somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হ্যাপি কাপল

০৭ ই মার্চ, ২০১২ ভোর ৬:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-বাড়ি ফেরার সময় ফুল নিয়ে এসো আমার জন্যে।
-ঠিক আছে আনবো।
-রজনীগন্ধা ছাড়া যেকোন সাদা ফুল।
-আচ্ছা।

ফুলে ফুলে ভরে আছে শহর। এই রাত্তিরেও। একরত্তি ছেলেমেয়েরাও জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিভাবকদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে। স্ট্রিটল্যাম্প আর নিয়ন সাইনের সাথে রক্তরঙা চোখবাতি শহরের শোভাই বর্ধন করছে বরঙ। এমন দিনে ফুল না কিনে পারা যায়? আমি অবশ্য ফুল তেমন চিনি না। কখনও কাউকে দেইও নি। কেউ আমার কাছে ফুল চাইবে তাও ভাবি নি। ভাবি নি কেউ প্রতীক্ষায় থাকবে একলা ঘরে।

আমার জন্যে। স্রেফ আমার জন্যে। ভুল হচ্ছেনা তো? আমার জন্যে, নাকি ফুলের জন্যে? আমার ভুল হচ্ছে। নিশ্চিতভাবেই ভুল হচ্ছে। কারণ আমি বাসার ঠিকানা ভুলে গেছি। ভুলে গেছি প্রিয়ংবদার নাম। কিন্তু ফুল আমাকে কিনতেই হবে। শামিল হতে হবে এই শাস্বত শারোদৎসবে। আবারও ভুল হচ্ছে! আমি জানি না এটা শরৎ নাকি বসন্তকাল। ফুলের মত ঋতু সম্পর্কেও আমি অজ্ঞ।

বাট হোয়াট দ্যা ফাক আই ডু কেয়ার? আই হ্যাভ টু বাই ফ্লাওয়ারস, এ্যান্ড দ্যাটজ অল। কার জন্যে, কোন ঘরে, কোথায় তাতে কী এসে যায়! কেউ একজন বলেছিলো, হতে পারে সে আমার স্ত্রী, অথবা সাবেক প্রেমিকা অথবা বর্তমানে চালিয়ে যাওয়া অনৈতিক সম্পর্কের নায়িকা, কী এসে যায়! হা হা হা! কেউ হেসে যায়।

এই পুষ্পসুরভিত প্রেমকাননে কারো হাসিই অগ্রাহ্য করার মত নয়। হতে পারে সে প্রেমিকা, হতে পারে সে গণিকা অথবা হতে পারে সে বিস্ময়কর সম্ভাবনাময়ী গণিতিকা। কিন্তু সবশেষে, দুঃখিত, ভদ্রজনদের কাছে আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থনা করে আমাকে চিৎকার করে বলতেই হচ্ছে,

হু দ্যা ফাক ডু আই কেয়ার!

লেপ্টালেপ্টি ,অপরিণত চুম্বন আর লুকায়িত পরকীয়ার সংকীর্ণ গলিপথ সন্তর্পণে সন্ত'র মত এড়িয়ে আমাকে ফুলবিক্রেতাকে খুঁজে নেয়ার প্রয়াস করতেই হয়। যার কাছে আছে রজনীগন্ধা ছাড়া অন্য সব সাদা ফুল।

অসংখ্য রঙীন ফুলের ছদ্মবেশে সাদা ফুল খুঁজে নেয়াটা শ্রমসাধ্য বটে, তাই আমি একজন নিশিকন্যার সন্নিকটে যাই। যার সুগঠিত শরীর, ভরাট ঠোঁট, যৌবনাহ্লাদী দেহ আমাকে একপার্শ্বিক যৌনভাবনায় তাড়িত না করে পারে না। তাই আমি আহবানরত হকার, বিনম্র সাদাসিধে সুবিধাবাদী আটপৌড়ে যুবক এবং অপটু চুম্বনরত কিশোর কিশোরীদের গর্বিত চাহনি উপেক্ষা করে তার কাছেই যাই। তাকে আমার একটা জীবন্ত সুবাসিত মাংসল ফুল মনে হয়। সেই সুবাসে মোহগ্রস্থ হয়ে আমি কথা বলার ছলনায় তার কাছাকাছি আসার চেষ্টা করি

