somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হরর গল্পঃ নাম

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১।
মোবাইলটা বেজে উঠল।
ইদানীং কল আসলে একটু দেরী করেই ধরি। দুইটা ওয়েলকাম টিউন লাগাইসি সেগুলো শোনাতে হবে না? আর এই রিংটোনটাও আমার খুব পছন্দের।
একেবারে শেষ মূহুর্তে ধরলাম। আননোন নাম্বার। কোনো মোবাইল কোম্পানির নাম্বার না। টি এন্ড টি ও না। বিদেশী কিনা কে জানে?
- হ্যালো।
কোনো সাড়া নেই।
- হ্যালো।
তাও সাড়া নেই।
- হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো?
বিরক্ত হয়ে যখন রেখে দিতে যাবো তখন কিছু একটা শোনা গেলো।
- হ্যা...লো ওও......
যেন বহুদূর থেকে ভেসে আসছে। খসখসে শব্দটায় শরীরে শিউরে উঠল কেমন!
কিন্তু আর কিছু শোনা গেলো না, লাইন কেটে গেলো।
একটু পর আবার ফোন, একই নাম্বার।
এবারও একই অবস্থা।
- হ্যা...লো ওও......
যেন এক অপার্থিব কোনো জগত থেকে ভেসে আসছে কথা। গা শিউরানো ভাবটা ফিরে এলো।
- হ্যা, বলেন?
- হ্যা...লো......আ......... রা......হান
- কে?
- রা...য়......হান
- রায়হান, কোন রায়হান?
- চেনো...... না, আমা...কে?
- রায়হান নামের অনেককেই চিনি, আপনি কে?
- হ্যা......লোওওও?
- হ্যা বলেন।
- ............খবর আ...ছে
লাইন কেটে গেলো। ঘাবড়ে গেলাম খানিকটা। আমি দুনিয়ার ভীতু মানুষ। সামান্যতে ভয় পাই। ভূতেরতো সাংঘাতিক ভয়। এরকম একটা ভৌতিক গলায় খবর আছে শোনায় স্বাভাবিক-ই কিছুটা টেনশন হল। তাই ক্লীয়ার হওয়ার জন্য ফোন দিলাম আবার।
কিন্তু কল ঢুকাতে পারলাম না। বলে দুঃখিত।
একটু পর আবার ফোন।
কিছুটা রেগেই কথা শুরু করলাম,
- কে ভাই আপনি, আমারে ভয় দেখান?
- হ্যা.........লো, ভ......য় না। ......খ...বর......আছে।
কিন্তু এই শিরিষ কাগজের মত খসখসে গলা শুনে ঠাণ্ডা মেরে গেলাম।
আমতা আমতা করে বললাম,
- কে ভাই আপনি? কোথা থেকে বলছেন?
- আ......মি এখন গো...র.........স্থানে।
- অ্যাঁ, কি বলেন, গোরস্থানে মানে? হ্যালো, হ্যালো......
ধ্যাত, লাইন কেটে গেছে। আবার কল ব্যাক করলাম, আবার বলে দুঃখিত। মেজাজ গেলো খারাপ হয়ে? এটা কেমন রসিকতা। শুধু শুধু আমাকে হুমকি দেয়া।
সারাদিন চেষ্টা করলাম। কল ঢুকল না। ওই বেটাও আর ফোন দেয় নাই।
এদিকে আমি টেনশনে মরি, কারে কি করলাম যে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তাও আবার গোরস্থান থেকে। কাউকে বলতেও পারছি না। চিন্তায় দুপুরে খাওয়াও হল না। বিকেলে গেলাম নাটকের রিহার্সেলে। আমি একটা নাটকের দলের সাথে আছি। নতুন নাটক করছি আমরা। গিয়ে শুনি রিহার্সেল হবে না। মনে মনে খুশি-ই হলাম। টেনশনে হয়ত ঠিকমত পারতাম না। শিকদার ভাই, মানে আমাদের নির্দেশক খুব কড়া মানুষ। ভুল হলেই বকা খেতে হয়। শিকদার ভাই ঢাকা গেছেন, তাই আজ রিহার্সেল বন্ধ। অন্যান্য যারা ছিল, তাদের সাথে আড্ডা মেরে হোস্টেলে ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় ১১টা বেজে গেল। কারো
কাজ নেই তাই আড্ডাটা আজ একটু মাত্রাতিরিক্ত-ই হয়েছে।
তিনতলায় আমার রুম। উঠে করিডোর দিয়ে হাটছি, চোখে পড়ল একটা রুমের সামনে একটা দেয়াল পত্রিকা। আমাদের ইয়ার মেট একটা ছেলে কিছুদিন আগে রোড অ্যাকসিডেণ্ট করে মারা গেছে। তার স্মরণে আমরা এটা করেছিলাম। মনটা একটু খারাপ হল। রুমটা পেরিয়ে আসতেই হঠাত দুটো কথা মনে হতেই পিঠে একটা ঠাণ্ডা স্রোত অনুভব করলাম। মারা যাওয়া ছেলেটার নাম ছিল রায়হান, আর অপঘাতে মানুষ মরলে নাকি ভূত হয়।
তাহলে কি............?

