somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমিই সে

০৬ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার যে দুইটা জিনিস বেশি প্রিয় তাদের নামের প্রথম অক্ষর 'ম'।যাক গিয়া চাইছিলাম আকার ইঙ্গিতে বুঝাইতে।এবার খুইলাই কই।খুলতেই আমার বেশি পছন্দ।আমার কাছে খোলাখুলি একটা এ্যডভাঞ্চার।এবার বলি জিনিস দুইটা হচ্ছে মদ এবং মাইয়া।রঙ্গিন রাতকে আরো রঙ্গিন করতে প্রথম জিনিসটার তুলনা নাই।তারপর ঝুমুর ঝুমুর।এইতো কিছুক্ষণ আগে রসে ভরপুর একজনের ঘর থেকে আসলাম। অনেককাল এমন রসালো মাল কাছে পাই না ।নিশা যদিও আমার খুব একটা কাটে নাই এখনো, তবুও ভালোই আছি বলতে পারেন।

একটু পর পর আমার চোখের সামনে দৃশ্যপটের পরিবর্তন ঘটছে।যতবার চোখের পলক পড়ে ততবারই।ব্যপারটা আরামদায়ক এবং অতিঅবশ্যয় রং দায়ক।অনেক রঙ এর উঠানামা দেখি।এই দেখি চারদিক অন্ধকার হয়ে সন্ধা আবার এই মনে হয় ঝলমলে আলো।অবশ্য আমি যেখানে আছি এখানে ঝলমলে আলো বলে কিছু নেই।এটা একটা নিয়ন আলোর প্লাটফর্ম।একসকালে একটা ট্রেন এখানে নামিয়ে দিয়ে গেল।যেদিক থেকে ট্রেনটা এসেছিলো সেদিকটায় কিছু দ্যাখা যায়না।হিমেল বাতাস।ধোয়াসা আর অন্ধকার মাখা কুয়াশা যেন সব ছুটে আসছে প্রবল বেগে।ওদিকটায় তাকাতেও ইচ্ছে করছে না।

যাইহোক এসব ট্রেন বিষয়ক কথা বলতে ভাল লাগছে না।প্লাটফর্মটায় একটা নেশা পেয়ে বসেছে।কিছুক্ষণ আগে একটা ভিখিরি আমার কাছে দুটো টাকা চাইলো আমি ভনিতা না করে সোজা কপালে হাত তুলে মাফ চাইলাম ।আমাকে অবাক করে দিয়ে লোকটা কিছুটা দূরে গিয়ে আমাকে একটা গালি দিল - মাগির পুৎ!আমার তো চান্দি গরম অবস্থা!ডাক দিলাম মামু অবায় আও।কি কইলা তুমি?
-না কুচ্ছু না।হেই কোনবালা তাকি ঘুররাম এখটা ট্যাকাও পাইরাম না।জানে আর কুলার না।তুমি ও মাফ চাইরা।আমি কিতা আল্লাহ অই গেছি না কিতা যে বেকতেরে মাফ করতাম? ...
পকেট থেকে হাত দিয়ে যা পেলাম তাই দিয়ে দিলাম।শালা বিদ্রোহী ভিক্ষুক !

আমি এখন যে জায়গায় বসা বাংলায় সম্ভবত 'প্রতিক্ষণ কক্ষ'।কেমন একটা চোনা ঢেকুর আসতেছে বারবার।নেশাটা আমার এখনো কাটে নাই।অবশ্য এরকম অবস্থাটাই আমার বেশি প্রিয়।চেতন এবং অবচেতন এর মাঝামাঝি ।কিছু ধরতেও চাইনা আবার কিছু কিছু ছাড়তেও চাইনা।থাকুক সবকিছু দিশাতেই ধরাতে না থাকলেই হয়।একটু আগে একটা মাল গেল সামনে দিয়া আজ থেকে অনেক বছর আগে আমি ছিলাম তার বান্ধা কাষ্টমার।বহুভোগ্যা,জীর্ণ শালীরে এখন আর খুব একটা পোছি না।দেখলেই পাছা ঘোরায়।আর কেমন যেন তেরছা চোখে চায়।হায় মাগী বাঁকা তেড়া করে আর টানতে পারবি না। শরীরের শিল্প নষ্ট হয়ে গেলে আমি আর সেখানে যাইনা।তোর পর কতজন আইলো আর গেল!আমার মনে আজকে রাতে যারে .... তার ঢেউ উঠতাছে।আহ কি নরম ছিল মালডা।আহ শালী তোর চিকন কোমর।ঝুমুর ঝুমুর।