-ভালো ফুল কোথায় পাওয়া যাবে বলতে পারেন? সাদা ফুল, তবে রজনীগন্ধা ছাড়া।
তার সুগঠিত স্তনপুষ্পের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আমি সুধোই।
-কাঁধের এক্সরে করতে হলে ব্রা খুলে ফেলতে হয়। আমি কাঁধে ব্যথা পেয়েছিলাম, তাই জানি।
স্মিত হেসে সে বলে।
-কবে? কোথায়?
-কেন, তুমি ভুলে গেছো?
-আমি মনে রাখার কে? আর আমাকে তুমি করে বলছেনই বা কেন?
জিজ্ঞাসা করার সঙ্গে সঙ্গেই আমার মনে পড়ে কোন একজনকে ফুলস্তবকে স্তবিত করতে গিয়ে স্তম্ভিত হতে হয়েছিলো তার আকস্মিক স্তব্ধতায়। তার চোখের কালো রঙ হয়েছিলো লাল। বিস্ময়ে নাকি রাগে নাকি লোলুপতায় আমি বুঝতে পারি নি। তবে আজ এই অপার ভালোবাসার অপার্থিব অনুভবে অপ্রিয় সত্যের অধরে আমার ওষ্ঠ যুক্ত করে ফরাসী চুম্বনের মোহে ফেলে প্রকৃত বাস্তবটা জেনে নিতেই পারি!

ঠোঁটে ঠোঁট আর জিভে জিভ সন্নিবিষ্ট হবার কারণে আমাদের কথাগুলো অস্পষ্ট শোনায়।
-তউমই খই ষটয়ই ামআড় ঝণয়এ ফউল ছএ্যএছঃইলএ?
-ি্যআঃ ডই্যআড়
চুম্বনের স্থায়ীত্বকাল খুব বেশি হতে পারে না তার বিবিধ ব্যস্ততার কারণে। তাই সে ঠোঁট ছিনিয়ে নিয়ে বলে,
-ফুল নিয়ে এসো আমার জন্যে। রজনীগন্ধা ছাড়া যেকোন সাদা ফুল।

এবার তাকে আমার পরিচিত লাগে। এবার অতলান্তিক অপরিচয়ের নেশা কেটে গিয়ে আমার বাস্তববোধ জাগ্রত হয়। আমাকে ফুল কিনতে হবে।
প্রতিবর্তি চটপটে মুহূর্তে আমি তার আলিঙ্গন এবং চুম্বনকে ছাড়িয়ে নিয়ে ফুলযাত্রীদের মিছিলে ভীড়ে যাই। নানারকম আদেশ অথবা আকুতি অথবা মিনতি অথবা ছেলানির প্রতিধ্বণিতে আমার কান ঝালাপালা হয়ে যায়...
-ফুল নিয়ে এসো আমার জন্যে। রজনীগন্ধা ছাড়া যেকোন সাদা ফুল।

ক্যান ইউ প্লিজ শাট দ্যা ফাক অফ? আউ হ্যাভ হারড এনাফ।

সাদা ফুল। রজনীগন্ধা। স্যরি, রজনীগন্ধা ছাড়া যেকোন সাদা ফুল। ইজ দ্যাট ফাকিং এনাফ? জানি না তুমি কে বলছো, জানি না তুমি কোথায় আছো, শুধু জানি তোমার নাম। আর জানি তোমার বাসস্থান। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, আমরা এক খাটেই শুই। শৃঙ্গার করি, চুমু খাই, মিলিত হই। আমি তো তোমাকে আশ্বস্ত করেছিই যে ফুল নিয়ে আসবো। বারেব্বার তোমার শ্বেতরজনীগন্ধাবিমুখতার কথা বলতে হবে না। ইজ দ্যাট ফাকিং ওকেই?