২।
রুমে এসেই পানি খেলাম এক গ্লাস।
রায়হান কি ভূত হয়ে আমাকে হুমকি দিচ্ছে? এ জন্যই কি বলল যে গোরস্তান থেকে ফোন দিয়েছে? কিন্তু কেনো?
রায়হানের কোনো ক্ষতি কখনও করেছি বলে তো মনে পড়ে না! ওর সাথেতো তেমন ঘনিষ্টতাও ছিল না। একসাথে পড়ি বলে যেটুক হাই হ্যালো হত আরকি! তার বেশি কিছুতো না। খুব করে চিন্তা করতে লাগলাম ভুল করেও কিছু করেছি কিনা! নাহ কিছুই মনে পড়ছে না।
ও হ্যা, একবার আমার ভুলের জন্য ও ক্লাসে কান ধরেছিল। লেকচার ক্লাসে সেদিন ও আমার পাশেই বসেছিল। স্যারের টাক নিয়ে কি একটা বলায় ও হো হো করে হেসে উঠেছিল। তখন স্যার ওকে কান ধরাইসিলেন। কিন্তু সেটার জন্য ও আমার উপর এতটাই ক্ষেপেছে যে মরে গিয়ে ভূত হয়ে আমার খবর করতে চাইছে?
আমি কিছুই ভাবতে পারছি না, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর। বার বার পানি খেয়েও কাজ হচ্ছে না।
আমি নাম্বারটায় আবারও ট্রাই করলাম কয়েকবার। কাজ হল না।
রাত বাড়তেই ভয়ও বাড়তে লাগল। আজ রাতেই যদি খবর করতে আসে?
রাতে খাওয়া হল না। এমন একটা রাতে রুম মেটও নেই। একাই কাটাতে হবে।
যত দ্যাকাহ সব হরর কাহিনি মনে আসতে লাগল। এরকম-ই হয় সবগুলোতে। শকার একা থাকে বাড়ি কিংবা অন্য কোথাও। ভূত এসে তাকে নৃশংস ভাবে খুন করে।
দরজা জানালা খুব শক্ত করে আটকালাম। যদিও জানি লাভ নেই, তারপরও।
লাইট জ্বালিয়ে বসে রইলাম। আজকের রাতটা আরও বেশি নীরব। শীতের রাত। কম্বল মুড়ি দিয়ে বসে রইলাম।
কিছুক্ষণ পরপর মোবাইলটা চেক করতেসি। কিন্তু আর কোনো সাড়া শব্দ নেই। আমি চাচ্ছিও না। এই নচ্ছাড় মোবাইলে আর কল না আসুক। শেষে আর থাকতে না পেরে ফোনটা বন্ধ করে রাখলাম। মনে মনে শুধু আয়াতুল কুরসি পড়ছি আর দোয়া করছি, আল্লাহ এবারের মত বাঁচায় দাও, কাল-ই বাড়ি চলে যাব। এই বিদেশ বিভুইয়ে মরতে পারব না। মরলে মায়ের কোলেই মরব।
শালার ঘড়ির কাটাও দেখি নড়ে না। এক ঘন্ট পর পর এক সেকেন্ড যাচ্ছে। ঝিমানি আসলে মাথা নেড়ে দূর করে দিচ্ছি। ঘুমানো চলবে না। ঘুমের ঘোরে কিছু করলে?
মাথায় কত চিন্তা আসছে। মনে মনে হাজার বার রায়হানের কাছে মাফ চাচ্ছি।
- ও ভাই রায়হান, কি করছি আমি তোর? ভাইরে স্যারে একটু কান-ই তো ধরসিল, তাওতো সব দোষ আমার ছিল না। ভাই, এ জন্য এমন করতে হয়?
