somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সবচেয়ে ভালোবাসো মাতৃভাষাকে

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিচের লেখাটি শ্রদ্বেয় আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের. লেখাটি Click This Link এই লিঙ্ক থেকে পড়তে পারেন। ওনার লেখাটি আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য পথিকৃৎ যারা জানে না ভাষা আন্দোলন মানে কি? আপনাদের সাথে লেখাটি শেয়ার করলাম।

স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীবৃন্দ এবং ছাত্রছাত্রীরা,
একটু আগে তোমাদের আপা যেভাবে আমার পরিচয় তোমাদের সামনে তুলে ধরলেন- শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক, মানুষ গড়ার কারিগর- আরো যেন কী কী- সব শুনে তোমরা আবার ভয়-টয় পেয়ে যাওনি তো? ভাবছ না তো, এ আবার কে রে বাবা? দৈত্য, দানব-টানব না কি? আসলে জান, আমি কিন্তু কিছুই না, আমি তোমাদেরই বয়সী একজন মানুষ, যার ত্বকটা একটু বুড়ো হয়ে গেছে। বুড়ো তো এক দিন মানুষকে হতেই হয়, কেউ কি একে ঠেকাতে পারে? তুমি কি পাঁচ বছর আগে যা ছিলে, এখনো তা-ই আছ? নাকি ৩০ বছর পরে তা-ই থাকবে? আমরা সবাই পাল্টাব, বুড়ো হব, মরেও যাব- হয়তো কেন, নিশ্চয়ই মরব। এটাই তো আমাদের সবচেয়ে বড় ভাগ্য। এ জন্যই না জীবনকে আলোয়-আনন্দে পূর্ণ করতে আমরা এভাবে চেষ্টা করি। কি, এ ব্যাপারে তোমাদের কারো আবার সন্দেহ আছে-টাছে না কি? কিন্তু জান, আমরা মরব তাতে কিছু এসে-যায় না, কিন্তু যত দিন বাঁচব, যেন বাঁচার মতো বেঁচে থাকি; তা হলেই হবে চিরদিনের মতো বাঁচা।

এখন ফেব্রুয়ারি মাস। আপা তাই আমাকে বলেছেন বাংলা ভাষার ওপর কিছু বলতে। এখন বলো, তোমরা আজ বাংলা ভাষা নিয়ে কিছু শুনতে চাও না, কি ওই যে আমাদের 'আলোকিত মানুষ'- তা নিয়ে শুনতে চাও? (সবাই বিশৃঙ্খলভাবে উত্তর দিতে থাকে)। তোমরা যে যার মতো যা খুশি বলে যাচ্ছ, কিছুই বুঝতে পারছি না। বুড়ো হলে এটাই লাভ। কিছু না বুঝলেও আমাদের কেউ গাল দেয় না।

হ্যাঁ, কী বললে তুমি? দুটো নিয়েই বলতে হবে। বেশ চালাক তো! একবার এক ছেলেকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, চা খাবে, না কফি খাবে? সে চটপট বলে উঠেছে, চা-ও খাব, কফিও খাব; তোমার উত্তর দেখছি তেমনি। যাক, এখন তো ফেব্রুয়ারি মাস, এসো বাংলা ভাষা নিয়েই আজ দু-একটা কথা বলি। একটু আগে শুনেছি, তোমাদের স্কুল ইংরেজি মিডিয়াম হলেও এখানে বাংলার ওপর বেশ জোর দেওয়া হয়। কতটুকু জোর দেওয়া হয় বলতে পারব না। তবে আমি মনে করি, সম্ভব হলে খুব বেশি রকম জোরই দেওয়া উচিত।

