somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফ্রম দা বার্ডস্ আই ভিউ: রাজনীতির খেলায় কূটকৌশলী এবং চতুর দলনয় প্রয়োজন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ একটি রাজনৈতিক দল

১০ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যদিও মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ কিন্তু কিছু সংগত কারনেই আওয়ামিলীগ ও বিএনপির মধ্যে বিএনপিকেই সমর্থন করি মন্দের ভাল হিসেবে। আসলে যখন একটার অর্ধপচা আর একটা পুরোটাই পচা তখন অর্ধ পচাটাকে বেছে নেয়াছাড়া উপায় থাকেনা।

বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে বিএনপির ধুসর অবস্থান বাদে তাদের প্রতিটা দাবীই জনগনের মৌলিক চাহিদা ও অধিকার সংশ্লিষ্ট এবং গ্রহন যোগ্য। ব্রুট মেজরিটির সরকারের ব্রুট নিষ্পেষনে দেশ ও জাতির যখন নাভিশ্বাস উঠছে তখন বিএনপির চমৎকার কৌশলী শান্তিপূর্ন আন্দোলনপন্থা দেশ জাতি ও জনগনের জন্য যথেষ্ঠ আশাব্যাঞ্জক একটি জাতীয় রাজনৈতিক অনুষঙ্গ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই আমাদের জাতীয় দায়, এব্যাপারে সুরাহা অনেক আগেই হওয়াটা আমাদের জাতির জন্য বাঞ্চনীয় ছিল। অন্তত দেশের ভেতরকার রাজনৈতিক বিভাজন দুরকরে দেশ কে এগিয়ে নেবার ক্ষেত্রে এটার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তাহলে দীর্ঘ চল্লিশ বছর পরেও জনগনের মাঝে স্বধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বিভেদের দেয়ালটা থাকত না। অন্তত এ নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ থাকতনা, রাজনৈতিক দল গুলো বাধ্য থাকত সুশাষন কায়েম করেই জনগনের সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করত। কিনতু এ গুরুত্বিব ষয়টা রাজনৈতিক কারনেই এই সুদীর্ঘ সময় সমাধান করা হয়নি, শুধু এই অপরাজনীতির কারনেই দেশটা এতো পিছনে পড়ে আছে। দেশের এতা সমস্যা রেখে হঠৎ করে এই একটা ইস্যুর সমাধানই যেন বর্তমান সরকারের একমাত্র দায়িত্ব ও কর্ম হয়ে দড়িয়েছে। যে কোন দল যে কোন জনগুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে যাক না কেন তার ইস্যু ভিত্তিক কোন জবাব বা সমাধান বা তা প্রতিকারে কোন উপায় অবতারনা না করেই সরকার পক্ষথেকে একটাই কাউন্টার .. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রতিহত কারার জন্যই এগুলো বলা হচ্ছে। আমার চিন্বিতা করতেও ভয় হয় প্রশাসন, আইন-শৃংখলা, সীমান্ত সমম্যা, দূর্নিতি ইত্যাকার হাজারো সমস্যায় জর্জরিত একটি দেশের সরকার কি করে শুধু একটি বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতে সাহস পায়। এটা জনগনকে মহা মূর্খ ভাবারই নামান্তর ছাড়া কিছু নয়।

যদিও এটা সাধারন জনগনের কাছে যথেস্ট পরিস্কার যে রাজনৈতিক দলগুলো এ সব জাতীয় ইস্যুগলো ঝুলিয়ে রাখতেই বেশী আগ্রহী, যাতে প্রয়োজনের সময় ইস্যুগুলো ব্যবহার করে সাধারন ভোটারদের ব্লাকমেইল করা যায়। আর এজন্যই দলগুলো প্রানান্তকর চেষ্টা যাতে জনগন কোন ক্রমেই একই জাতীয় চেতনায় ঐক্যবদ্ধ না হতে পারে। বস্তুত জনকল্যানের রাজনীতি করে ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছাটা তাদের মোটেই নেই এবং তা তাদের রাজনৈতিক ব্যবসার জন্য মোটেই লাভজনক নয়। সুতরাং এসব মেনে নিয়েই জনগনকে সমর্থন দেবার চেস্টা করতে হয়। কখনো মনথেকে সর্মন দেয়, কখনো রাগে -বিরক্তিতে সমর্থন দেয়, কাউকে না কাউকে সমর্থন দিতেই হয়।

