somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

;)গিয়েছিলাম বইমেলাতেB-)

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেলাতে গিয়েছি ২৪ ও ২৫ তারিখে।

২৪ তারিখ শুক্রবার। প্রচণ্ড ভিড়। প্রথমেই গেলাম সিঁড়ি স্টলে। স্টলে রাখা বই দেখে সে কী আনন্দ আমার।

স্টলে স্টলে ঘুরছি। অনেক বই এসেছে মেলাতে। অনেক পুরনো লেখকের পাশাপাশি অনেক নতুন নতুন লেখকের সুন্দর সুন্দর বই। বিদেশি লেখকদের অনুবাদ বই। নতুন বইয়ের গন্ধে আমার মন ভরে গেল। বইয়ের পাতা ওল্টেপাল্টে দেখছি। পছন্দের কিছু বই কিনেছি।

হঠাঃ করেই সময় টিভি চ্যানেলের দেখা। ইন্টারভিউ করবে। এই ভিড়ের মধ্যেই একটু জায়গা করা হলো। ইন্টারভিউ হলো।

সন্ধ্যা হয়ে এল। ঘুরতে ঘুরতে চলে গেলাম লিটলম্যাগ চত্তরে। তারপর বিএসবি, ডাকটিকিট ও আমার ব্লগ স্টলের সামনে যেতেই কয়েকজনের সাথে আলাপ পরিচয় হলো। মনে হলো অনেকেই ব্লগার। এমন সময় এলেন ব্লগার সাইফ মাহদী ভাইয়া। কথা হলো। মনে হলো অনেকদিনের চেনা জানা। অথচ এই প্রথম দেখা। খুবই আন্তরিক তিনি। হঠাৎ করে বললেন, একটু দাঁড়াও, ’আমি আসছি, ৫মিনিট। দাঁড়ালাম। একটু পরে তিনি হাঁপিয়ে-দাপিয়ে এসে বললেন, কপাল খারাপ। তোমার বইটি কিনে আনতে গেলাম সিঁড়ি স্টলে। একটি অটোগ্রাফ নিতে চাইছিলাম তোমার। পেলাম না, বই নেই।’ তারপর সাইফ ভাইয়া তাঁর ডায়রি মেলে দিয়ে বললেন, ’এখানে তোমার মেলায় আসার অনুভূতি লিখে দাও।’ লিখে দিলাম।

চলে আসব এমন সময় এলেন এক ভাই। একজন পরিচয় করিয়ে দিলেন। তিনি হলেন ছড়াকার রহীম শাহ। খুব মজার মানুষ। খুব আন্তরিক। মেলায় ছোট লেখিকা পেয়ে তিনি খুব খুশি। কি করবেন না করবেন বুঝতে পারছেন না। শেষে পকেট হাতিয়ে একটা চকোলেট বের করে আমার হাতে দিলেন, তাঁর সাথে ছিল কমলা, তাও দিয়ে দিলেন, তারপর হাতে ছিল তাঁরই লেখা একটা পাখি বিষয়ক বই, সেটাও দিয়ে দিলেন। আমি অবাক হয়ে তাঁর দেওয়া জিনিসগুলো নিলাম। তাঁর আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হলাম। পরে বিদায় নিয়ে চলে এলাম।
তারপর কয়েকজন কবি-সাহিত্যিকের সাথে দেখা। ছবি তোলাতুলি হলো। লুৎফর রহমান রিটন আমার বইটি ওল্টে-পাল্টে দেখে বললেন, ’আয় হায়, সুমাইয়া তুমি তো দেহি পুরস্কার পাইয়া ফাডাইয়া-ফুডাইয়া ফালাইছ, আমিওতো এত পুরষ্কার পাইনাই। আগামীকাল এস মেলাতে, ইন্টারভিউ নেব নে তোমার।’ তারপর চলে এলাম বাসায়।