আমাদের পা কয়টা বল তো? (একজন ছাত্রী : দুটো)। ঠিক বলেছ। তবে পৃথিবীতে একটা প্রাণী আছে, যে তিন পায়ে চলে। বলো তো, কোন প্রাণী? কি, ক্যাঙ্গারু? হ্যাঁ, ঠিক বলেছ। ক্যাঙ্গারু দুই পায়ে চলে ঠিকই, কিন্তু আরেকটা পা দিয়ে বড়সড় শরীরটাকে সোজাভাবে দাঁড় করিয়ে রাখে। তবে সেটা পা নয়, লেজ। যত প্রাণীর দিকেই তোমরা তাকাবে, সবারই দেখবে হয় দুই পা, না হলে চার পা, না হলে আট পা- সব কিছু প্রায় জোড়ায় জোড়ায়। মানুষের দুই পা না হয়ে এক পা হলে কি আমরা হাঁটতে পারতাম? (ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গে : না।) হাঁটতে পারলেও, নাচতে কি পারতাম? হয়তো কিছুক্ষণ পারতাম, কিন্তু একটু পরেই তিড়িং করে উল্টে পড়ে যেতাম। সে জন্য মানুষের দিকে তাকিয়ে দেখো, সব কিছু জোড়া জোড়া- কান দুটো, চোখ দুটো, মস্তিষ্কেরও ভাগ দুটো, ভ্রু দুটো, নাকের ফুটোও দুটো। (সবার হাসি)। বলো তো, আমাদের হাত কয়টা? দুটো। একটা হাত হলে কি আমাদের চলত? (একজন ছাত্রী : চলত।) ঠিক বলেছ, একটা হাত হলেও চলত, আমরা বেঁচে থাকতে পারতাম। কিন্তু মানুষ তো সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব! একটা হাত দিয়ে আমরা কী ওই শ্রেষ্ঠ জীব হতে পারতাম? এক হাত দিয়ে আমরা হয়তো জীবনের দৈনন্দিন কাজ চালাতে পারতাম, কিন্তু এমন বিস্ময় আর অবিশ্বাস্যের স্রষ্টা হতে পারতাম না। তোমরা তো জান, আমাদের এক যুবক হিমালয়ের এভারেস্ট পর্বতের শৃঙ্গে উঠেছে। তার নাম জান? (একজন ছাত্রী : মুসা ইব্রাহিম)। ঠিক বলেছ। এখন বলো, তার পা যদি একটা হতো তবে সে কি ওখানে উঠতে পারত? এক হাত থাকলে উঠতে পারত? তাহলে এক হাত বা এক পা দিয়ে আমাদের চললেও চলতে পারে। কিন্তু বড় কিছু করা চলে না। অসাধারণ কিছু করতে চাইলে, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হতে চাইলে দুই পা লাগবে, অন্তত হাতের সংখ্যা যে দুই হতে হবে, তাতে সন্দেহ নেই। এখন বলো, এই পা দুটোর জোর কি সমান? না, আমাদের দুই পায়ে জোর সমান নয়। দুই হাতের জোরও সমান নয়। কোন হাতে বেশি জোর? (একজন ছাত্র : ডান হাতে)। আবার কিছু কিছু লোক আছে যাদের বাঁ হাতেও জোর বেশি। তারা বাঁ হাত দিয়ে ব্যাট করে, বল করে, অনেক অন্য কাজও করে। কিন্তু তাদের সংখ্যা বেশি নয়। তাহলে কথাটা দাঁড়াল, আমাদের একটা হাতে বা একটা পায়ে অন্য হাত বা পায়ের তুলনায় একটু বেশি জোর থাকে। এর নিশ্চয়ই বৈজ্ঞানিক কারণ আছে। বড় হলে সেসব জেনে নিও।