একটু আগে একজন জোগানদারের সাথে দেখা।নতুন মাল আইছে।দুই রকমেরই।শালা আমার লগে তেরিবেরি।কয় কিনা আগে টাকা পয়সা না সরাইলে হাত থাইকা ছাড়বো না! আরে শালা এই রসিক কোন শালারে ফাঁকি দিছে?ঠগায়ছে?পরে অনেক ঝারি দিয়া দিলাম নাকে মুখে মালদিয়া চটকা।জসলাঘরে নিয়া আইব।বয়স কম।চিন্তায় আছি।এরকম বয়সের গুলারে নিয়া অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় মাঝে মাঝে।কাজকাম ঠিকমত না শিখলে যা অয় আর কি ! একবার এরকম একটা পড়ছিলো ।বুড়ি মাগীটা নিয়া আইছে ।দিলাম ধমক জন্মের মত। শালী আগে ভালমতন কলাকৌশল শিখায়া মাঠে নামাইবিনা?

শালা বুইড়া খাটাস একটা আমার দিকে তাকায় আছে অনেক্ষণ ধরে।ভাবে কী?ব্যাটা বুইড়া !কি হইছে কে জানে।পায়ের উপর পা তুলে নখ কাটে।আবার চশমা খোলে একটু পর পর মুছে।
আচ্ছা ওর লগে মনে মনে কথা কইলে কেমন অয়?ওই সাদা চুল,চশমা কেমন আছিস?কেমন আছিস বাঞ্চুত?মাতস না কেনে?।হাহা!ভালতো ব্যাটা দেখি চশমার ফাঁক দিয়ে তাকায়!আচ্ছা আমার কথা কি লোকটা শুনতাছে?ধুর যা! কি সব ভাবছি।
উহ! যন্ত্রটার মাঝে কুটকুট কইরা উঠে ।কি জানি শালীরা আবার কোন ব্যামার দিয়া গেল কিনা।
তয় ভালয় আছো চান্দু?
কে? কেডা?
ও হালা বুইড়া দেখি তাকায় চশমার ফাক দিয়া।কিন্ত্ত ঝারিডা মারলো কে?
মামু কি হাসতাছে মনে হয় একটু একটু!আচ্ছা আমার মাথাডা কেমন যেন করতাছে নেশা কি চড়াও হয়ে আছে এখনো?
আচ্ছা লোকটার দিকে একবার তাকাইনা কেনো? দেখি কেমন যেন চেনাচেনা লাগে।
হাহা শালা সবমাল খালাস কইরা এখন বেকার হইয়া বইসা আছে।
ওই বুইড়া তোর ঝুড়িতে কী?
আরে শালা ঝুড়িটা ফু দিয়া উড়াইয়া দিল!তাইলে কী হাওয়া ভর্তি ঝুড়ি?সর্বনাশ ।আজব তো।
ব্যাটা হাওয়া লইয়া যাইব কৈ?
লোকটাকে ত্রস্ত দেখাচ্ছে, ট্রেনের হুইসাল ।বুইড়ার ট্রেন কী আইসা পড়ল?হ্যা তাইতো মনে হচ্ছে।লোকটা তৈরী হচ্ছে।
ভারী চশমার ফাক দিয়ে আমি তার চোখ দেখি।ওহ সেতো কষ্ট চোখ।অসহ্য ।কী বেদনার ছাপ!অনুসূচণা?অপ্রাপ্তি?তীক্ততা?

ওই মিয়া চলেন।
আরে ওহ ধ্যাৎ।ও জোগানদার ?
এখন ঘুমাইলে চলব না।আসেন সব ফাইনাল কইরা আসি।
কোথায় যাব?
চলেন পাশের ওই রেষ্টহাইসটাতে উঠাইছি।

ভালই আছি।
ফিরতি ট্রেনটা আসলে চলে যাব।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০৭
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×