somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থমন্ত্রীর টনক নড়বে কি?

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া দেশটির দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতি রোধ করতে গত দুই বছরে অন্ততঃ ১২ বার সুদের হার বাড়িয়েছে। কিন্তু তার ফল হয়েছে উল্টো। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে গিয়ে প্রকারান্তরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। দু'বছরের মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি অর্থবছরের শেষ ভাগে এসে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে দেশটির অর্থনীতিতে। চলতি অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬.১ শতাংশে। ২০০৯ সালের পর ভারতে এটাই সবেচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি।

Click This Link

আমি বলবো না যে, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ভারতের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আমাদের দেশে সুদের হারের উচ্চ সীমা প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু কার্যতঃ একইসঙ্গে উভয় দেশ একইধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের গভর্নর আতিউর রহমানও বলেছেন, মূল্যস্ফীতির হার একক সংখ্যায় নামিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

সেই সঙ্গে বাজারে টাকার সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নীতি-নির্ধারণী সুদের হারও বাড়িয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদসহ শীর্ষস্থানীয় সব ব্যবসায়ী- এমনকি বেশিরভাগ জাতীয় দৈনিক সরকারের এ নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন।

এমনকি অনেকে ব্যবসায়-বানিজ্যে টাকা বিনিয়োগ না করে ব্যাংকে উচ্চ সুদে আমানত রাখছেন বলে খবর বেরিয়েছে। তার মানে হচ্ছে, বাণিজ্যের চাকা সচল রাখার কাজে টাকা ব্যবহৃত হচ্ছে না। এর কী ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে তা ভেবেন দেখবেন কি আবুল মাল আব্দুল মুহিত?

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার নিয়তে আপনি সুদের উচ্চহারের সীমা প্রত্যাহার করার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে ভারতের মতো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেমে যাবে- তাতে কোন সন্দেহ নেই। মানুষ টাকা বিনিয়োগ না করে ব্যাংকে গচ্ছিত রাখলে প্রবৃদ্ধি শুন্যের কোঠায় নেমে আসবে।

দাদা'দের উদাহরণ দেখেও কি আপনি শিখবেন না?


১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×