বর্তমান সরকারের মেয়াদের অধিকাংশ সময়টা দেশের বাইরে আছি, মাঝে মাঝে ভাবি ভালই হয়েছে ঝুট ঝামেলা দেখতে হচ্ছেনা, বস্তুত মোটেই তা নয়, আমার সারা জীবনে যতটা রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে ভেবেছি এই তিন বছর তার থেকে বহুগুন বেশি ভেবেছি। জানিনা কেন ভেবেছি, কেন আমাকে ভাবতে হবে, আমি ভাবার কে অথবা ভেবে লাভটা কি হলো। আসলে দেশটা তো আমার জন্মভুমি, আমার শিকড়ই বুঝি আমাকে ভাবায়। আমার এ দেখা অনেকটা পাখীর চোখে দেখার মত, দুরে থেকে দেখি কিন্তু অনেকটা এলাকা একসাথে দেখি এবং যাচাই বাছাই তুলনা পর্যালোচনা করার সুযোগ পাই। তাল কানা হবার বা পথ হারাবার সুযোগ কম থাকার কথা, কারন দুর থেকে অনেক ভাল দেখা যায় যা আমরা কাছে থেকে দেখতে পাইনা। এ যেন অনেকটা হাজার মাইল দুর থেকে গুগল আর্থ দিতে আমার বাড়ীর উঠোন আর পুকুর পাড়টা দেখার চেষ্টা করা।

আমার সাধারন মাথার চিন্তা আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রোরোচিত যে একজন স্বাধীনচেতা বাংলাদেশী নাগরিক কখনই আওয়ামিলীগের বর্তমান রাজনৈতিক অকস্থান সমর্থন করতে পারে না। আওয়ামীলিগ চরম অসহ্ষিু ক্ষমতা চর্চাকারী একটিদল, যাদের জনকল্যানের চেষ্টা ও তাদের প্রতি দায়িত্ত্ববোধের থেকে প্রতিবেশী দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ অনেক বেশী। আথীথ ইতিহাস কে নিজেদের মত করতে অনুবাদ ও ব্যবহার করার চেষ্টায় ব্যাস্ত। দেশীয় স্বার্থ রক্ষার থেকে ভিনদেশী স্বার্থ রক্ষাই তাদের কাছে বড় ইস্যু হয়ে দাড়ায়। দেশের জনগন এবং দেশের স্বার্থ ও সন্মান যখন প্রতিবেশী রাস্ট্র দ্বারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখনো দলটি নগ্ন ভাবে সে দেশটির তাবেদারি করতে কুন্ঠাবোধ করেনা। আওয়ামিলীগ দেশের ভেতরে জাতীয়তা বোধ বা ঐক্যবদ্ধ চেতনা সৃষ্টি কারার থেকে দেশকে বিভাজিত রাখার প্রতি বেশি আগ্রহী এবং তা তাদের জন্য বেশী লাভজনক মনে করে।

অবশ্যই একথা অনস্বীকার্য যে রাজনৈতিক খেলায় আওয়মিলীগ যে কোন দল থেকে দক্ষ এবং কূটকৌশলী। কিন্তু আমার দেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ও সম্মান বিবেচনা করে আমি মনে করি সুচতর দল থেকে একটি দেশপ্রেমিক দলই এখন আমাদের অধিক কাম্য। যারা মুখে বলবেনা আমাদের থেকে বেশী দেশ প্রেমিক কারা? যারা বলবেনা আমরা হ্যান করেছি ত্যান কারেছি, সুতরাং আমরা এখন যা ইচ্ছে তাই করবো। আশায় থাকবো পরবর্তিতে এমন কেউ দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবে যারা দেশপ্রেম প্রকাশ করবে কাজের মাধ্যমে। খুব বেশী অতীত নিয়ে ঘেটে আমাদের বর্তমান ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টাই আমার করা উচিত।

** লিখাটি সম্পূর্ন ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোন থেকে লিখা, কারো সাথে দ্বিমত থাকাটাই স্বাভাবিক। সুপাঠ্য সুন্দর মতামত ও সমালোচনা করলে তা ধন্যবাদের সাথেই গ্রহণ কারার চেষ্টা করবো।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×