই যে, ছাত্রদের এর মধ্যে টেনে আনতে হবে । এমতাবস্থায়, আমাদের দেশের জন্য ছাত্র রাজনীতি কতো-টা জরুরী, তা ভাবার সময় অনেক আগেই এসেছে কিন্তু একমাত্র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদ ছাড়া আর কোন রাজনীতিবিদ এই বিষয়-টা তেমন ভাবে ভেবেছেন এবং ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে কিছু বলেছেন বলে মনে হয় না ।

রাজনৈতিক দল গুলোর ছত্রছায়ায় লালিত এই সব ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী-রা নিজেরা-তো পড়াশোনা করেই না, অন্য ছাত্র-ছাত্রী-দেরও পড়াশোনা করতে বাধা সৃষ্টি করে । নির্দিষ্ট দল না করলে হলে সিট পাওয়া যাবে না । হলে সিট-এর আশায় কোন দলে নাম লিখালে সেই দলের নিয়মিত কার্যক্রমে যোগ দিতে হবে, মিছিলে যেতে হবে, ভাংচুর করতে হবে, লাঠি, রাম-দা, ছুরি, পিস্তল নিয়ে বিপক্ষ দলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, চাঁদাবাজি করতে হবে, টেন্ডারবাজী করতে হবে, শিক্ষক-দের হুমকি দিতে হবে, এই সব । এতে আবার বিপক্ষ দলের কোপানলে পড়তে হবে এবং যে কোন সময় তাদের আক্রমনের স্বীকার হতে হবে এবং পরিস্থিতি খারাপ হলে কর্তৃপক্ষ আবার যে কোন সময় অনির্দিষ্ট কালের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধও করে দিতে পারেন । এই রকম এক অবস্থায় যে ছাত্র গুলো রাজনীতির সাথে যুক্ত হয় এবং যারা রাজনীতি থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে পড়াশোনা করতে চায়- তারা পড়াশোনা করবে কখন এবং কি ভাবে ? কি ভাবে একটা দেশের পরবর্তী প্রজন্ম যোগ্য ভাবে গড়ে উঠবে এবং দেশের হাল ধরবে ?

স্পিকার: মাননীয় সাংসদ, আপনার প্রশ্ন উত্থাপন করুন । সাংসদ: মাননীয় স্পিকার, আপনাকে ধন্যবাদ । ধন্যবাদ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, ডটার অব পিস, শান্তির পায়রা, দেশের লক্ষ্মী শেখ হাসিনাকে জানাই শত সহস্র সালাম । তিনি এ দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ… স্পিকার: আপনি প্রশ্ন করুন, মাননীয় সাংসদ । সাংসদ: ধন্যবাদ, মাননীয় স্পিকার । আজ আমাদের দেশ ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । আমাদের দেশ পরিচালনায় নিপুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে মাইলফলক স্থাপন করেছেন, তা যুগ যুগ ধরে…স্পিকার: আপনি আপনার প্রশ্ন করুন, মাননীয় সাংসদ… সাংসদ: জি, জি, মাননীয় স্পিকার । ধন্যবাদ । এই মহান সংসদে দাঁড়িয়ে আমি শুধু বলতে চাই, আমাদের দেশ ও জাতি এখন যে সোনার বাংলায় বাস করছে, যা একদিন স্বাধীনতার একমাত্র ঘোষক, শ্রেষ্ঠ বাঙালি, এ দেশের স্বাধীনতার নায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা শুধু সম্ভব হয়েছে তাঁরই যোগ্য কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে এবং… স্পিকার: প্রশ্ন করুন, প্রশ্ন করুন, মাননীয় সাংসদ । আপনি প্রশ্ন করুন ।
সাংসদ: ধন্যবাদ, মাননীয় স্পিকার । ধন্যবাদ আপনাকে এই মহান সংসদে কথা বলার সময় এবং সুযোগ দেওয়ার জন্য । আমি এই মহান সংসদের সময় নষ্ট করতে চাই না । আমার খালি একটা কথা বলার আছে । আজকে জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে, বঙ্গবন্ধুর লালিত সোনার বাংলা বাস্তবায়নে যে প্রচেষ্টা, পরিকল্পনা, ও উন্নতির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে, তা… স্পিকার: ধুৎ !

একটা কথা অনেকেই বলেন - মলাট দিয়ে বই যাচাই কোরো না ৷ এই কিছু ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদের কবল থেকে মুক্তি দাও এ দেশবাসীকে । আর যাঁরা দেশকে ভালোবাসে, রাজনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করে, তাঁদের একটু পোস্টারে ছবি তোলার ও নেতাদের নেক নজরে পড়ার সুযোগ দাও । মিথ্যামিথ্যি (হাঃ হাঃ হঃ) দেশ দেশ খেলা আর ভালো লাগে না । আমাদের এই দেশে কত কিছুই না আছে গর্ব করার । এ দেশের প্রকৃতি-পলি-নদী-সহজিয়া মানুষ-শিকড়ের গান, বিভিন্ন সময়ের বড় বড় কবি-সাহিত্যিক-রাজনৈতিক নেতারা_কত কিছুই না আমাদের গর্বের ।

(চলবে....)
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×