ইয়াহ, আই হোপ ইজ ইট।

ব্যাপারটা এভাবে ভেবো না যে, তোমার ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে আমি এই সিদ্ধান্তে জোরপূর্বক উপনীত হয়েছি। স্মরণ কর...
আমার কন্ঠে উদ্বিগ্ন শীতকাল।

-কাঁধের এক্স রে করা সময় তত্ত্বাবধানকারী তোমার বক্ষবন্ধনী খুলে আসার নির্দেশ দিলে তুমি ভীত চোখে তাকিয়েছিলে? তখন তোমাকে আশ্বস্ত করেছিলো কে? আমিই তো, নাকি? তাহলে কেন এত ভয় পাচ্ছ? কেন রাতবিরেতে ঘুরে বেড়াচ্ছ? কথা দিচ্ছি, তোমার জন্যে সাদা ফুল আমি আনবোই।
-আমার আরো একটা উন্মত্ত কামড় খেতে ইচ্ছে করছে হানি! আরো দশটা এক্স-রে করতে ইচ্ছে করছে। উমম...
-হ্যাঁ, আমার মনে আছে, সেদিন তুমি কালো ব্রা পরেছিলে, আমাদের অকস্মাৎ তীব্র যৌনঘটিত 'ভালোবাসা'র সময়ের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার ফলশ্রূতিতে...তুমি আহত হয়েছিলে। কিন্তু তা অনুভব করনি তোমার ক্ষুধা মেটানোর আগ পর্যন্ত। আর যখন তুমি অনুধাবন করতে সক্ষম হলে যে, যৌনেন্দ্রীয় ছাড়াও অন্যান্য প্রত্যঙ্গ আছে, তখন তোমার সামাজিক শুভবোধ জাগ্রত হল, তোমাকে চিকিৎসাগারে নিয়ে যেতে হল এবং তুমি যাবতীয় পরীক্ষা নীরিক্ষা উপভোগ করে আজ আমাকে সাদা ফুলের ফরমায়েশ দিচ্ছো। কারণ তোমার ফর্সা শরীরে কালো বক্ষবন্ধনী আমাকে একসময় অভাবনীয় রকম উদ্দীপ্ত করলেও, পরিবর্তন সবসময়ই ইরোটিক।
আজ, এই ভালোবাসার শুভলগ্নে তোমার জন্যে সাদা সুগন্ধী ফুল আমি কিনতেই পারি, একটু অপেক্ষা কর শুধু। এখনই ঘুমন্ত অথবা জাগ্রত অবস্থায় টম ফাকিং ক্রুজ অথবা উত্তম চোদন কুমারের কথা ভেবে ফিঙ্গারিং করো না, অথবা রাস্তায় বেরিয়ো না। আমি আসবো। সাদা ফুল নিয়ে। বিশ্বাস কর আমায়। বিশ্বাস কর... হোয়াট দ্যা ফাকিং হেল ওয়াজ ইওর নেম? ডাজন'ট ম্যাটার। ফুল আমি নিয়ে আসবোই।

-কখন?
-যখন ইচ্ছা তখন, তুমি কোন খানকি মাগী আইছো দিকদারী করবার লিগা?
-উয়েল! তুমি আমারে মাগী কইলা? তাইলে শুনো, আমার গায়ের রঙ ধলা, আমার ব্রায়ের রঙ কালা আর তুমি আমারে মদ খায়া কামড়ায়া...
-স্টপ ইট স্লাট!
-আইচ্ছা। অফ গেলাম। তয় তাত্তাড়ি বাড়িত আইসো। নাইলে বেডরুম খালি পাইবা না। ছুদানির ফুয়া!
আমি তার নোঙরা মুখটায় স্কচটেপ এঁটে দেই। একান্ত পরিচিতারা অশ্রাব্য বাক্যবাণে জর্জরিত করলে এটুকু কঠোর আমি হতেই পারি! উপরোক্ত বাক্যটিতে বহুবচন প্রয়োগ করা কি যথার্থ হল? যেহেতু আমি সামাজিকভাবে স্বীকৃত পন্থায় একজনের কাছে জীবনভর অবৈজ্ঞানিক, আনফ্রয়েডিয় উপায়ে দায়বদ্ধ, সেহেতু, অবশ্যই আমাকে তার কালো ব্রা বিষয়ক সংস্কার, আন্তর্জাতিক ভালোবাসা দিবস বিষয়ক অবশ্য পালনীয় কর্তব্য এবং ফুলবিষয়ক বিকারগ্রস্থতা মেনে নিতেই হবে!
সুতরাঙ আমি তার মুখ থেকে স্কচটেপ খুলে ফেলি। ক্ষণকালের বিপদ্দশা সাচ্ছন্দ্যে ভুলে গিয়ে সে আবার অনুনয় করে...