এখন বলো, তোমাদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? তুমি বলো তো তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? দেখেছ, ও ভয় পেয়ে গেছে। তাহলে বুঝতে হবে ভয়ই হচ্ছে ওর সবচেয়ে প্রিয় জিনিস, কী বল? ভয় পেলেই ও সবচেয়ে খুশি হয়। তুমি বলো তো? (ছাত্রটি : আপেল) বাহ! কয়টা করে খাও দিনে? (ছাত্রটি : দুটো)। তাহলে তো তোমার আপেলের মতো গোল হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তুমি তো দেখছি তেঁতুলের মতো লম্বা। আচ্ছা বস, আর কেউ? (অন্য একজনকে লক্ষ করে) আচ্ছা তুমি বলো, তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? (ওপাশ থেকে একজন বলে উঠল, বই)। হুম, আরেকজন বলে দিল আর অমনি তুমি বললে 'বই'; তাহলে তো দেখা যাচ্ছে তুমি বইয়ের একজন মহাপ্রেমিক। (সবার হাসি)। আচ্ছা এখন বলো, এই যে আমরা সবাই এখানে বসে আছি, আমাদের সবার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটি কী? আচ্ছা তুমি এসো, তোমার সবচেয়ে প্রিয় কী? রাষ্ট্রভাষা বাংলা। আর কেউ? তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? (উত্তর : স্যার আপনি।) আমি? খুবই উচ্চশ্রেণীর মিথ্যা হয়ে গেল যে কথাটা। আজই তো আমাকে তুমি প্রথম দেখলে, আর আমি তোমার সবচেয়ে প্রিয় হয়ে গেলাম! বড় হলে ভালো ভিলেন হতে পারবে দেখছি। (সবার হাসি)। আর কেউ? দেখেছ, আসল কথা কেউ বললে না! তোমার-আমার সবার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটি হচ্ছে আমাদের জীবন। এখন একটা পিস্তল নিয়ে যদি আমি তোমার মাথার ওপর ধরি আর বলি : 'হাঃ হাঃ হাঃ (ভিলেনি ভঙ্গিতে) দিলাম তোমার মাথা উড়িয়ে!' তুমি বলবে আমার জামা নিন, জুতো নিন, পেন্সিল নিন- যা আছে সব নিন, শুধু আমার জীবনটা ফিরিয়ে দিন। এই জীবনের চেয়ে প্রিয় মানুষের কী আছে বলো? নিজের এমন প্রিয় জীবনটা রেখে ও বলছে, আমি নাকি ওর সবচেয়ে প্রিয়। কী বানানো কথা! তোমরা কি কখনো ভেবেছ, এই যে যাঁরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য মারা গেছেন, তাঁরা ভাষার জন্য কোন জিনিসটা দিয়েছিলেন? দিয়েছিলেন তাঁদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটা? কী নাম সেই জিনিসের? (ছাত্রছাত্রীরা : জীবন)। স্বাধীনতাযুদ্ধে যাঁরা গিয়েছিলেন- কী দিয়েছিলেন তাঁরা? জীবন, তাই না? তাঁদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটা- মমতার, আদরের, ভালোবাসার জিনিসটা তাঁরা দিয়েছিলেন দেশের জন্য। কেন দিয়েছিলেন? তুমি-আমি কি দিতে পারতাম? পিস্তলটা ধরি ওর মাথায়, দেখি ও দিতে পারে কি না? নিজের জীবন মানুষ অত সহজে দিতে পারে না। শুধু একটা ঘটনা যদি ঘটে, তাহলেই পারে। কী সেটা? বলো তো? হ্যাঁ, খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছ- যদি কোনো কিছুকে সে ভালোবাসতে পারে, তাহলেই শুধু তার জন্য সে জীবন দিতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে নিজেদের জীবন দিয়েছিলেন, তার একটাই কারণ : তাঁরা দেশকে ভালোবেসেছিলেন। এ জন্য, দেশের জন্য তাঁরা তাঁদের প্রিয় জীবনটা দিয়ে দিতে পেরেছিলেন। এই যে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, এই আন্দোলনে তাঁরা জীবন দিতে পেরেছিলেন কেন? কারণ তাঁরা তাঁদের মাতৃভাষাকে ভালোবেসেছিলেন। ভালোবাসলে সব দেওয়া যায়। একটা গল্প কি তোমরা জানো? বায়েজিদ বোস্তামির গল্প। বায়েজিদ বোস্তামির মা এক রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঘুমের মধ্য থেকে জেগে উঠে বায়েজিদ বোস্তামিকে বললেন, এক গ্লাস পানি দেবে বাবা? বায়েজিদ ঝরনার ধারে গিয়ে গ্লাস ভর্তি করে পানি নিয়ে এলেন। এসে দেখলেন, মা পানি চেয়েই আবার ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমরা হলে এই সময় হয়তো ভাবতাম, মা তো ঘুমিয়ে গেছেন। এখন তো আর পানিটা খাচ্ছেন না। কাজেই এই সুযোগে নিই না একটু ঘুমিয়ে। ভেবে পানিটা রেখে ঘুমিয়ে যেতাম। কিন্তু বায়েজিদ কী করলেন? তিনি ঘুমালেন না। পানির গ্লাস হাতে নিয়ে একভাবে দাঁড়িয়ে রইলেন, যদি মায়ের হঠাৎ কখনো ঘুম ভেঙে যায়, যদি তিনি তখন পানি চান? সকালবেলা ঘুম ভাঙলে মা দেখলেন, বায়েজিদ গ্লাসটা হাতে নিয়ে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। বায়েজিদ বোস্তামি এমনটা পারলেন কেন? কেন আমরা পারি না। কারণ তিনি তাঁর মাকে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। এতই ভালোবাসতেন যে সারা রাত গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে থাকার কষ্টকে তাঁর কাছে কষ্ট বলে মনে হয়নি। সুতরাং যদি আমরা কখনো কোনো কিছুকে খুব বেশি ভালোবাসতে পারি, তবে তার জন্য সব কিছু দিয়ে দিতে পারি। মানুষের মধ্যে আছে এই ক্ষমতা। সবার মধ্যে নেই, স্বার্থপর, ক্ষুদ্র বা আত্মকেন্দ্রিক মানুষদের মধ্যে নেই। কিন্তু যাঁরা প্রেমিক, যাঁদের মমতা বেশি, যাঁরা জীবনকে ভালোবাসেন, পৃথিবীকে সুখী করতে চান, তাঁদের মধ্যে এই শক্তি আছে।