২৫ তারিখ শনিবার।

মেলাতে গিয়ে ঢুকে পড়লাম চ্যানেল আই ’সরাসরিতে’। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করছেন লুৎফর রহমান রিটন ভাই। সরাসরি অনুষ্ঠানে আলাপ হলো বই নিয়ে।

ইমরান মাহমুদ নামে এক সাংবাদিক ভাইয়া আমার ইন্টারভিউ নিলেন বিএসবি স্টলের সামনে। অনেক প্রশ্ন করলেন। অনেক জবাব দিলাম। অনেক আলাপ হলো তাঁর সাথে।

সন্ধ্যার পরপর। চলে আসছি। রাস্তায় বেরিয়ে ডানদিকে গেলাম। যাওয়ার সময় চা খেতে গেলাম। পাশেই দেখি রাইটার্স গিল্ড-এর স্টল। মনে মনে ওবায়দুর রহমান ভাইয়া ও অন্য ব্লগারদের খুঁজছিলাম। পাইনি। অনেক ব্লগার ভাইয়ার লেখা বই আছে এ স্টলে। বইগুলো দেখছি। এমন সময় একুশে টিভি চ্যানেল-এর লোকেরা বললেন, আমার ইন্টারভিউ করবেন। দাঁড়িয়ে গেলাম ক্যামেরার সামনে। সাক্ষাৎকার শেষে তাঁরা জানালেন, এটি রাত ন’টায় ও এগারটার খবরে দেখানো হবে। পরে মনের আনন্দে রওনা হলাম বাসার উদ্দেশে।


আসার পথে বাবার মোবাইলফোনটা বেজে উঠল। সাইফ মাহদী ভাইয়ার ফোন। বাবা আমাকে দিলেন। গতকাল আমার দেয়া অনুভূতির কথাগুলো নাকি পত্রিকায় ছাপিয়েছেন, আমাকে দিতে চান। আমরা চলে আসার একটু পরেই নাকি তিনি মেলাতে এসেছেন। পত্রিকা তিনি পাঠিয়ে দেবেন বলে জানালেন।

রাত ১০টায় ফিরলাম বাসায়। মেলা থেকে নেওয়া বইগুলো দেখছে সবাই। এমন সময় টুক টুক করে চলে এলেন আমার দাদি। হাসি হাসি মুখে বললেন, ’তোমারে তো টিভিতে দেখলাম। কথা তো ভালই শিখেছ তুমি। এতগুলান পুরুষ বেটাগোর মধ্যে দাঁড়াইয়া এতকথা কেমনে কইলা তুমি দাদা, ডর করে নাই তোমার?’ এ কথা শুনে সবাই হা: হা: হো: হো: করে হাসতে লাগলাম। দাদিও পেট নাচিয়ে হাসে।

রাত এগারটা বাজতেই বসলাম টিভির সামনে। একুশে টিভির সংবাদ দেখছি। খবরের শেষ পর্যায়ে আমার সাক্ষাৎকারটি সংপ্তিভাবে দেখালো। ভাল একটা মন নিয়ে ঘুমুতে গেলাম।

আমিমেলা সর্ম্পকে পরে আরেকটা পোষ্ট দেবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:০৬
১৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচলের (সচলায়তন ব্লগ ) অচল হয়ে যাওয়াটই স্বাভাবিক

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬



যেকোন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর, একটি ভয়ংকর খারাপ খবর; ইহা দেশের লেখকদের অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় ও নীচু মানের লেখার সরাসরি প্রমাণ।

সচল নাকি অচল হয়ে গেছে; এতে সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩


১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি বললে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৭

তুমি বললে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

খুব তৃষ্ণার্ত, তুমি তৃষ্ণা মিটালে
খুব ক্ষুধার্ত, তুমি খাইয়ে দিলে।
শ্রমে ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত দেহে তুমি
ঠান্ডা জলে মুছে দিলে, ঊর্মি
বাতাস বইবে, শীতল হবে হৃদয়
ঘুম ঘুম চোখে পাবে অভয়।
তোমার আলপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×