১.
এ বসন্ত কোকিলের,
কেমন ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই
পাগল করে দেয় ঘুমন্ত জনমানুষ কে!
২.
আমাদের রঙ জরায়ু ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা জীবন! আমাদের সন্তানেরা বাতাসী দুপুরে অন্তরঙ্গ হাওয়া খোঁজে! বসন্ত পরাভৃতের..
আমাদের সন্তানের মুখে অগ্নির দলা,ইন্দুর আলো!
কখন পাখিটা ডাকবে....
আমাদের রঙ গোপনে বংশ রক্ষা করে, বাড়তে থাকে বসন্তের সম্ভাবনা।
৩.
শোনো তোমাদেরও কি এমন হয়? বসন্ত আধারের কাজ করে আর টুকরো টুকরো কবিতারা কোকিলের পাখায়!
৪.
দূরন্ত ফাগুন আমার ততদিন ভাল লাগেনি
নিষিদ্ধ পাপ যতদিন আমাদের হাতে ছিলনা
প্রার্থনার মত!
৫.
সুখের অন্য অনেক নাম ছিল
কখন কোনদিন এসব নাম সুখ কে সমৃদ্ধ করেছে বসন্ত জানেনি!
সুখ নামে তাই বসন্ত হয়েছে পাতা ঝরা রোদ!
৬.
অন্য কারো স্নেহ তুমি কার নামে দিয়েছো,আর নিয়েছো টেনে সব আশীর্বাদ;
কাঁপা হাত তোমার মাথার উপর! আমি দেখলাম সে হাতের ফাঁক দিয়ে তোমার ছেলে বেলা ঝরে পড়ছে।
তুমি বৃষ্টি ভেবেইতো ভিজেছো সেদিন!
৭.
নদীতো খোঁজে কে তাকে মনে রেখেছে সেদিনের মত। আমরাতো ভালবেসে নদী হই। নদী তবে কাকে ভালবাসে?
৮.
এখনো আমি তাহাদের মত কাঁদতে শিখিনি
যাহারা কেঁদেছে নদীর মতই
খরা জমি জলে ভরে দিয়ে আমিতো মায়ের মতই!
তবুতো এখনো মায়ের মমতা দেখিনি!
৯.
কেউ দেখবেনা যদি তিতিরের পাখা হয়ে চিরে দাও সবুজ
আমি ফুল মাড়িয়ে চলে গেলাম-
ঘরে ফিরে দেখি পায়ের পাতায় তোমার চুমুর দাগ
লাল হয়ে আছে!
১০.
নদীটা বর্ষীয়সী! সোহাগে এলিয়ে পড়ে বাতাসের গায়ে।
এক যোগে দলবেঁধে সে রাতে হৈ চৈ...
আমাদের জল দেবে বলে নদীটা ডাকছিল।