somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পটা কেউ কন্টিনিউ করবেন প্লিজ....

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকালে না খেয়ে আসার কারনে মাথা ব্যাথা করছে দিনার। সকাল গড়িয়ে দুপুর হল। বকবক করা লেকচার মাথা ব্যাথাটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর সব বাবা মার মতো দিনার বাবা-মাও চাইতো দিনা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার টাইপের কিছু হোক। তাই ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত যতোবার ভবিষ্যত নিয়ে কেউ প্রশ্ন করেছে, সোজা-সাপ্টা উত্তর-"ডাক্তার হবো"।
মনে মনে কতো স্বপ্ন বুনেছে দিনা। তার গ্রামে একটা হাসপাতাল বানাবে, গরিবদের ফ্রী ফ্রী চিকিৎসা দিবে। তাকে বিয়ে করার জন্য তার বাড়িতে ছেলেরা লাইন ধরবে। ভাবনার পরিধীটা আরও বাড়ালো দিনা। বাংলাদেশের বাবা-মাদের সন্তানের ভবিষ্যত বিষয়ক মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার। ছোটবেলাতেই সন্তানের মাথার ভেতর "ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার" নামক "একমাত্র মহৎ পেশার" বীজটি ঢুকিয়ে দেয়া হয়। দিনে দিনে বীজ গজিয়ে ডালপালা হয়। নির্মম সত্য হলো টুয়েলভ ক্লাস পেরূলে ৯৫ভাগ ছেলেমেয়েদের গুড়িশুদ্ধ সেই স্বপ্নের গাছটিকে উপরিয়ে ফেলতে হয়। দিনাও সেই দলে। এবছর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্সে ভর্তী হয়েছে সে।

ক্লাস শুরু হয়েছে তিনমাস হতে চলল। এর মধ্যে তাদের ব্যাচটি প্রেমিক ব্যাচ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। তার সহপাঠী মেয়েরা কেউ নিজ ব্যাচ কেউবা সিনিয়র বড় ভাইদের ঘারে ঝুলে পরেছে। ঝোলাতো ঝোলা-একদম বাদুঁর ঝোলা। নিজেদের অত্যাধুনিক প্রমাণ করতে অনেকেই বোরকা ছেড়ে স্কার্ফ ধরেছে, কারো বুকের উরনা গলায় এসেছে। দিনা আগে যেমন ছিল তেমনই। সত্যি কথা বলতে মেয়েটা আহামরি সুন্দরী না। চৌকশ চেহারা, রং মোটামুটি, হরিণীচোখ ঢাকা পরেছে চশমার আড়ালে, হালকা পাতলা দেহের গড়ন। অস্বাভাবিক কোকড়া চুল আর অতিরিক্ত কম সাজগোজ তার সৌণ্দর্য্যে আরও ভাটা এনেছে।

"দিনা, এই দিনা" পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে ডাকল শাকিল। "এই ট্যাংরা মাছ!!" কোকড়া চুল আর টিংটঙে শরীরের জন্য ট্যাংরা মাছ নাম দেয়া হয়েছে।"কি হয়েছে?" ভয়ে ভয়ে উত্তর দিল দিনা। "আমার একটা কাজ করে দিবি?"-অনুরোধের সুরে বলল শাকিল।
"স্যার ক্লাসে, দেখলে বকবে। পরে কথা বলব।"
"না এখুনি শুনতে হবে, প্লীজ!!"
"কি? বল্?" রাজ্যের বিরক্তি দিনার মুখে।
"এই নে, ধর্" বলে একটা সাদা খাম দিনার হাতে ধরিয়ে দিল শাকিল। নীল কালিতে সুন্দর করে লিখা-ভালবাসি ! দিনা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। শাকিল তাকে কি ভেবে প্রেম পত্র দিল বুঝে উঠতে পারছে না। প্রেম জিনিসটা ঘৃণা করে সে। বলতে গেলে বাবা বাদে সমগ্র পুরুষ জাতিটাকেই ঘৃণা করে।ফুলি আপার বিয়েতে তখন মাত্র ক্লাস এইটে পরে সে। দুঃসম্পর্কের এক মামাতো ভাই সুযোগ পেয়ে তাকে জোড় করে জড়িয়ে ধরে। মামাতো ভায়ের চুমু ওর গালে পরা আগেই দিনা তার বাহুতে কামড় দিয়ে পালায়। সেই থেকে সে সমগ্র পুরুষ জাতিকে প্রাণভরে ঘৃণা করে। শাকিলের প্রেমপত্র হাতে পেয়ে চোখ রাঙিয়ে চায় সে। "এর মানে কি?" রাগের চোটে জুড়ে কথা বলে ফেলেছে দিনা। "এই মেয়ে কিসের এতো কথা"-কোয়ান্টাম ফিজিক্স স্যার দেখে ফেলেছেন। কোন মতে সাদা খামটা লুকাল দিনা।

ক্লাশ শেষে শাকিল দিনাকে প্রথমে সরি বলল। "এটা আসলে তোর জন্য না।কবিতার জন্য। ওকে আমার ভাল লাগে, বলি বলি করে বলতে পারছি না। প্লিজ দোস্ত, কাজটা করে দে।" কবিতা দিনার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী। ভয়ানক সুন্দরী। বর্তমানে তার ২টা প্রেম চলছে। ৩টা ওয়েটিং লিস্টএ আছে। এখন আর একটা নতুন যোগ হয়েছে-শাকিল।"কিন্তু শাকিল, আমি তো জানি তোর একটা প্রেম আছে।" "ধুৎ কে বলল, এ কথা" উড়িয়ে দিল শাকিল। দিনা কবিতার মেরিট লিস্ট ও ওয়েটিং লিস্ট নিয়েও শাকিলকে কিছু বলল না।

পরদিন দিনাকে ক্লাসের সামনে শাকিল পেল।
"দিয়েছিস?"
"হুমম"
"কি বলল!"
"তোকে অপেক্ষা করতে বলেছে।"
"তাই!! থ্যাংকস্। আজ থেকে তুই আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু, নে হাত মিলা" বলে সামনে হাত বাড়িয়ে দিল শাকিল। "দরকার নাই, ওসব বন্ধু টন্ধু আমার দরকার নাই।" তাচ্ছিল্যের সাথে বলল দিনা।
"হাহহ বেশি ভাব ধরিস না, তোর সাথে প্রেম করব না-ট্যাংরা মাছ কোথাকার" বলে ফুঁ দিয়ে দিনার কোকড়া চুল গুলো সড়িয়ে দিল শাকিল।

বাসায় ফিরে কবিতার কাছে এসে দিনা সব বলল। দুজন কিভাবে শাকিলকে বোকা বানাবে সে পরিকল্পনা করল।হাসাহাসি করে গরাগরি খেল তারা। ঘুমাবার আগে দিনা শাকিলের হাত বাড়ানোর কথা ভাবল। হাতটা ধরলে কি এমন ক্ষতি হতো। তাছাড়া শাকিল তো কবিতাকেই ভালবাসে।

পরদিন সকালে দিনা ক্লাসে এসে তার শকিলের জন্য জায়গা রাখল। শাকিলকে জব্দ করবে-দারূন একটা আইডিয়া কবিতা বের করেছে.........


(অতটুকু লিখার পর আমি আর লিখতে পারছি না। কেন জানি কষ্ট করেও ভেতর থেকে কিছু আনতে পারছি না। কেউ কি এ গল্পটা কষ্ট করে ফিনিশিং দিবেন...)
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×