কোন এক দেশের রাজা মারা গেলেন,উত্তরাধিকার সুত্রে তার কন্যা কিংবা বউ ঐ দেশের রাজা হলেন।তার উপর দ্বায়িত্ব পড়ল দেশের দেখভাল করা ।সামনে শীতকাল। একদিন দেশের কিছু সুচিল সমাজের লোক এসে রাজাকে বললেন"প্রতি শীতের আগে আমাদের রাজা নির্ধারন করে দিতেন কি পরিমান কাঠ আমরা এ বছর কাটব । এবার সে দায়িত্ব আপনার উপর বর্তেছে মহামান্য রাজা" ।
রাজা পড়লেন মহাচিন্তায়।পুর্বের রাজার উত্তরাধিকার হওয়া ছাড়া রাজা হবার কোন যোগ্যতাই যে তার
নাই ।ঘঠে বুদ্ধি বাঙলার রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত ।তার পরও যেহেতু আদেশ দিতে হবে তাই ঘোষনা দিলেন "অন্যান্য সময় যে পরিমান কাঠ কাটতেন এবছর তার চেয়ে একটিু বেশী কাটবেন "।
যেহেতু শীত প্রধান দেশ তাই যদি শীত বেশী পড়ে তাহলে কাঠ বেশী লাগবে আর যদি কম পড়ে তবে তা পরবর্ততে কাজে লাগান যাবে ।কাঠে টান পড়লে সেটা রাজার জন্য অপমানজনক । রাজার নিরেট যুক্তি ।কিছুদিন পর রাজা বিদেশ গেলেন এবং এক রেস্টুরেন্টে সি এন এন চ্যানেলে আবহাওয়া রিপোর্টে বলতে শুনলেন এবার অনেক শীত পড়বে ।রাজা পড়লেন চিন্তায় শীত যদি বেশী পড়ে তবে তো কাছে টান পড়ে যাবে ।তিনি ফিরে সবাইকে আরও কাঠ কাটতে বললেন ।১৫ দিন পর আবার বিদেশ গেলেন এবং পুনরায়
সি এন এন রিপোর্টে বলল এবার গত বিশ বছরের তুলনায় বেশী শীত পড়বে । ফিরে জনগনকে আরও কাঠ কাটার নির্দেশ দিলেন ।কিছুদিন পর আবার বিদেশ গিয়ে যখন শুনলেন যে সি এন এন রিপোর্ট করেছে যে এবার সর্বকালের সবচেয়ে বেশী শীত পড়বে রাজা তখন নিজেকে আর সংযত রাখতে পারলেন না ।আটলান্টাতে সি এন এন অফিসে ফোন করে জানতে চাইলেন ,আচ্ছা আপনারা কিভাবে শীত সংক্রান্ত এমন ভবিস্যত বানী করেন?
ওপাশ থেকে জবাব এল "কেন আপনি জানেন না শীতের প্রস্তুতি হিসাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যনগ্রোভ ফরেষ্ট বাঙ্গালীরা কেটে সাফ করে ফেলছে ?
আমি দেশ কিংবা রাজা কারও নামই উল্লেখ করলাম না ।আল্লাহ মানী লোকের মান রক্ষা করতে বলছেন ।যারা বুজছেন পরেরটুকো তাদের জন্য আর যাদের এন্টিনার উপর দিয়ে গেছে তারা ব্লল ছেড়ে ফেসবুকে "মনটা চরম খারাপ" টাইপের স্টাটাস আপডেট দেন ।
ফুটন্ত কড়াই আর জলন্ত আগুনের মধ্যে কোনটা ভাল ? গোবরের কোন দিকটা ভাল । বি এন পির শাষন আমল চলে গেছে প্রায় ৮ বছর আগে। জাতি হিসাবে আমারা ভুলে যেতে ওস্তাদ ।ভুলে গেছি তারেক রহমান,মামুন,হারিস চেীধূরী সহ হাওয়া ভবনের কুকির্তী।ঘৃনা করতে শুরু করল মানুষ বি এন পি কে ।মুক্তিযুদ্ধের মুলা ঝুলিয়ে এবার আসলেন শেখ হাসিনা ।মন্দের ভাল হিসাবে তাকেই গ্রহন করলাম ।জাতি চরম ভাবে প্রত্যাখান করল বি এন পি কে । আমরা আশায় বুক বাধলাম ।এবার বুঝি কিছু হবে ।কিন্তু যা ছিল তাই ।গুটি কয়েক ব্যাক্তির ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই বদলাল না ।নতুন কিছু নাম পেলাম।হানিফ,কামরুল ইসলাম,মোশারফ হোসেন । প্রাপ্তি বলতে এইটুকোই । আগে কেউ বলতেন "আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়া গেছে আমাদের কি করার আছে আর এখন কেউ বলেন আমরা তো কারও বেডরুম পাহাড়া দিতে পারি না ।আফসোস আপনারা যে রাস্তাও পাহাড়া দিতে ব্যার্থ তা বুজলাম সেীদী কুটনীতিক এর মৃত্যুর মাধ্যমে ।
২৮ অক্টোবর চলে গেছে ১২ মার্চ আসছে । মৃত্যুর হিসাব নিকাশ নিয়ে ইশ্বর এই মুহুর্তে ব্যাস্ত আছেন মনে হয় ।কারও কথায় কোন লাগম নাই যে।লাশ হিসেবে ইশ্বর আবার গরীব মানুষদের পছন্দ করেন ।তাদের নিয়ে ভাবনা । ওরা মরলে কারও কিছু যায় আসে না ।
বরাত মানে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় কত শব এ বরাতের রাত যে মসজিদে কাটিয়েছি তার ইয়াত্তা নাই । বছর শেষে পরিবর্তন যখন চোখে বাধতো না বলতাম " আল্লাহ সাত আসমান থেকে নেমে ১ম আসমানে এসে প্রথমেই উপরতলার মানুষদের যেমন ক্লিনটন,বুশ,টনিব্লেয়ার,হুসনেমোবারক,গাদ্দাফী,সেীদী,কুয়েতের রাজ বাদশাহ এদের ভাগ্য পরিবর্তন করেন ।পরে শেখ হাসিনা ,এরশাদ,খালেদা জিয়া এদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেন । এদিকে ভোর তো হয়ে যায় ইশ্বর চলে যান আমাদের কেবল বলে যান "তোদের ভাগ্য যেমন ছিল তেমনই থাকবে পারলে নিজেরাই পরিবর্তন করে নে ।" আমরা কখনই তা করিনি পাছে ইশ্বর বিরক্ত হন !