somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেনা স্ত্রীদের কান্নায় নয় রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই বিচার হোক।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিডিআর বিদ্রুহে নিহত সেনা অফসারদের স্ত্রীরা এই হত্যা কান্ডের বিচার চায়। স্ত্রীরা স্বামী হত্যার বিচার চাইতেই পারে।কেউ এই বিচার ঢিলাঢালা ভাবে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। কেউ কেই অভিযোগ করছেন, বিনাঅপারাধে অনেকেই শাস্তি পাচ্ছে।এই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের নায়কদের বিচার হোক এটা আমিও চাই। তবে তা ব্যক্তিগত সুখ, দুঃখ বেদনা থেকে নয়।

আমার জানার আগ্রহ , এই সেনা অফিসাররা যদি রাষ্ট্রের স্বার্থে কোন যুদ্ধে নিহত হতেন তখন পরিস্থিতি কি হতো?আমাদের সুসংহত বাহীনিতে যখন ব্যর্থ অভ্যুত্থান ঘটানো হলো,একটি বাহীনির আস্থা,মনোবল ধুলিসাৎ করে দেয়া হলো , যেখানে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হলো সেখানে ব্যক্তির সুখ,দুঃখ,বেদনার মূল্য কোথায়?

আমি মনে করি আমাদের যে কোন একটি বাহিনীকে যদি অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের মধ্য থেকে কয়েক হাজার মেরে ফেলতে হয়, জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে তা করতে হবে। কয়েক হাজার অফিসার হত্যার মাধ্যমে যদি একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায় তবে তাই করতে হবে। ব্যক্তি ইচ্ছার আকাঙ্খার আলাদা ভাবে কোন মূল্য নেই। যারা সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন বুলেট বুকে নেবার পণ করেই নিয়েছেন। দেশের স্বার্থে তারা প্রাণ দিবেন ,বুকে বুলেট ঠেকিয়ে রাষ্ট্রকে রক্ষা করবেন এই তো প্রতিজ্ঞা? তবে এত ব্যক্তি চিন্তা আসে কেন?

আমাদের অফিসারদের হত্যা করা সেনা বাহিনীর জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর। বাহিনীর ক্ষতি মানেই তো আমাদের ক্ষতি। তাই এই বিচার কাজের জন্য আমি রাষ্টের উপরই নির্ভর করতে রাজি। এই বিষয় নিয়ে কোন রকম ক্ষমতা দখলের রাজনীতি কিংবা আবেগের রাজনীতি কোনটারই পক্ষে নেই।

কথাটা কেন মনে আসলো?
এই কয়দিন ধরে প্রায়ই রেডিও,টিভিতে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্ত্রীদের আবেগ,তাদের অবুঝ সন্তানদের কান্না দেখিয়ে একটা চটকদার নিওজ করার প্রবনতা থাকছে। কে কি ভাবে এই খবর উপস্থাপন করতে পারেন, তার একটা প্রতিযোগিতা হয়ে গেছে। (অবশ্য ২৬ ফেব্রুয়ারীর পরে আর দেখা যায়নি। আবার হয়তো সামনের বছরের ২৫ ফ্রেব্রুয়ারী এলে শুরু করবে।)
তো সেই মাইক্রোফো হাতে যখন নিহত অফিসারদের স্ত্রীদের মুখে নিয়ে ধরেন। এবং তারা যখন কান্না কান্না কন্ঠে তাদের স্বামী হত্যার বিচার চান, তখন মনে হয় তারা স্বামী হত্যার বিচার না পেয়ে কান্না কাটি করছেন।

আমাদের দেশে যেখানে অনেক হত্যা কান্ডেরই বিচার হচ্ছে না। অনেক স্বামী হত্যার বিচারই হয়নি। সেই সব হত্যা কন্ডের রিপোর্ট গুলো এমনই হয়ে থাকে।সাধারন খুন এবং এই হত্যা কান্ড এক করে ফেলার কোন সুযোগ নাই। কারন ব্যক্তিগত লোভ লালসা, ব্যাক্তি গত ক্ষোভ, কিংবা ব্যক্তি গত অবেগ এই হত্যার পেছনে ছিলনা। তাই এই হত্যাকে ব্যক্তি গত আবেগ দিয়ে ঢেকে ফেলতে রাজি নই।

আমরা যেখানে সেই সেনা অফিসারদরে আমাদের রাষ্ট্রিয় সম্পদ মনে করি, যেখানে তাদের নিহত হওয়াকে রাষ্ট্রিয় ক্ষতি হিসেবে দেখি,এবং এই হত্যার মাধ্যমে আমাদের বিডিআর কে বিলুপ্ত করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাই এর হত্যাকে অন্যান্য হত্যার সাথে মিলিয়ে সেই সেনা অফিসারদের ছোটই করা হয়।

রাষ্ট যখন মৃত্যুর দায় নিয়ে নেয়,তখন মিডিয়ার আবেগ কিছুটা মাসির কান্নার মতোই শোনায়। এই বিদ্রুহের বিচার করলে সেনা অফিসারদের স্ত্রীরা যে সান্তনা পাবেন,তাদের পরিবার যে তৃপ্তি পাবেন। তার চেয়ে এর বিচার আমাদের রাষ্ট্রের জন্য বেশি জরুরি, এই কথা কোন ভাবেই ভুলে গেলে চলবেনা ।যে স্ত্রীর কাছে স্বামী হারানোর ক্ষতির চেয়ে একজন সেনা অফিসার হারানো রাষ্ট্রের জন্য বেশি ক্ষতি হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনীর স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে সরকারের উচিত এর যথার্থ বিচার করা । যদি সরকার এই বিচার শক্ত হাতে করতে ব্যর্থ হয় তবে আমাদের ভয়াভহ পরিনতির কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×