আরো দূরে গিয়ে...
অন্য কারো বাহুলগ্না হয়ে...
কপট অভিমান করে...
-রাত কত্ত হয়ে গ্যালো, এখনও আমার জন্যে তুমি ফুল আনোনি।

ফিসফিসিয়ে প্রতিধ্বণিত হয়, "ছুদানির ফুয়া!"

শহরটা বড় অদ্ভুত। অদ্ভুত রকম একাকী। টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে সাইবার ক্যাফেতে প্রেম করা জোড়াদের আর দেখা যাচ্ছেনা কোথাও। তাদের কলরব স্তিমিত হতে হতে নেই হয়ে যাচ্ছে। আমি একবার তাদের কলকন্ঠ শুনতে দৌড়োই, ব্যর্থ হয়ে "ছুদানির ফুয়া" অথবা " প্রিয়তমেষু" সমার্থক শব্দ দুটির আগ্রাসনে উল্টোরথে ছুটি।

রাত আর বেশি বাকি নেই। মানুষজন ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। আবারও সেই যৌনাবেদনময়ী নিশিকন্যার সাথে দেখা হয়ে যায় আমার। নির্জন শহরের রাত্রিকালীন রুঢ় রসময়তায় সিক্ত হয়ে সে আমাকে শুধোয়,
-নাগর, সাদা ফুল আনবা না আমার লিগা?
-ফাক অফ!
-ওকে, ডিয়ার, ওন্ট ইউ ব্রিং সাম ফ্লাওয়ারস ফর মি? হোয়্যার হ্যাভ অল দ্যা ফ্লাওয়ারস গন? লং টাইম পাসিং...
-আমার সাথে পিট সিগার চুদাইবি না মাগী!
-আচ্ছা, প্রিয় স্বামী, আজ তো ভালোবাসা দিবস। আমার জন্যে ফুল আনবা না?
-হ্যাঁ, আনবো অবশ্যই!
আমার মধ্যে স্বামীত্ববোধ জাগ্রত হতে দেখে আমি আনন্দিত হই। সেই সাথে প্রেমবোধের তিরোধানে কিছুটা বিমর্ষ বোধ করি। অবশ্য এ তিরোধান নতুন কিছু না!
-সাদা ফুল। রজনীগন্ধা ছাড়া। অন্য রঙের ফুল হলেও অসুবিধা নাই, তবে কালো ফুল অবশ্যই না!
-হাহাহা! কেনো সোনা? সেই কালো বক্ষবন্ধনীর ছিন্নতাজনিত কারণে?
-ইউ আর আ ডেভিল! ইউ আর আ ফাকিং বিস্ট!
-হু ইজন'ট?
-তুমি এখনও ফুলঅলার কাছেই যাওনি!
অভিমানে ঠোঁট উল্টোয় সে।
-রাত কত হয়েছে দেখেছো?
চক্রবৃদ্ধিহারে অভিমানের খলচাতুরি প্রয়োগ করে সে।
-এমন রাতে তো তোমার নিপলোন্নত গোলাপী ড্রেসিং গাউন পরে আমার জন্যে অপেক্ষা করার কথা, তাই না?
এবার সে অসহিষ্ণু হয় কিছুটা।
-ওকে, ছুদানির ফুয়া, আমার লিগা; লেট মি রিফ্রেশ, আমার জন্যে সাদা ফুল আনবে, রজনীগন্ধা ছাড়া অন্য যেকোন কিছু।
-ওক্কেই খানকি মাগী, স্যরি, লেট মি রিফ্রেশ, মাই ডার্লিং, আমি এখনই যাচ্ছি ফুলবিক্রেতার কাছে।
-সো নাইস অফ ইউ সোনা! আমি এখনই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। তোমার অপেক্ষায় থাকবো। যদি দেরী হয় তোমার, একটু এপাড়া ওপাড়ায় ঘুরে বেড়াবো। এটা নিয়ে আবার জেলাস হয়ো না! অবশ্য জানি, হবে না। যাবার আগে শুধু একটা গান শুনিয়ে যাও।
পরিস্থিতিটা যথেষ্ট আবেগজড়িত হয়েছে মনে হওয়ায় আমি তাকে গেয়ে শুনাই,