- আচ্ছা যাও দোষ আমার। মাফ করে দেয়া যায় না? একটু কান ধরা-ই তো।
- প্লীয ভাই। আমার কিছু হলে আমার মা খুব কাদবে। তোমার মা যেমন কাদছিল, সেরকম। আমার মায়ের জন্য হলেও আমারে মেরনা ভাই।
এসব ভাবতে ভাবতে চোখ দিয়ে কখন পানি চলে এসেছে নিজেও জানি না। রুমে কেউ নেই, তাই বালিশ চেপে ধরে ভেউ ভেউ করে কাদতে লাগলাম।
কাদতে কাদতেই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লাম। গভীর রাতে হঠাত খ্যাক খ্যাক শব্দে লাফ দিয়ে উঠলাম। বুক ধড়ফড় শুরু হল। হাতের কাছে কিছু না পেয়ে বালিশটাকেই তুলে ধরলাম। কাছে আসলে মারব, তাই। আবারো শুনি খ্যাক খ্যাক। জানালা দিয়ে আসছে। জানালার পাশেই পা ঘসড়ানোর শব্দ। গলা শুকিয়ে গেল। মুখে দোয়া ওলট পালট হতে লাগল। ঘসড়ানো শব্দটা ঠিক জানালার পাশেই থামল। বুকের ধুকপুকানি এত বেশি যে, মনে হল সারা ঘরে সেই শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
এর পর-ই শুনি প্রচণ্ড জোরে, ওয়াক থু।
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল আমার। হাত পা শিথিল হয়ে এলো। ধপ করে বসে পড়লাম বিছানায়। এই শীতেও দেখি পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে। কোন বেকুব পা ঘসড়ায় এভাবে হেটে এসে এখান থেকে থু ফেলছে নিচে। আর খ্যাক শব্দটা কোনো পাখির ডাক-ই হবে।
পুরো ঘুম চটে গেল। বাকি রাত আর ঘুম এলো না। সীমাহীন আতঙ্ক নিয়ে কেটে গেলো বাকি রাত।

৩।
জীবনে আর কোনোদিন ভোর হতে দেখে এত খুশি হইনি। ফযরের নামাজ পড়ে খুব করে দোয়া করে এলাম নিজের জন্য। সারা রাত এভাবে জাগায় চেহারা নিশ্চই বিদ্ধস্ত হয়ে গেছে। কারণ অনেকেই জিজ্ঞেস করল কিছু হয়েছে কিনা। আমি শরীরটা একটু খারাপ বলে এড়িয়ে গেলাম। রুমে ফিরেই ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। আজই বাড়ি ফিরব। কিন্তু সারা রাত শরীর আর মনের উপর যে টর্চার গেছে, তার উপর শীতের সকাল, বিছানাটা খুব করে টানতে লাগল। একটু বিশ্রাম নিতে গা এলিয়ে দিলাম। কম্বলের উষ্ণতায় উত্তেজিত স্নায়ুগুলো মূহুর্তেই শীতল হয়ে এলো। গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম।
ঘুম ভাঙল দুপুর পেরিয়ে। ভর দুপুরে রাতের সব কিছু অবাস্তব লাগতে লাগলেও আমি জানি সব সত্যি। কাল রাতে কিছু হয়নি বলে যে আজ হবে না তার নিশ্চয়তা কি?
গোসল টোসল করে ব্যাগ হাতে তাই বেরিয়ে পড়লাম।
বের হয়ে মোড়ের কাছে আসতেই হঠাত নাটকের কথা মনে পড়ল। ভাবলাম বলে যাই। আবার কবে ফিরি। এতোদিন একসাথে ছিলাম। কয়েকদিন পরেই নাটক স্টেজে উঠত। আমি চলে গেলে সেখানে অন্য লোক নিতে হবে। তাকে আবার রিহার্সেল দিয়ে তৈরি করাতে হবে। আমার জন্য বেশ ঝামেলাই হবে। তাও শিকদার ভাইকে বলে বুঝিয়ে যাই।
ক্লাব ঘরে গিয়ে দেখি কেউ নেই। পিওনটা বলল, আসবে একটু পর। তাকে চা আনতে পাঠিয়ে আমি ভিতরে গিয়ে বসলাম।
ভিতরে নাটকের নানা প্রপস, সেট হাবিজাবি। আমি সেগুলোই দেখছিলাম মন দিয়ে। হঠাত
পিছনে একটা পদশব্দ শুনে ঘুরতে যাব কিন্তু গলার স্বর শুনে জমে গেলাম।
- শাওন নাকি?
সেই ফোনের কন্ঠস্বর। খসখসে স্বরটা যেন আমার পিছন দিকটা ছুলে দিল। ঠাণ্ডার ভিতরেও কপালে ঘামের অস্তিত্ব অনুভব করলাম। এই ছিল কপালে! এখানে আসার ইচ্ছাটা ছিল সম্ভবত জীবনের সবচে বড় ভুল সিদ্ধান্ত। কিছুই করার নেই। পিওনটাকেও পাঠিয়ে দিয়েছি। মাঠের এক কোণের নির্জন ক্লাব ঘর। শিকার করার সর্বতকৃষ্ট জায়গা। চেচালেও কেউ টের পাবে না।
পদশব্দ এগিয়ে আসছে।
- এই শাওন কি হইছে? কথা নাই কেনো?
