somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

তখন গভীর রাত

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিমি ভূত বিশ্বাস করে না । ভূতের কথা কেউ বললে হে-হে করে হেসে ওঠে । হিমি মনে করে ভূত মানেই ইলিউশন- চোখের ভুল । গভীর রাতে খুট খুট করে শব্দ হয়, চাঁদের আলোয় কারো ছায়া দেখা যায়, অস্পষ্ট ভাবে কাকে যেন দেখা যায়-এইসব ব্যাপার গুলো নাকি মানূষের চোখে এক ধরনের বিভ্রম সৃষ্টি করে । তখন মানুষ ভূত দেখে । কিন্তু গত বছর নাইক্ষংছড়িতে যে ব্যাপারটা ঘটেছিল, তারপর থেকে হিমির ভূতকে অবিশ্বাস করার আগে একটু ভাবতে হয় ।

নাইক্ষংছড়িতে একটা ছোট পাহাড়ের পেছনে ভাঙ্গা মন্দির আছে । মন্দিরের পেছনে ঘন জঙ্গল । এই মন্দিরের আশে পাশে কেউ কখন যায় না । কেন যায় না, তাও কেউ সঠিক করে জানে না । গত বছর আমরা সবাই নাইক্ষংছড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম । হিমি ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে । কিন্তু যার তার সাথে না, শুধু আমার সাথে । আমি পাশে থাকলে নাকি হিমি এক আকাশ ভরসা পায়-সাহস পায় । সারাদিন আমরা নানান জায়াগায় ঘুরে বেড়ালাম । দুপুরে এক উপজাতি পরিবারের সাথে খেলাম । ( এতটুকু লেখার পর কেন জানি এই গল্পটা আর লিখতে ইচ্ছা করছে না । আমি খুব দুঃখিত । লেখার মাঝখানে মা ডাক দিলো, ফিরে এসে দেখি লেখার সুর কেটে গেছে । অন্য একটা গল্প বলি । )

গুল্লুকে নিয়ে আর পারা গেল না । এমন সব অদ্ভুত কথা বলে ! এইসব অদ্ভুর কথার উত্তর ও দেওয়া যায় না । চিন্তা-ভাবনা-বুদ্ধি, সব ব্যাপারেই গুল্লু আমাদের থেকে বড্ড আলাদা । চায়ের আড্ডায় সে হঠাৎ প্রশ্ন করলো- তোমরা কি জানো, চাঁদের বুকে মাঝে মাঝে কিসের কালো দাগ ? আমরা জানি এটাই ওর মুল প্রশ্ন না, আসল প্রশ্নটা ঠিক এর পরেই আসবে । গুল্লু বলল- ক্রিকেটের বল আর ভূ-পৃষ্ঠ, কোনটা বেশী মসৃণ ? এটা আবার কোনো প্রশ্ন নাকি ? চকচকে ক্রিকেট বলটাই ভূ-পৃষ্ঠের চেয়ে বেশি মসৃণ । গুল্লু বলল- তোমরা যা ভাবছো তা নয় । গুল্লু এমন জোর গলায় কথা বলে যে, বিশ্বাস না করে আর উপায় থাকে না । বললাম না, গুল্লুর চিন্তা ভাবনাই একেবারেই আলাদা । শুধুমাত্র গুল্লুর পক্ষেই ক্রিকেট বলের মধ্যে পৃথিবীর মতো বিশাল আকার চিন্তা করা সম্ভব ।

আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে ধোয়া ছাড়তেই গুল্লু অব্যর্থ একটা প্রশ্ন করল- এই যে ধোয়া ছাড়লে, এর ওজন কত জানো ? দাড়িপাল্লা দিয়ে মাপলে তোমার সিগারেটের ধোয়ার ওজন কত হতো ? উত্তর তো দূরের কথা, এ রকম প্রশ্ন যে হতে পারে, তা আমার মাথায় আসেনি । গুল্লু বলল- একটা সিগারেটের ধোয়ার ওজন এক আউন্সের .০০১২৭ ভাগ । অবাক না হয়ে উপায় আছে ! গুল্লু হাসতে হাসতে বলল- ভাবো, আলাদা ভাবে নতুন করে ভাবতে শিখো । ওর বুদ্ধির তারিফ করে বললাম- তুমি কত অদ্ভুত কথা বলো, অদ্ভুত উত্তর দাও, সেগুলো খাতায় লিখে রাখো না কেন ? এই লেখাগুলো জমতে জমতে নতুন ধরনের একটা বই বের হতো ! গুল্লু আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল- এ পৃথিবীর সর্বকালের দু'জন সেরা লেখক কিন্তু জীবনে একটা লাইনও লেখেননি । অবাক হয়ে বললাম কারা তারা ? গুল্লু বলল- হোমার ও সক্রেটিস । সত্য-মিথ্যা কিছুই বুঝতে পারি না । গুল্লু এমনভাবে কথা বলে ওর কথা বিশ্বাস না করে পারা যায় না । আসলে ওর প্রতিটা কথার মধ্যেই একটা বিশ্বাসযোগ্যতা ছাড়া, ওর আচার-আচরণ এমনি যে, এক মুহূর্তের জন্যও অবিশ্বাস করা যায় না ।

গুল্লু একবার প্রশ্ন করেছিল- এক মুহূর্ত মানে ঠিক করটা সময় জানো ? না, আমরা কেউই বলতে পারিনি । গুল্লু বলল- এক মুহূর্ত মানে দেড় মিনিট । ইংল্যান্ডে পুরনো আমলে মোমেন্ট বলতে দেড় মিনিট সময় বোঝাত । আমরা আড়ালে বলাবলি করি, গুল্লু যদি একটু চেষ্টা করত- তাহলে জীবনে অনেক কিছু করতে পারত । গুল্লুর কানেও কথাটা কয়েকবার পৌছেছে । কিন্তু সে গুরুত্ব দেয়নি । আমি একদিন খুব বক বক করছিলাম- তখন গুল্লু আমার দিকে একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলো- বলো, কোন দুধের রঙ গোলাপী ? আমি উত্তর টা দিতে পারিনি । গুল্লুকে আমি প্রশ্ন করতে চেয়েছিলাম- আচ্ছা, সাগর-রুমিকে কারা হত্যা করেছে । সাহস হয়নি । তবে এই গুল্লু মাঝে মাঝে তার একান্ত মনের কথা গুলো আমাকেই বলে ।

( লেখাটা আর টেনেটুনে বড় করতে ইচ্ছা করছে না । মন ভালো নেই আবার শরীরটাও ভালো নেই । জ্বর জ্বর ভাব কিন্তু শরীর একেবারে ঠান্ডা । যাই গোছল করি । গতকাল গোসল করতে ভুলে গিয়েছিলাম । বিকেলে বাইরে যাবো, কাজ আছে । এখন হেলাল হাফিজের কবিতা পড়ুন, এলোমেলো করে নিজের মনের মতন সাজালাম । )

"আমি কোনো পোষা পাখি নাকি ? যেমন শেখাবে বুলি- সেভাবেই ঠোঁট নেড়ে যাবো !
দারুন আলাদা একা অভিমানী এই ক্যাকটাস, যেন বোবা রমণীর সখী ছিলো দীর্ঘকাল ।
তবু বেঁচে আছি একা নিদারুন সুখে- অনাবিস্কৃত আকাঙ্কা নিয়ে বুকে । আহ !
আয়া না পাষাণী একবার পথ ভুলে- পরীক্ষা হোক কার কতো অনুরাগ ।
আর কে দেবে আমি ছাড়া আসল শোভন কষ্ট- আমার মত ক'জনের আর সব হয়েছে নষ্ট।
কেউ ডাকেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালোবাসি-লন্ডভন্ড হয়ে গেলাম তবু এলাম ।"
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×