somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অক্সফোর্ড মিশন গির্জাঃ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশেও অক্সফোর্ড রয়েছে!!!!(যদিও একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এশিয়ার অক্সফোর্ড বলা হতো) কিন্তু এটি কোন বিশ্ববিদ্যালয় নয়। এটি বরিশাল এর বগুড়া রোড এর সুরম্য স্থাপনা অক্সফোর্ড মিশন গির্জা। গ্রিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত গির্জাটির ভিতরে রয়েছে সুবিশাল প্রার্থনা কক্ষ। বাংলার ভেনিস বলে পরিচিত বরিশালে বিশেষ দ্রষ্টব্য আছে অনেককিছুই, তবে এসবের মধ্যে অন্যতম একটি গির্জা এটি। অন্যতম এর স্থাপনাশৈলী ও নকশার কারণে। এই নকশার স্থাপনা ভারতবর্ষে একটাই আছে বলে শোনা যায়।

স্থাপনার গায়ের রং লাল। অর্থাৎ লাল ইটের তৈরি স্থাপনা। লালের ভেতরে এখানে-সেখানে ছড়িয়ে আছে পরিচ্ছন্ন-পরিপাটি সবুজ আঙিনা, মাঠ, বাগান। সুইমিং পুলের ব্যবস্থাসম্পন্ন বেশ বড়সড় পুকুরও আছে এখানে। পুকুরের পানিও টলটলে পরিষ্কার। ওই গির্জার প্রতিবিম্ব দেখা যায় পরিষ্কারভাবে এই পানিতে। অবশ্য পুকুর কেবল একটিই নয়, মোট ১৩টি পুকুর আছে স্থাপনাটি ঘিরে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে যায় অসাধারণ স্থাপত্যশৈলী। সামনের সড়ক থেকেই সহজে চোখ পড়ে। বাইরের গেটে লেখা বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন হাই স্কুল। কিন্তু দেখতেও যেমন স্কুল ভবনের মতো নয়, তেমনি স্থাপনাটি স্কুলও নয়। দ্বিতীয় ফটকে যেতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। পরিচ্ছন্ন হরফে লেখা 'ইপিফানি গির্জা'।

১৮৮৯ সালে ইংল্যান্ডের আর্চবিশপের নির্দেশে অ্যাংলিক্যান মিশনারিজের একটি গ্রুপ আসে ভারতবর্ষে। তাদের মিশন শুরু হয় ভারতের মাদ্রাজ থেকে। এর পরই তাদের একটি গ্রুপ আসে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বরিশাল শহর ও আগৈলঝাড়ায় জোবার পাড়ে তাঁরা দুটি জায়গা বেছে নেন। এর মধ্যে বরিশাল শহরের বর্তমান স্থানে ২৩ একর জমি ঘিরে তাঁরা শুরু করেন মিশনের কার্যক্রম।সেবামূলক ও ধর্মীয় কাজ। গির্জা ভবনটির নির্মাণ কাজে সময় লাগে চার বছর। ১৯০৩ থেকে ১৯০৭ সাল। বাইরে থেকে দেখতে তিনতলা ভবনের মতো মনে হলেও ভেতরটা কেবলই একতলা, মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা টানা ১০০ ফুট। ভেতরে মেঝেতে আছে পাথরের তৈরি চৌবাচ্চা, ব্যাপ্টিজম বাথ বেসিন, যার স্বচ্ছ পানির ভেতরে সহজেই চোখে পড়ে ওপরের প্রতিবিম্ব। গির্জার মূল ফটক দক্ষিণমুখী।মূল ভবনের তিন দিক ঘিরে অনেকগুলো দরজা। ভবনের ওপরে পূর্ব দিকে আছে কালো গম্বুজ, আছে বহুরকম জ্যামিতিক বিন্যাস।ব্রিটিশ গথিক স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে যার নকশা করেছেন সিস্টার এডিথ। তাঁকে সহায়তা করেছেন ফাদার স্ট্রং।



সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

উপকূলের ভাই-বোনদের প্রতি গভীর সমবেদনা

লিখেছেন বিষাদ সময়, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৭




আমরা ঢাকার পাকা দালানে বসে যখন আয়েস করে চায়ে চুমুক দিয়ে বৃষ্টি বিলাসে বিভোর, ঠিক সেই সময় আমাদের উপকূেলের ভাই-বোনেরা হয়তো কেউ স্বজন, কেউ ঘর, কেউ ফসল, কেউবা গবাদী... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: অশ্লীলতা কি পোশাক দিয়ে নির্ধারণ করা উচিৎ নাকি মানসিকতা ও চরিত্র দিয়ে?

লিখেছেন লেখার খাতা, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫২


ছবিটি -ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

কহিনুরের, ফ্লোরা ওরিয়েন্টাল বিউটি সোপ।১৯৭৮ সালের বিজ্ঞাপন। ছবিটি ফেসবুকে পেয়েছি। ব্লগার সোনাগাজী, ব্লগার কামাল ১৮ সহ যারা মুরুব্বি ব্লগার রয়েছেন তারা হয়তো এই বিজ্ঞাপনটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪



কতোজনে ভাসছে জলে
পথ ঘাট সব যে পানির তলে
রেমালের কবলে পড়ে।
কতোজনে আজ দূর্বিপাকে
ভাবছি বসে তাদের কথা
কতৈনা দূর্গতি, বাড়িঘর
ফসলী জমি গৃহস্থালি;
ভাসছে আজ জোয়ার জলে
প্রকৃতির বিষম খেয়ালে।
জেলেরা আজ ধরছে না মাছ,
স্কুল কলেজে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন বেনজীর আহমেদ ও আমাদের পুলিশ প্রশাসন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪২



বৃষ্টিস্নাত এই সন্ধ্যায় ব্লগে যদি একবার লগইন না করি তাহলে তা যেন এক অপরাধের পর্যায়েই পরবে, যেহেতু দীর্ঘদিন পর এই স্বস্তির বৃষ্টির কারণে আমার আজ সারাদিন মাটি হয়েছে তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×