বহু কষ্টে ঘুরলাম। ঘুরে যা দেখলাম তাতে হৃৎপিণ্ডটা লাফ দিয়ে উঠল। মাথা ছাড়া একজন মানুষ। ঘাড় থেকে উপরটা কারখানার চিমনির মত সজা উঠে গেছে। সেই চিমনির ভিতর থেকে ওই খসখসে শব্দগুলো আসছে। হাত পায়ের সব শক্তি লোপ পেল। ধপ করে পড়ে গেলাম মেঝেতে। চিমনি ছুটে এলো আমার দিকে।

৪।
মুখে পানির ঝাপটা লাগতে চোখ মেললাম। অনেকগুলো চিন্তিত মুখ। অনেক গুলো প্রশ্ন।
- কি রে কি হইসিল?
- অসুস্থ নাকি?
- চেহারার একী হাল, কালও তো ঠিক দেখলাম।
সবাইকে সরিয়ে দিয়ে উঠে বসলাম। সামনেই শিকদার ভাই বসা।
- কি ব্যাপার শাওন, আমাকে দেখে ওরকম চমকে গিয়েছিলে কেন?
আবারো চমকে তাকালাম। সেই খসখসে কণ্ঠস্বর। আশে পাশে তাকালাম। চিমনিতো নেই।
- কি, কাকে খুজছ?
ভালো করে তাকিয়ে দেখি আওয়াজ শিকদার ভাইয়ের গলা দিয়েই বেরুচ্ছে। আমি ঢোক গিললাম। জিজ্ঞেস করলাম, আপনার কি হয়েছে?
- আর বোলোনা ঠাণ্ডা লাগায় ফেলসি। দেখনা পুরো শরীর ঢেকে রাখতেসি, তাও কাজ হয় না।
বলে পাশে স্তূপীকৃত মাফলার, চাদর ইত্যাদি দেখালেন। বুঝলাম, এসব দিয়ে মাথা পেচিয়ে রাখার কারণেই উনাকে চিমনির মত লাগতেসিল।
- কালকে কি আপনি আমাকে ফোন দিসিলেন?
- হ্যা, আমি যে ঢাকায় আসছি আর কাল যে রিহার্সেল হবে না তা বলার জন্য।
- ওটা কিসের নাম্বার?
- আর বোলো না, কি এক ল্যান্ড ফোন কোম্পানি। ঢাকার বাইরে এক ফোটা নেটওয়ার্ক নেই। আমার আত্মীয়ের বাসায় ছিল তাই।
- তাহলে যে বললেন, গোরস্থান থেকে বলতেসেন?
- গোরস্থান? নাতো, আমিতো কাল গুলিস্তান ছিলাম। আমিতো তা-ই বলসি। কেন?
- না কিছু না। আমি-ই ভুল শুনছিলাম। কিন্তু আপনার নাম রায়হান বললেন কেন?
- আমার নামতো রায়হান-ই। রায়হান শিকদার। জানো না।
এতক্ষণে মনে পড়ল সব। শিকদার ভাই করে ডাকতে ডাকতে আসল নাম-ই ভুলে গেছিলাম।
- ওহ! তাইতো।
বলে পরম শান্তির একটা নিঃশ্বাস ফেললাম।
- যাই হোক। তোমার এই দশা কেনো? চেহারা বিধ্বস্ত, আমাকে দেখে অজ্ঞান হয়ে গেলে। ব্যাপার কি?
- নাহ, কাল রাতে ঘুম হয়নি তো, তাছাড়া আজ খাইওনি ঠিকমত, তাই বোধহয়।
- সমস্যা নেই। সিঙ্গারা আর চা আনতে পাঠিয়েছি। তোমার চা আমি খেয়ে ফেলেছি। খেয়ে চটপট রিহার্সেল শুরু করি চল। মঞ্চায়নের বেশি দেরী নেই আর। ব্যাগ কিসের?
- ইয়ে মানে, বাড়ি যেতে চাচ্ছিলাম একটু।
- কি? নাটকের এই অবস্থায় বাড়ি? নো ওয়ে। রিহার্সেলের জন্য রেডি হও সবাই।
আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে উঠে দাড়াই। মনে মনে মৃত রায়হানকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিলাম আমাকে ভূত হয়ে তাড়া না করায়। বাড়ি যাওয়া আর হলনা। তার দরকার নেই। বেঘোরে প্রানটা যে দিতে হচ্ছে না তাতেই আমি খুশি। নামে নামে আজ আমকে যমের দুয়ারেই পাঠায় দিসিল প্রায়!!

ফেসবুক
১২টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরোনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×