আচ্ছা, যারা হেফাজত করেন, তাদের কি বাসায় জানে ?
তুমি নিজে নিজে আতলামি করবা, আতলামির চরম সীমায় পৌঁছে গেলে নানান কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করবা, আর শেষে পত্রিকায় তোমার নামে রিপোর্ট আসবে “তারা ভাবতেই পারছেন না করিম মিয়া এই কাজটি করতে পারেন ”
গত কয়েকদিনে বুয়েটেই পরিচিত কয়েকজনের সাথে কথা হল । এদের অনেকেই নিকট ভবিষ্যতে দরকার পড়লে যুদ্ধে নেমে যাবে বলে জানালো । পরশুদিন ভোরবেলায় বাঁশেরকেল্লা পেজটি খেয়াল করলাম, মানুষজন একে আরেকজনকে জানিয়ে দিচ্ছে কিভাবে পেট্রোল বোমা বানাতে হবে, কমেন্টে কেউ কেউ আবার জানিয়ে দিচ্ছে যে গেরিলা যুদ্ধ ছাড়া এখন আর তাদের সামনে আর উপায় নেই । আচ্ছা, দেশে কি যুদ্ধ লেগে গিয়েছে ?
গত পরশুদিন বুয়েটের একজন মারা গিয়েছে । ইসলামের ভাষায় সে শহীদ কিনা তা জানি না, কিন্তু সে বোকার মত লাইফটা থ্রো করে এসেছে এই কথা জানানোতে কয়েকজন বললো যে নিয়তটাই আসল , আর তা ছাড়া এভাবে গুলি চালাবে তা কে জানতো ? কেন? এই সরকারকে গুলি চালাতে তুমি কি এই প্রথমবার দেখছো ? আর তুমি কোনো পেটি কারণে বিশাল বড় একটা নিয়ত করে অশেষ নেকী হাসিল করবে , আল্লাহর কাছে জিনিসটা বেশ ভালো লাগার কথা , না কী ? বান্দা আমার একটা কাজের কাজ করছে !
হেফাজতের পরবর্তী সমাবেশে জানের ভয়ে লোক আসে কিনা তাও দেখার বিষয় । আর বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও পুরোপুরি কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক আইন কখনো বাস্তবায়ন সম্ভব না এই দেশে । হেফাজতীরাও মেজাজ খারাপ হইলে “খানকির পোলা” বলে মুখ থেকে গালি ছাড়ে , গোপনে গোপনে পর্ণ দেখে । জিয়াউর রহমান যথেষ্ট ধার্মিক ছিলেন , কুরআনকে আইনের উৎস ঘোষণা করেননি তিনিও ।
ইসলামে অন্য ধর্মের অধিকার রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে । হা , সেটা বলা থাকতেই পারে । বিস্তারিত আলোচনা না করে শুধু কয়েকদিন আগের কথা মনে করতে বলব , যেখানে অকারনে মন্দিরে আগুন দেয়া হয়েছিলো ।
এই বাংলার জন্মই হয়েছে অসাম্প্রদায়িকতার জন্য । যাদের এটি ভালো না লাগে তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত ।
পরিশেষে বলব, বেচে আছেন আল্লামা শফী, বেচে আছেন বাবুনগরীও । শুধু বেচে নাই চৌদ্দ বছরের কিশোর যার দুনিয়াতে পাওয়ার বেশি কিছু ছিলো না ।