"Where have all the flowers gone?
Long time passing
Where have all the flowers gone?
Long time ago
Where have all the flowers gone?
Girls have picked them every one
When will they ever learn?
When will they ever learn?

Where have all the young girls gone?
Long time passing
Where have all the young girls gone?
Long time ago
Where have all the young girls gone?
Taken husbands every one
When will they ever learn?
When will they ever learn?

Where have all the young men gone?
Long time passing
Where have all the young men gone?
Long time ago
Where have all the young men gone?
Gone for soldiers every one
When will they ever learn?
When will they ever learn?

Where have all the soldiers gone?
Long time passing
Where have all the soldiers gone?
Long time ago
Where have all the soldiers gone?
Gone to graveyards every one
When will they ever learn?
When will they ever learn?

Where have all the graveyards gone?
Long time passing
Where have all the graveyards gone?
Long time ago
Where have all the graveyards gone?
Covered with flowers every one
When will we ever learn?
When will we ever learn?"


আমি জানি না, আমার কন্ঠের দুর্বলতার কারণে, নাকি তার ক্লান্তিজনিত কারণে নাকি ফ্রয়েডীয় ব্যবসায়িক উপলক্ষ্যে, সে উধাও হয়ে গ্যালো। গানের বিষাদ বিস্বাদ লাগছে ভীষণ। মৃত সৈনিক, সমাধিক্ষেত্র, মেয়ে এবং তাদের স্বামীরা হারিয়ে যাচ্ছে...হারিয়ে যাচ্ছে এই শহরের ফুলবৃষ্টিতে ঢেকে গিয়ে। আমরাও আবৃত হই ফুলে। হারিয়ে যেতে থাকি...ফুলের বনে হারিয়ে যাওয়া কতই না সহজ!

রাত এখনও শেষ হয় নি। এখনও ফুলপ্রভা, স্ট্রিটলাইট, নিয়নসাইন এবং অভিভাবকদের রক্তচক্ষুবাতি কামজ অথবা প্রেমজ অনুরণন বইয়ে চলেছে। তাই আমি ফুলস্নান শেষ করে সস্তায় একডালি রডোরেন্ড্রন কিনে ফেলি। বাসায় ফিরবার পথে একপাতা জন্মনিরোধক কিনতেও ভুল করি না। সে খুশি হবে এবার নিশ্চিত। অন্তত একটা রাতের জন্যে...

রাত এখনও অনেক বাকি। সুগন্ধী সাদা ফুলে সজ্জিত হবার জন্যে অথবা ঢেড়স ভাজি তৈয়ার করার জন্যে অথবা সঙ্গমপূর্ব হালকা খুনসুটির জন্যে যথেষ্ট। আর এইসব জৈবিক কামনামদির কর্মপন্থা ব্যাহত হলে বিছানায় পরাক্রমে অথবা অবচেতন স্বপ্নে যেকোন কোথাও যাবার সুযোগ তো আমাদের আছেই!

We just have to learn! Don't we?







সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৪
৯৮টি মন্তব্য ৯৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যারিস্টার সুমন দায়মুক্ত , চু্ন্নু সাহেব কি করবনে ?

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ০৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭


দেশে প্রথম কোন সংসদ সদস্য তার বরাদ্ধের ব্যাপারে Facebook এ পোষ্ট দিয়ে জানিয়ে থাকেন তিনি কি পেলেন এবং কোথায় সে টাকা খরচ করা হবে বা হচ্ছে মানুষ এসব বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×