মানুষ কি এমনি এমনি বড় হয়? কারা বড় হয় পৃথিবীতে বলো তো? তারাই বড় হয়, যাদের মধ্যে ভালোবাসা বড়। ভালোবাসা থাকলেই মানুষ অন্যের দুঃখ বুঝতে পারে, তাই তাদের সুখের জন্য আরো বেশি কষ্ট করতে পারে। তাদের জন্য দরকারে জীবন দিয়ে দিতে পারে। মাতৃভাষার জন্য এমনি ভালোবাসা ছিল বরকত, সালাম, রফিকদের মধ্যেও; তাই তাঁরা তার জন্য মরে যেতে পেরেছিলেন। আমাদের অত ভালোবাসা নেই বলে আমরা তা পারি না।

এখন একটা কথা তোমাদের জিজ্ঞেস করব। বল তো, মাতৃভাষা কেন এত ভালোবাসার জিনিস? কেন সবাই মাতৃভাষাকে এত ভালোবাসে? তোমরা দেখবে মাতৃভাষা তো মাতৃভাষা, নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষাকেও মানুষ কত ভালোবাসে। আঞ্চলিক ভাষা কাকে বলে জান তো? আমাদের দেশে অনেক অঞ্চল আছে। একেক অঞ্চলে আছে একেক রকম ভাষা। এগুলোকেই বলে আঞ্চলিক ভাষা। যেমন নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা, রংপুরের আঞ্চলিক ভাষা- এমনি। মানুষের আসল মাতৃভাষা হলো এই আঞ্চলিক ভাষাগুলোই। মানুষ যখন নিজের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে, তখন সে ভারি আরাম পায়। তখন তাকে বড় জীবন্ত আর প্রাণবন্ত লাগে। যখন কেউ এই ভাষায় কথা বলে, তখন মনে হয়, তার ভেতরকার আসল মানুষটা যেন কথা বলছে, যেন তার মধ্যে নকল বা কৃত্রিম বলে কিছু নেই।
স্কুল থেকে যখন বাসায় তোমরা ফিরবে, তখনো কি এমনি স্কুল-ইউনিফর্ম পরে থাকবে, না তোমার আরামের পোশাকটা পরে নেবে? আরামের আর ইচ্ছা-খুশির পোশাকটাই তো পরবে, তাই না? তেমনি বাসায় ফিরে যে ভাষায় তুমি মা-বাবা-ভাইবোনদের সঙ্গে কথা বলবে- সেটা কি ইংরেজি হবে, না শুদ্ধ বাংলা হবে, না তোমাদের আঞ্চলিক ভাষা হবে? (কয়েকজন ছাত্রী : আঞ্চলিক ভাষা।) সত্যি আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে যত আরাম, তেমন আরাম আর কোনো ভাষায় নেই। মনটা যেন জুড়িয়ে যায়। তাই দেখবে, দুই সিলেটি একখানে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেটি ভাষা শুরু হয়ে যায়। দুই চট্টগ্রামের মানুষ একখানে হলে শুরু হয়ে যায় চট্টগ্রামের ভাষা। অথচ অন্য জায়গার লোকরা ওইসব ভাষা শুনলে মুখ টিপে হাসে। কিন্তু তাতে কি তারা তাদের আঞ্চলিক ভাষার কথা বন্ধ করে? বন্ধ করে না। কারণ যার যেটা আঞ্চলিক ভাষা, তার চেয়ে প্রাণের ভাষা তার আর নেই। কাজেই যে এলাকার মানুষ যে ভাষায় কথা বলে, সেটা আমার-তোমার কাছে যেমনই লাগুক, তার কাছে সেটা কিন্তু তার প্রাণের ভাষা, হৃদয়ের ভাষা। ওই ভাষায় কথা বলতেই তার সবচেয়ে বেশি আনন্দ। তোমাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় খাবার কী? (ছাত্রছাত্রীরা : কেউ বিরিয়ানি, কেউ বার্গার, কেউ রসগোল্লা ইত্যাদি।) তোমাদের যার কাছে যে খাবার সবচেয়ে প্রিয় সেটা খেতে তোমাদের যেমন আনন্দ, মানুষেরও যার যার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে তেমনি আনন্দ।

Mohammad Harunur Rashid
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্টে যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×